দেশের নারী সমাজের কেউ সংসদে গান করে আবার কেউ কারাগারে বাস করে
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৯ জুন, ২০১৪, ১০:২০:৫৬ রাত
আমাদের দেশ আজব দেশ। ধর্মনিরপক্ষের নামে চলছে ধর্ম বিরোধী কার্যকলাপ। বাংলাদেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনগণ মুসলমান এছাড়া এ দেশে রয়েছে হিন্দু ,বৌদ্ধ ,খ্রিষ্টান। সবার রয়েছে ধর্ম পালনে স্বাধীনতা সে যে ধর্মেরই হোক। ৯০ ভাগ মুসলমান বলে এ দেশে অন্য ধর্ম চর্চা করা যাবে না তা মেনে নেওয়া যাবে না , আবার ১০ ভাগ বলে অধিকারের নামে অতি মাত্রায় চাওয়া ও ঠিক না।
আমাদের দেশে আজ পর্যন্ত কোনো ধর্মের ধর্ম চর্চায় বাধা দিয়েছে ৯০ ভাগ মুসলমান তার নজির নেই। কিন্তু মুসলমানের দেশে মুসলমান (?) সরকার ইসলাম ধর্মের চর্চায় বাধা দিচ্ছে হরহামেশা। আওয়ামীলীগ সরকার অতি মাত্রায় ধর্মনিরপক্ষ হতে গিয়ে ৯০ ভাগ মুসলমানের অধিকারে আঘাত দিচ্ছে বারবার।
ইসলামে যেহেতু ধর্মীয় রাজনীতি কে ফরজ করেছে সেখানে সরকার কেন বাধা দেবে ?ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আর ধর্মীয় রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য আছে। ভোটের সময় মাথায় পট্রি লাগানো হলো ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আর সব সময় হিজাব পরা হলো ইসলামের ফরজ আদায় করা।
গত বুধবার বিকালে খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২৪ জন কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাদের অপরাধ হলো ধর্মীয় চর্চা করা। তাদের অপরাধ হলো কুরআন হাদিস ধর্মীয় বই সাথে রাখা। আজ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন । ৪ দিনের মধ্যে নারী পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলেও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ধর্মীয় চর্চা করলে কারাগারে যেতে হবে কেন ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ?কুরআন হাদিস বা ইসলামী বই কয়েকজন মেয়ে বসে একত্রে পাঠ করলে কি জঙ্গি হয়ে যায় ?ইসলামী আলোচনায় যোগ দিলে কি সরকারের জন্য আতঙ্ক হয়ে যায় ?
এদিকে সংসদে গানে গানে সবার মনে প্রেম জাগালেন শিল্পী মমতাজ এমপি (?) তার গান শুনে অনেকে ৩২ দাত দেখিয়ে হাসলেন।
আপনাদের যদি গাইতে, নাচতে মন চায় বেশি করে গান গান কমর গুটাইয়া নাচেন। কিন্তু সাবধান ধমীয় চর্চায় বাধা দেবেন না। এ দেশের ধার্মিক মানুষ আপনাদের ৩২ দাতের মধ্যে একটি ও রাখবে না তখন সংসদকে গানের মঞ্চ বানিয়ে আর গান শুনে দাত দেখানোর সুযোগ পাবেন না।
বিষয়: বিবিধ
১২১৩ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন