ভাই আপনাকে বলছি।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১২:২৬:১২ রাত
ভাই আপনি একটু মন দিয়ে পড়ুন আর সমাজকে সুন্দর করতে সহায়তা করুন। আমি-আপনি , আমার বোন - আপনার বোন , আপনার বাবা মা , আমার বাবা মাকে নিয়েই সমাজ। আমরাই যখন সমাজ তাহলে আমরা কেন এই সমাজকে নষ্ট করি ?
যখন কানে এমন কথা আসে যে ,ভাইয়া আজ কলেজে আমারই কলেজ ফ্রেন্ড আমাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে তখন ইচ্ছে করে নিজের অল্প যে বিদ্যা আছে সেটাকেও মাইনাস করতে। যখন কানে আসে , আজ কলেজ থেকে আসার পথে তোমার বয়সের একটি ছেলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে , তখন লজ্জা হয় নিজেকে নিয়ে। যখন এমন কথা শুনতে হয় আজ মার্কেট করতে গিয়ে ভাইয়া তোমার বয়সের এক ছেলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করার কারণে আমি মার্কেট থেকে কিছু ক্রয় না করেই ফিরে এলাম। তখন নিজেকে লুকানোর পথ খোজি। যখন শুনতে হয় আমাদের বাজে চলাফেরার কারণে আমাদের বোন কষ্ট পেয়ে পড়া লিখা ছেড়ে দিচ্ছি। তখন ইচ্ছে হয় বোনটির সামনে গিয়ে কান ধরে দাড়িয়ে থাকি। যখন কলেজ ভার্সিটির নষ্ট ছেলেদের ( শুধু ছেলে বললে ভুল হবে অনেক মেয়েদের ) অশ্লীল কার্যকলাপে লজ্জিত হয়ে স্টাডি ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে সমাজের নারীদের শালীন অংশ তখন ইচ্ছে করে নিজেকে সুপর্ধ করতে আসামী হিসেবে। যখন স্কুল পড়ুয়া কুমল মতি ছাত্রীকে স্কুল ছেড়ে দিতে হয় বখাটের কারণে তখন নিজেকে মনে হয় এই সমাজের জন্য বেকার একটা মানুষ।
পথ -ঘাট ,মার্কেট ,গাড়ি - লঞ্চ ,স্কুল ,কলেজ , ভার্সিটি ,যতক্ষণ না নারী সমাজের জন্য ফুলের মত সুন্দর হচ্ছে না তার পূর্বে সমাজকে আমি সুন্দর বলতে পারিনা। নারীসমাজের ও উচিত পর্দাশীল হওয়া । আপনি ইসলাম ধর্মের হলেতো পর্দা করা ফরজ সে হিসেবে করতেই হবে ইসলাম ধর্মের বাহিরে হলে অন্তত নিজের জন্য পর্দা করুন। মার্কেটে কেন যাবেন না আপনি মার্কেটে যাবেন নিজের প্রয়োজনীয় কাজ নিজেই করবেন তবে পর্দার ভেতর থেকে। আপনি কলেজ ভার্সিটিতে যাবেন বর্তমান বিশ্বে শিক্ষিত হতেই হবে তবে পর্দা কে মেনে।
ভাই আপনি আমি যদি নিজের মা ,বোন স্ত্রীর নিরাপত্তা চাই তাহলে আমাদেরকে প্রথমে সমাজের অন্যান্য নারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করতে হবে। সুন্দর সমাজ উপহারে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।আমরা আর মাথা নিচু করে নয় উচু করে সমাজে ঠিকে থাকতে চাই।
যে সমাজে বাবা তার সন্তান কে স্কুল কলেজে পাঠিয়ে বাড়িতে চিন্তিত থাকতে হয় সেই সমাজকে উন্নত বা সুন্দর বলা যায় না। যে সমাজে স্বামী কর্মস্থলে গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে ভাবনায় থাকতে হয় সেই সমাজকে শিক্ষিত সমাজ বলা যায় না।
ইসলামী সমাজ ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে সমাজ পঁচে যাচ্ছে যার ফলে নিরাপত্তাহীনতায় নারী সমাজ। দেশের জন্য সমাজের জন্য নিজ পরিবারের জন্য সকল জায়গায় সংস্কার জরুরি হয়ে দাড়িয়েছে।আমাদের আচরণে আমাদের মাথা আর নিচু হতে দেওয়া যায় না। সময় এসেছে নৈতিক শিক্ষা আর সত চরিত্রবান যুব সমাজ তৈরিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৮ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থই বললেন ভাই! আমরা নিজেদের কে যদি কল্যাণের পথে পরিচালিত করি তাহলেই এই সব অনাকাংখিত পরিস্হিতি এড়ানো সম্ভব!
০ হ্যা ছেলেদের এই লজ্জা হয় , কারণ ছেলেদের বিবেক আছে ।
ভাই কি এই কথা বলতে পারে তার বোনকে ,'' তোর সমবয়সী তোর ভাবী আমাকে আর তোর মার সাথে রোজ বাজে ব্যবহার করে ''
তখন সেই বোনটির কি কোন লজ্জা হয় ?
হয় না কারণ ,সেও তো একই কাজ করছে তার স্বামীর সংসারে গিয়ে ।
একজন ভাই তার বোন কোন ছেলে কর্তৃক টিজ হলে সেটার প্রতিবাদ করে এবং প্রতিরোধও করে । বোনদের/মেয়েদের এসব হেনস্তার ব্যাপারে ছেলেরা/ভাইয়েরাই এগিয়ে আসে । এমন কি কেউ কেউ এতে মারাও যায় ।
কোন বোনকে কি আজ পর্যন্ত দেখেছেন তার ভাই ও মায়ের প্রতি তার ভাবীর দূর্ব্যব হারের উপর সোচ্চার হতে এবং এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে কার্যকর ভাবে এগিয়ে আসতে ?
আর আপনি যেটা বললেন পারিবারিক সেটা ও কিন্তু সমাজের জন্য অন্যতম সমস্যা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন