নিজামী ফুল আপাতত গ্রহণ করে নাই মোদি সরকার
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৪ জুন, ২০১৪, ০৭:৫০:১৯ সন্ধ্যা
আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল আজ কিন্তু তা হয় নাই। কারণ হিসেবে ট্রাইব্যুনাল থেকে বলা হয়েছে অসুস্থতার কারণে নিজামী কে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা যাবে না সে জন্য আজ রায় দেওয়া যাচ্ছে না । কিন্তু এর আগে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ ও জামায়াতের সাবেক নেতা আশরাফ উদ্দিন ও মঈনুদ্দিনের অনুপস্থিতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে রায় দেয় । তাছাড়া আল্লামা সাঈদীকে অসুস্থ থাকা সত্তেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করে রায় দিয়েছিল এই আওয়ামী ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু নিজামীর বেলায় এমন কি হলো যার জন্য ট্রাইব্যুনাল রায় দেওয়া থেকে দুরে রইলো ?
অনেকে অনেক রকম মতামত ব্যক্ত করেছেন সবার মতামত সঠিক না হতে পারে আমার মতামত যে সঠিক তা ও নয় তবে আমার মতে " এই রায় ছিল একটি উপহার আর নিজামী ছিলেন একটি ফুল" ভারতীয় নূতন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসার আগেরদিনই জামায়াত আমীরের তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আওয়ামী লীগ। এই রায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উপহার হিসেবে দেওয়ার প্লান ছিল আওয়ামীলীগের সেই উপহার ভারতের নতুন সরকারের জন্য একটি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে চিন্তা করছিল আওয়ামী সরকার।কিন্তু প্লান অনুযায়ী রায় ঘোষণা করতে পারেনি আওয়ামী সরকার। ভালবাসার উপহার নিজামীর রায় ও দিতে পারেনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে।
নিজামী ফুল আপাতত গ্রহণ করে নাই মোদি সরকার । ভারতের নব্য সরকার মনে করে হাসিনার গান্ধী পরিবারের প্রতি যে ভালোবাসা সেটা ভালো করে বিতারিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো রকম উপহার নেওয়া তাদের জন্য মঙ্গল হবে না বা রাজনৈতিক হিসেবে ফলাফল মিলবে না। হাসিনা সরকারের অতি মাত্রা প্রেম আপাতত মোদি গহন করতে অনিচ্ছুক বলেই বিজেপি সরকারের হুকুমে নিজামীর তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণা করা হয় নাই।
এদিকে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ.স ম হান্নান শাহ বলেছেন ‘রায় দিলে হরতাল হতে পারে এই আশঙ্কায় সরকার রায় দিচ্ছে না। রায় কেন হলো না। ‘র’ এর এজেন্ট থেকে খবর এসেছে রায় দেওয়া যাবে না। জনগণ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা যদি দেখে জনগণ প্রতিবাদ করছে তাহলে তিনি ভাববেন সরকারের সাথে জনগণ নেই।
আবার অনেকের মতে আওয়ামীলীগের প্লান ছিল অন্যান্য বারের মতো জামায়াত রায়ের দিন হরতাল ডাকবে, রায়ের পরও হরতাল থাকবে, স্বাভাবিক ভাবে সারাদেশে চরম প্রতিক্রিয়া দেখাবে। প্রতিক্রিয়া দেখাবে অবৈধ রায়ের বিরুদ্ধে আর হাসিনা ভারতের বিজেপি সরকারকে বুঝাতে চাইবে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে আসায় এই ধরনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে জামায়াত। বুঝাতে চাইবে জামায়াত জঙ্গী, সন্ত্রাসী এবং তাদের ঠেকানোর জন্য আওয়ামী লীগকে বিজেপিরও সমর্থন করা দরকার! কিন্তু জামায়াত হরতাল দেয় নি তাই সরকার ও রায় ঘোষণা থেকে সরে এসেছে। মূলত নিজামীর রায় ঘোষণা ছিল আওয়ামীলীগের অপরাজনীতির কার্ড।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭২ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি মনে করি আপনি ভুলের জগত্এ আছেন।
ক্ষমতা লোভী হাসিনার সব পথ বন্ধ। এখন যা করছে এটি বাচার জন্য পাগলামী, ধমকি বা পাগলের শেষ বাচার প্রচেস্টা। ধন্যবাদ।
আওয়ামী লীগের দরকারী সময়ে জামায়াতই এগিয়ে আসে । যেমনটা এসেছিল ১৯৯৪-৯৫ তে ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই । এখানে তেলে জলে মিলমিশ হয় ।
কিন্তু আমলীগ তাদের নিজেদের বাচবার জন্য যত জঘন্য কাজ হোক না কেন তা করতে তারা রাজী ।
কেউ এভাবে বাচতে পারেনি তারাও পারবে বলে আমার মনে হয় না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন