পরকীয়া ও কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৪ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:১৯:২৩ সন্ধ্যা
আমাদের সমাজের একটা ফালতু মার্কা মন্তব্য হলো স্বামী প্রবাসে থাকলে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। এই যে একটা শব্দ পরকিয়া এই শব্দ কি প্রবাসীর প্রবাসে থাকার কারণে সৃষ্টি হয়েছে ?
এক বিছানায় স্বামীর সাথে ঘুমালেও সকালে স্ত্রী নামের চরিত্রহীনা কে আর বিছানায় পাওয়া যায় নি এরকম অনেক খবর পত্র পত্রিকায় আমরা দেখেছি। তাহলে কেন প্রবাসীর সাথে এই নিকৃষ্ট শব্দের মিল খোঁজেন ? প্রবাসীদের স্ত্রীকে নিয়ে কেন রম্য লিখা তৈরী হয় ?
প্রবাসীর স্ত্রী তিনি যদি ধার্মিক হোন তাহলে তিনি শুধু পরিবারের জন্য নয় সমাজের জন্য একজন শিক্ষিকা হিসেবে ভুমিকা রাখেন। দু একটি ঘটনা দিয়ে কিছুই পরিমাপ করা ঠিক নয়।
তবে এটা ও ঠিক প্রবাসীদের কে ও সচেতন হতে হবে। স্ত্রীর অধিকার নিয়ে ভাবতে হবে , তার অধিকার দেওয়ার বেলায় নিজেকে আপ্রাণ প্রচেষ্টায় রাখতে হবে আর সেটা সম্ভব দেশে যাতায়াত বাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ।
বিষয়: বিবিধ
২৯০১ বার পঠিত, ৪৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটা ফালতু মার্কা মন্তব্য হলো স্বামী প্রবাসে থাকলে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে।
ফালতু মার্কা মন্তব্য ? ?
ইসলামী শরীয়াহ কী বলে??
একটু ঘেঁটে দেখুন প্লীজ
নিজের মতের বিপক্ষে গেলে অসহিষ্ণু হওয়া অনুচিত-
আপনাকে ভালো জানি, ভালো-ও বাসি
দোয়া করি, আর আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ চাই
কিন্তু তাই বলে আমরা কোন সমস্যাকেই একচোখে বিচার করতে পারিনা!
বয়সের বিশেষ স্তরে ও সময়ে শারীরবৃত্তীয় চাহিদা মানুষের নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে্ব পারে- এ সত্য অস্বীকার করার সুযোগ নেই!
আর আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে মহিলারা যেমন দুর্বল তেমন সামাজিক উস্কানিও অনেক বেশী! এসব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে তো!
ফতুয়া দেওয়া হচ্ছে না কেন প্রবাসে যাওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ এটি আপনার আবেগতাড়িত কথা!
হালাল-হারামের সীমানা তো সুস্পষ্ট, এমন কে আছে যে এর পরিবর্তন করতে পারে??
সমস্যা সামনে এলেই পথ রুদ্ধ হয়ে যায়না- এটি ইসলামের এক চিরন্তন বৈশিষ্ট! যেখানেই সমস্যা সেখানেই সমাধানের পথ খুঁজে নিতে উতসাহিত করা হয়েছে!
"ওয়া মা আলাইকুম ফিদ দীনি মিন হারাজ"
"ওয়া মাইঁইয়াত্তাকিল্লাহা ইয়াজআললাহু মাখরাজা"
প্রবাসি পুরুষদের সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমি খুব ভালো অবগত আছি! নিম্নবেতন,ফ্যামিলিভিসার জটিলতা, পারিবারিক জটিলতা ইত্যাদি.. কিন্তু এসবের কারণে শুধুমাত্র স্ত্রীকে দায়ী করা তো ইনসাফের খেলাফ!
দশলাখটাকার গয়না দিয়ে কি স্বামীর সাথে একটা দিন-রাতের মূল্য হবে??
সবরের সীমানা কতদূর??
ইসলামী শরীয়াহ এ সীমানার নির্দেশনা দিয়েছে!
আশা করি আমার প্রিয় ভাইর মনটা শান্ত হয়েছে!
যেন আমাদের কথার মাঝে ইবলিশে ঢুকতে না পারে তাই এতো কথা বলা!
