মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের চেয়ে বেশি সংখ্যক প্রবাসী মহিলা শ্রমিক ইজ্জত হারিয়েছে।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৬:২১:৩১ সন্ধ্যা
গত তিন মাস দেশে ছিলাম তাই অনেক কিছু লিখার ইচ্ছে হলেও লিখতে পারিনি। শেখ হাসিনার আমিরাত সফর ছিল না লিখার মধ্যে অন্যতম।
দেশের প্রধানমন্ত্রীর সকল সফর গুরুত্ববহন করার কথা ।কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য গুরুত্বহীন হয়। আমিরাত সফর নিয়ে দেশের জনগনের মনে নানান হিসেব ছিল।আমিরাত সরকার আমাদের দেশ থেকে জনশক্তি নিচ্ছে না প্রায় আড়াই বছর। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যখন আমিরাত সফরে আসছিলেন দেশের জনগন পাশাপাশি প্রবাসীরা অন্ততপক্ষে ভিসা চালু হবে বলে আশা করেছিল কিন্তু বাস্থবে তা ছিল ভ্রান্ত। কারন সচেতন নাগরিক জানে এই সফর স্রেফ রাজনীতি ছিল। না হলে সচিবের কাজে প্রধানমন্ত্রী কেন???
যে তিনটি চুক্তি করা হয়েছে তা সচিব গেলেই হয়ে যেত।
চুক্তি তিনটি দেখেন আর চিন্তা করুন ভ্রমন কে কি রকম অপরাজনীতিতে আনা হয়েছে,,,
১,বন্দি বিনিময় ও নিরাপত্তা চুক্তি
২,আমিরাত সরকার এম্বেসিতে ২য় তলা ভবন করার অনুমতি দেবে (অনেক আগেই এই চুক্তি ছিল)
৩,বছরে ১০০০ করে কাজের বুয়া সাপ্লাই দিতে হবে ( এই চুক্তি আমাদের দেশের বিপক্ষে যাচ্ছে)
দেশের জনগনের আবেগ নিয়ে খেলা কবে বন্দ হবে?? আর কত ফালতু নিতী চালু থাকবে??
কষ্ট লাগে যখন দেখি দেশের টাকা খরচ করে বিশাল বহর নিয়ে বিদেশ যাওয়া হয় বিনাকাজে।
মহিলা শ্রমিক বিদেশে পাঠিয়ে আর কত ইজ্জত হারাবে বাংলাদেশ ??আমি নিজ চোখে বাস্থবতা দেখে বলতে পারি মুক্তিযুদ্ধে যে পরিমান দেশের মহিলারা ইজ্জত হারিয়েছে তার চেয়ে বেশি ইজ্জত হারিয়েছে এবং নির্যাতিত হয়েছেন প্রবাসে কাজ করতে আসা বাংলাদেশী শ্রমিক নামের মা বোনেরা।
দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে নিজের ইজ্জত নিজে রক্ষা করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১০১৭ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই দেশে এখন সানি লিওন এর যুগ। তার চাইতে বিদেশি মুদ্রা আসুক আর আমরা সেই টাকাই বিদেশ থেকে মদ আর মাগি(মাফকরবেন) আনি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন