৫০০ দিন
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:৫৩:২৩ রাত
দেশের স্বাধীনতার মাধ্যমে দেশের জনগণ স্বাধীন না হলেও স্বাধীন হয়েছে ফ্যাসিবাদ ,বাকশাল ,মুজলিম ও খুনিরা। এবং সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে যুদ্ধকালীন সময় ভারতে পালিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের নাম বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীরা। স্বাধীনতা অর্জন করেছে মুক্তিযোদ্ধারা আর স্বাধীনতার ফসল তুলেছে চেতনা ব্যবসায়ীরা।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল অধিকার কিন্তু কই ? আমরা স্বাধীন হয়ে কি পেয়েছি সেই অধিকার ? বরং বারবার দেশের স্বাধীনতা আক্রান্ত হয়েছে বাকশালী রোগে। বর্তমানে ও দেশের স্বাধীনতা চরম ভাবে আক্রান্ত হয়েছে নব্য বাকশাল রোগে। অতীতের বাকশাল থেকে নব্য বাকশাল রোগ অতি মারাত্মক , সেই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের সকল সেক্টর ।বিচার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে গণমাধ্যম পর্যন্ত একই রোগে আক্রান্ত।এই রোগ সৃষ্টি করেছে ফ্যাসিবাদ ,হিংসা ,খুন ,গুম ,জেল জুলুম।
এই ফ্যাসিবাদী ছোবলে দৈনিক আমার দেশ বন্ধ হওয়ার ৫০০ দিন অতিবাহিত করছে ২৩ আগস্ট শনিবার । একই দিনে পত্রিকার অকুতোভয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের দ্বিতীয় দফায় গ্রেপ্তার করার মাধ্যমে তার কলমের শক্তিকে পঙ্গু করার প্রয়াস চালানো হয় । ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল সম্পাদককে গ্রেফতারের পর প্রেস সিলগালা করে দেয় সরকার। এই দীর্ঘ সময় কারাগারে সীমাহীন হয়রানি ও দুর্ভোগে আছেন দেশের মজলুম জনগনের বন্ধু মানবাধিকারের পক্ষে আপসহীন কলমযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান।পত্রিকার প্রেসে সিলগালার মাধ্যমে যন্ত্রণাভরা জীবনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে আমার দেশ-এর চার শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারী ভাই বোনদের।
শেখ হাসিনার পুত্রের দুর্নীতির খবর প্রকাশের কারণে প্রথম শেখ হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়ে আমার দেশ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।গ্রেপ্তার করা হয় সাহসী সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সিল গলা করা হয় পত্রিকার প্রেসে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিচারপতির আলোচিত স্কাইপ কেলেঙ্কারি প্রকাশ এবং ২০১৩ সালের শুরুতে শাহবাগি নাস্তিকদের মুখোশ উন্মোচন করায় দ্বিতীয় দফায় রোষানলে পড়েন নির্ভীক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশ। স্কাইপ কেলেঙ্কারী প্রকাশ করার মাধ্যমে যেখানে জাতীয় বীর খেতাব দেওয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করার কথা ছিল মাহমুদুর রহমানকে সেখানে ফ্যাসিবাদী সরকার তাকে অপমানিত করার চেষ্টা করেছে। নাস্তিকদের মুখোশ উন্মোচন করার ফলে মুসলিম দেশে জুলুমের শিকার হয়েছেন মাহমুদুর রহমান যা একমাত্র নাস্তিকদের বন্ধু সরকারের দ্বারা সম্ভব হয়েছে । নাস্তিক মুরতাদদের মুখোশ উন্মোচন করার কারণে নবী প্রেমিক হওয়ার কারণে রিমান্ডে নিয়ে দেশের সাহসী সন্তান কে চরম নির্যাতন করা হয়েছে যা এখনো বিদ্ধমান রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে উলঙ্গ করে টর্চার করা হয়েছে এই কলম যোদ্ধাকে। এমন কি মেরে ফেলার ও চষ্টা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন -নির্বাচন খেলার মাধ্যমে আরেকবার দেশের জনগনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন আবার অধিকার ফিরে পাওয়ার কথা যেন না বলে সে জন্য নতুন করে সম্প্রচার নীতিমালা করা হয়েছে সাহসীদের মুখে কষ্টিপ টেপ লাগানোর লক্ষে। মুখে টেপ লাগানোর বৃথা চেষ্টা করে লাভ নেই কারণ দুনিয়ায় এমন টেপ নেই যে টেপ হোক বলা থেকে হকপন্থীদের দুরে রাখবে। ইতিহাস সাক্ষী হক বলার কারণে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হতে হয়েছে ।ঈমানী প্রেরণা ,দেশপ্রেম ও মানবতার কাছে জেল জুলুম নির্যাতন কিছুই না।
সময় থাকতে সাহসী সম্পাদক মাহমুদর রহমান ও তার সম্পাদিত পত্রিকা আমার দেশ ,দিগন্ত টিভি সহ সকল বন্ধ করা মিডিয়া চালু করেন দেশের সত সাহসী সাংবাদিকদের রুটি ফিরেয়ে দেন ।অন্যতায় বলা বাহুল্য জনগনের অধিকার নিয়ে খেলা করা কারো জন্য শুভ হয় নাই হবে ও না । ভিন্নমত দমন নীতি করা থেকে দুরে থাকা ভালো। দেশের জনগনের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে শুধু বাকি রয়েছে অগ্নি রূপে হুঙ্কার দেওয়ার। যদি অগ্নি রূপে হুঙ্কার দেয় তখন ফ্যাসিবাদীর কবর রচনা হবে।
বিষয়: বিবিধ
১২০৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু অপ্রিয় কথা
তাঁর সাহসিকতা ও সততা থেকে জাতি যথার্থ কল্যান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো তাঁর "একলাচলো" নীতির কারণে!
আজ তাঁর পাশে তেমন কাউকে দেখা যায়না, কারণ তিনি কাউকে পাশে রাখতে পারেননি!
ফুল যত সুন্দর ও সুঘ্রাণওয়ালাই হোক, বোঁটা ও/বা ফুলদানী ছাড়া কোথাও টিকেনা!
আল্লাহতায়ালা তাঁকে জাযায়ে খায়ের দান করুন!
আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে মূল্যায়ন করি!
আর উপরে যা বলেছি তা তাঁকে ব্যক্তিগত মেইলে আগেও বলেছিলাম- যখন তিনি মুক্ত ছিলেন!
আল্লাহতায়ালা চাইলে তিনি হতেও পারেন ভবিষ্যত বাংলাদেশের জননন্দিত রাষ্ট্রনেতা!
একজন যোগ্য নেতার অভাবে একটি বীরের জাতি আজ পথের কুকুরের চেয়েও বেশী লাঞ্ছিত!!
বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ দিক হলো , আমরা মাহমুদুর রহমানের গ্রেপ্তারের পর তাকে ভুলে গেছি
আমাদের দেশে সম্মানিতদের সম্মান দিতে জানে না
মন্তব্য করতে লগইন করুন