সহমত পোষন করছি ।
শুধু প্রবাসিদের ক্ষেত্রে কেন গ্রামে স্ত্রি রেখে শহরে চাকরি করেন এমন মানুষের সংখ্যা ওতো কম নয়। বরং প্রবাসিরা ১-২ মাস মেয়াদে বাড়ি আসেন তারা ১-২ দিন এর মেয়াদেও আসেননা। বিশেষ করে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ঈদ এর ছুটিও দেয়না সহজে।দেখা যায় বছরে তারা ২-৩ দিনও বাড়ি আসেননা।
সমস্যাটা আসলে ভিন্ন। এটা ঠিক যে এই ধরনের পরকিয়ায় প্রবাসিদের স্ত্রীরা সহজে জড়িয়ে যান। এর অন্যতম কারন কিন্তু সার্বিক নৈতিকতার অবনতি। তার জন্য শুধু প্রবাসিদের দায়ি করা যায়না।
তাইতো ভাইয়া প্রতি চার মাস পরপর আমাকে অনেক অনুনয় করে অনুমতি নিতে হয়।
যদি বুঝে করেন, তার মানে কি ইসলামী আইন বাস্তবায়ন ছাড়া শরইয়্যাহ বিধান মানা যাবে না? স্ত্রীর হক্ব আদায় করতে হলেও কি আগে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করতে হবে? তেমনি নামাজ রোজা পালনের ক্ষেত্রেও কি একই বিধান? আমি তো এখন মসজিদে নই, আবুধাবীতে। আর আপনি ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করার জন্য প্রবাসে এসে কি রাজপথ খুজছেন? যদি উত্তর নেতিবাচক হয় তবে এমন প্রতি মন্তব্যের অর্থ কি?
অথবা আপনার দেয়া টাইটেলের 'নয়' শব্দটি শেষে আনুন এবং 'চরিত্রহীনা' বাদ দিলে ভাল হয়।
যাইহোক আত্মচিন্তাই বড় চিন্তা।
আল্লাহ আমাদের পাপের জন্য ক্ষমা করুন, এরকম বয়সে সঙ্গীর সাথে থাকার ব্যবস্থা করুন!
যদিও বাস্তবতা একটু ভিন্ন! বাস্তব জীবনে প্রবাসীর স্ত্রীর দিকে সমাজের কিছু জারজ সন্তানের কুনজর থাকে!
যারা প্রবাসীর স্ত্রীর একাকিত্ব জীবনের সুযোগে সুটসটি দেয়ার চেষ্টায় সন্ত্রাসের মত ওতপেতে থাকে!!
পরিবেশ ও পরিবারের অদক্ষতার কারনে কিছু চরিত্রহীন নারী পরকিয়ায় মত্তহয়।
%এর হিসেবে প্রবাসীদের স্ত্রীরা ধর্য্যের পরিক্ষায় শত ভাগ না হলেও ৯৫ ভাগ উন্নিত।
ধর্য্যশিল সকল প্রবাসীর স্ত্রীর প্রতি সালাম রহিল।
আবার কিছু চরিত্রহীন ছেলে আছে যারা সুজোগে অন্যের বউয়ের সাথে সম্পর্ক করে।আসলে ধার্মিক বউ হলে অন্যের সাথে সম্পর্ক করার রিস্ক কম থাকে।
সরকারগুলো জনগণের টাকা চুরি করে বলেই মানুষকে প্রবাসে আসতে হচ্ছে। সরকারে চোর না থাকলে বিদেশে আসতে হতো না।
তাই প্রবাসীদেরকে ঢালাওভাবে দোষ দেয়া উচিত না।
এসব প্রবাসীর স্ত্রীরা যদি দেশে থাকে এমন ছেলের সাথে বিয়ে হত তাহলে কি পরকীয়া করতো না । সম্ভাবনা প্রবাসীর চেয়ে কম , কারণ দেশে থেকে খবর পাওয়া আর বাইরে থেকে খবর পাওয়ার মধ্য পার্থক্য আছে ।
যেহেতু বাইরে থাকে এবং তার জন্য দেখেও না ও জানেনও না যে কি করছে তাই স্ত্রীর পক্ষে প্রবাসী স্বামীকে প্রতারণা করে পরকীয়া চালিয়ে যাওয়া খুব স হজ দেশে থাকা স্বামীর চেয়ে ।
তাই , বিয়ের সময় পাত্রী পক্ষের ভেবে দেখা উচিত যে, প্রবাসী ছেলের সাথে যে কি না বউকে নিয়ে যেতে পারবে না সাথে বিয়ে দেবে কি দেবে না । কারন এক্ষেত্রে বিয়ে দিলে মেয়ে পরকীয়া করবেই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ফলে ছেলেটার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে ।
আর প্রবাসী ছেলের উচিত যে বউকে যদি সে বিয়ের অব্যহতি পরেই না নিয়ে যায় তাহলে বউয়ের পরকীয়া সহ্য করার জন্য মনকে প্রস্তুত রাখতে হবে ।
আসলে-
পরকিয়া আর প্রেম অথবা ভালবাসা, ভাললাগা-যাই বলুন, সব কিছুর গুড়াতে হলো কথা একটাই। আর তা হলো, আমরা সামাজিক ভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে লালন করছি না। আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের সংস্কৃতি থেকে তথাকথিত আধুনিক সংস্কৃতির নামে বিদেশী বা পাশ্চাত্য সংস্কৃতির দিকে চলেছি। যার প্রভাবে প্রসবিত নানাবিধ বিয়ারামের একটি হলো পরকিয়া।
আল্লাহ পরকিয়া থেকে পুরুষ মহিলা সবাইকে হেফাজত করুন।
ঠিক বলেছেন ভাই আমরা অপসংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে নিজ সংস্কৃতি দুরে রেখে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন