মধ্যপ্রাচ্যে কেমন আছি আমরা ( পর্ব -১৯ ) অতিরিক্ত সুবিধা পেতে হলে ভাষা জানা জরুরি।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০১:৫২:১৯ রাত
প্রত্যেক মানুষ চায় অতিরিক্ত সুবিধা। অতিরিক্ত সুবিধা পেতে হলে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত কিছু বিষয় নিজের কাছে মজুদ থাকা। প্রবাসীদের অতিরিক্ত সুবিধার জন্য হাতিয়ার ভাষা শিখা। ভাষা জানার ক্ষেত্রে যত কম সময় লাগবে তত সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত শুধু নয় অনেক ক্ষেত্রে মূল সুবিধা থেকে ও বঞ্চিত হতে হবে ভাষা না জানার কারণে।
মধ্যপ্রাচ্যে আরবি ,ইংলিশ , হিন্দি ,উর্দু ভাষা বেশি প্রচলিত।আরবি মালিকানাদিন কোম্পানিতে বা আরবি ঘরে কাজ করলে আরবি জানতে হবে বাধ্যতামূলক। যদিও অনেক আরবীরা উর্দু ,হিন্দি জানে ,অনেকে ইংলিশ ভালো জানে। তবে আরবীদের মধ্যে অনেক আছে যারা ইংলিশ ,হিন্দি উর্দু জানা থাকা সত্বেও বলতে চায় না। কারণ তাদের মূল টার্গেট থাকে সবাই আরবি বলতে হবে। বিদেশী মালিকানাদিন কোম্পানিতে চাকুরী করতে হলে ইংলিশ জানতে হয় যদিও অনেক কোম্পানি আছে যেখানে ইংলিশের পরিবর্তে হিন্দি ,উর্দু ভাষা বেশি চলে । বাংলাদেশীদের জন্য বিদেশী মালিকানাদিন কোম্পানিতে চাকুরী হলে সুবিধা ভালো ভাষার ক্ষেত্রে। বাংলা ভাষার সাথে হিন্দি উর্ধুর অনেকটা মিল থাকায় বাংলাদেশী প্রবাসীরা হিন্দি ,উর্ধু তারাতারি আয়ত্ব করতে পারেন। কিন্তু পাশাপাশি আরবি ও ইংলিশ জানা থাকলে মতপ্রকাশ ও কাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়।
ভাষা না জানার কারনে অনেক সমস্যা দেখে দেয় এরকম একটি সমস্যা আমার চোখের সামনে হয়েছে।
জাকির নামের এক বাংলাদেশী স্থানীয় এক আরবির মালিকানাদিন বড় এক কোম্পানিতে চাকুরী করে আসছিলেন প্রায় ৮ বছর থেকে। প্রথমে নিম্ন মানের কাজ করতেন কাজের মান ভালো থাকে এসিস্টেন্ট সুপারভাইজার হলেন। উনার কাজ ছিল হিসেব রাখা কাগজ কলমে। দীর্ঘ দিন থেকে কাজ করে যাচ্ছিলেন স্বাধীন ভাবে ।একদিন উনার সেক্টরে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সে জন্য উক্ত সেক্টরের সবাইকে অফিসে ডাকা হলো জাকির সাহেব ও গেলেন অফিসে।
সমস্যার কারণ জানার জন্য সবার বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে আরবি ভাষায়। সেই সুত্রে জাকির সাহেব ও নিজের বক্তব্য পেশ করার কথা কিন্তু আরবি কিংবা ভালো ইংলিশ না জানার কারণে উনি আমতা আমতা করে অনেক কিছুই বলেছেন কিন্তু উপস্তিত অফিস মেনেজমেন্ট উনার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। দু দিন পর আবার জাকির সাহেবকে অফিসে ডাকে উনাকে বর্তমান কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। উনাকে অন্য সেক্টরে কাজ দেওয়া হয়েছে ঠিক কিন্তু পূর্বের মত সুযোগ সুবিধা নেই।জাকির সাহেবের যদি ভাষা জানা থাকত তাহেল উনার এরকম পরিনতি হওয়ার কথা ছিল না ।
ভাষা জানার জন্য নিজের প্রচেষ্টা সবচেয়ে বড়। ভাষা জানার জন্য সব সময় সচেষ্ট থাকতে হবে কে কখন কি বলতেছে তা মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রবাসে ভাষা শিখে অতিরিক্ত সুবিধা নিতে না পারলে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা বঞ্চিত ও মনে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তার ওপর এখন ভাষার মাস , আগামী কাল ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস !
মূল্যবান লিখাটির জন্য বারাকাল্লাহু ফিক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন