নকল থেকে মুক্ত কিন্তু ডিজিটাল নকল থেকে কয়জন মুক্ত থাকতে পারবে ?
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:০০:২৫ সন্ধ্যা
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে অনেকেই অনেক রকম বক্তব্য দিয়েছিলেন। বিশেষ করে নুরুল ইসলাম নাহিদ জোর গলায় বলেছিলেন এই তত্ত্ব ভুল বিভ্রান্ত মূলক কিন্তু আজ পরীক্ষার রেজাল্টের পর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয় কৌশলে শিকার করেই নিলেন নাহিদ।
শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পড়া লিখা করলে পরীক্ষা দিতেই হবে আর সেই পরীক্ষা নকল মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে পরীক্ষার সফলতা বুঝা যায় । কিন্তু সময় সময় নানান পদ্ধতিতে এই নকল পরীক্ষার পিছু ছাড়তে নারাজ। পরীক্ষার্থীদের ৮০ ভাগ নকল মুক্ত পরীক্ষা চায় তবে ডিজিটাল নকল থেকে কয়জন মুক্ত থাকতে পারবে ?
যখন নকল প্রকাশ্যে হাতে আসে তখন কি করবে পরীক্ষার্থীরা ?পরীক্ষার আগের দিন টেবিলে রাখা কম্পিউটারে টিপ দিলেই প্রশ্নপত্র পাচ্ছে তখন সে কি করে ডিজিটাল নকল থেকে দুরে থাকতে পারবে ?কয়জন পরীক্ষার্থী পারবে নিজেকে সামাল দিতে ?
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ১০০ ভাগ নকল মুক্ত ছিল তার আগে নকল ছিল তবে সেটা অনেকটা সীমিত। কিন্তু ২০০৯ থেকে ডিজিটাল নকল মানে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াটা চলতেছে বছর বছর তীব্র গতিতে চলতেছে।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলেও পরীক্ষার ফলাফলে এর কোনো প্রভাব পড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।তার বক্তব্য কি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাকে শিকার করা হলো না ?
এখন থেকেই সাবধান হতে হবে ডিজিটাল নকলের ক্ষেত্রে। প্রশ্নপত্র ফাঁস করার পেছনে যাদের হাত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে না পারলে আগামীতে দেশের শিক্ষার মান কোন পর্যায়ে যাবে তা বলা বাহুল্য।
বিষয়: বিবিধ
১৩০২ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সহমত।
তা ছাড়া ওনারা তো পুরো দিন মদ-মাগি লইয়া পুরা রাত্রি কাটায় দিনে টেন্ডার বাজি, চান্দা বাজি, গুম বাজি, খুন বাজি ও ধর্ষন বাজি কইরা নেতার আদেশ বাস্তবায়ন করেন। পড়ার সময় পায় না। তাদের জন্য যদি সিমীত আকারে নকলের ব্যবস্থা না করা হয়, তার সকলেই ফেল মারিবে। দলের বেবাক যদি ফেল মারে, দেশের কি হইব, দলের কি হইব, চাপাবাজ নেতাদের কি হইব।
দয়া করি শত্রুরেও কুনদিন খারাপ পরামর্শ দিয়েন না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন