কবর রাজনীতি
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২১ জুন, ২০১৪, ০৮:১২:৫৬ রাত
কবর নাটক আর কবর রাজনীতি আজ একাকার ,মুনীর চৌধুরী লিখেছিলেন ৫২ এর ভাষা আন্দোলন কে কেন্দ্র করে কবর নাটক। আর এখন আওয়ামীলীগ কবর রাজনীতি করতেছে।
আমাদের দেশের সরকার প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করতে কবর নিয়ে নাটক করতেছে আর সে ক্ষেত্রে সাবেক রাষ্টপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের কবর কে টার্গেট করেছে। কবর নিয়ে টানাটানি কেন ?কবরে কি শহীদ জিয়া আছে ? জিয়ার কবর সরিয়ে ফেললেই বা কি হয় ?
আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে কবর না সরিয়ে এখানে শেখ মুজিব পরিবারের কাউকে কবর দিলেই হয়। তখন বিএনপি নেতা কর্মী জেল থেকে মুক্তি পেয়ে রাজনীতি করতে শহীদ জিয়ার কবরের পাশে যাবে না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে দেখাতে বা বিএনপির নেতা হওয়ার জন্য রাজনীতি করতে শহীদ জিয়ার কবর যেন আজ অন্যতম ফেক্ট হয়ে দাড়িয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা আছেন যারা মাঠে না থাকলে ও খালেদা জিয়ার সাথে সাবেক রাষ্টপতি শহীদ জিয়ার কবর জিয়ারত করতে সবার আগে জায়গা করে নেন। এই যে কবর নিয়ে রাজনীতি করণ সেটা বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগকে গিয়ে নাড়া দিয়েছে।
আওয়ামীলীগ এখন দেখতেছে বিএনপির শেষ রাজনৈতিক কর্মসূচি কবর জিয়ারত ঠেকাতে পারলেই বিএনপি প্রতিবন্ধী হয়ে ঘরে থাকবে আর সেই লক্ষে তারা এখন সাবেক রাষ্টপতির কবর সরানোর কাজ হাতে নিয়েছে ।
বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান ও জাতীয় সংসদ ভবনের পাশ থেকে সরিয়ে ঢাকার বাহিরে বিয়ে যাওয়া হতে পারে। এখন দেখার বিষয় বিএনপির কবর জিয়ারত যেসকল নেতা মনে করতেন অন্যতম নেতাগিরী তারা কি করেন।
আওয়ামীলীগকে এটা বুঝা প্রয়োজন সাবেক রাষ্টপতি শহীদ জিয়া হলেন বিএনপির প্রতিষ্টাতা তার কবর নিয়ে রাজনীতি সুস্থ রাজনীতি নয় এটা অসুস্থ রাজনীতি আর এই অসুস্থতা আওয়ামীলীগের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৬ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিএনপি শুধু কেন আমাদের দেশের জনগণ ও যে মুক্তি চায় বলে আমার মনে হয় না।
আইডিয়াটা খারাপ না। এতে কবর রাজনীতি থেকে দেশের মানুষ কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।
জিয়ার মাজার যদি সরিয়ে ফেলে তাহলে ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার নাকি গণশৌচাগার করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর লাল সালু উপন্যাসে মজিদ এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছিল ।
ধন্যবাদ জনাব গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখার জন্য।
নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের অবস্থা কতটা নীচে ইহাই তার অন্যতম পরিচায়ক!
প্রথমে জিয়াউর রহমান এর মাজার উচ্ছেদ। তারপর শেখমুজিবুর রহমানের তারপর তিন নেতার মাজা উচ্ছেদ করে শুরু হবে হাইকোর্ট গোলাপ শাহ ইত্যাদি মাজার উচ্ছেদ এর অভিযান। বিশেষ করে চট্টগ্রামে মাইজভান্ডারি আমানত শাহ প্রভৃতি মাজার উচ্ছেদ এর সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকারের এই কাজে আমার পুর্ণ সমর্থন রয়েছে।
মন্তব্যটা লেখার সময় আমার মাথা গরম হয়নি তবে কিছুটা বিরক্ত ছিলাম মাত্রাতিরিক্ত মাজার-এলার্জি আক্রান্ত ব্লগারদের মতলবী মন্তব্য দেখে । যাকে উদ্দেশ্য করে প্রতি-মন্তব্য করলাম তার থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসলো না কিন্তু মাঝখান দিয়ে "মাথা-ব্যথা” শুরু হয়ে গেলো আপনার । মাযেযা বুঝলাম না ! ওহ্ ! সরি - ঐ মাযেযা, কারামত এসব শব্দগুলো নিয়ে-ও কিন্তু তাদের আছে প্রচন্ড এলার্জি !
কিন্তু চূড়ান্তভাবে কোনটাই সমর্থনযোগ্য নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন