আমিরাতে বাংলাদেশী শ্রমিক বিদেশী আগ্রাসনের শিকার

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৭:৪৫:২৭ সন্ধ্যা

বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ প্রমান করতে যেমন বাংলাদেশের কিছু দেশবিরোধী চক্র লেগেই তাকে ।টিক একইরকম সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের পঁচা , খারাপ ঘৃণ্য,ও অপরাধী হিসেবে পরিচিতি করার জন্য আমিরাতে বিদেশী চক্র লেগে আছে ।বাংলাদেশের আনাচে কানাচে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে পুলিশ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার করে ।আবার কেউ কেউ জনগনের হাতে পিটুনি খায় ,বা অপরাধ করে বিদেশ পালিয়ে যায় ।সব খবর মিডিয়ায় আসে না ।কিন্তু যদি পুলিশ মিত্তে মামলায় বা সত্য মামলায় নিরপরাধ বা অপরাধী কুনো দাড়ি টুপি ওয়ালা বেক্তিকে গ্রেপ্তার করে তাহলে "খাইছেরে " কিছু অসাধু বেক্তি ,ইসলাম বিরোধী ,দেশ দ্রুহী মানুষ হই হুল্লোর করে ব্রেন্ড বাজায় ।আর কিছু সংবাদ পত্র মুরগি ধরার জন্য গাপ্টি মেরে থাকা শিয়ালের ভুমিকা পালন করে তারা এই দাড়ি টুপি ওয়ালা অপরাধী বা নিরপরাধ মানুষটির রঙিন ছবি সহ পত্রিকার শিরোনাম করে ।তার মাধ্যমে তারা ইসলাম বিরোধীদের আনন্দিত করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করে পাশা পাশি ইসলামী বেক্তিত্ব ও ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করে ।এই লেখার মানে এই নয় যে দাড়ি টুপি ওয়ালারা অপরাধ করে না , এটা মনে করবে তারা আমার লেখায় কষ্ট পেয়েছে যারা ।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজী মিডিয়ার ৯০ ভাগ কর্মকর্তা ভারতীয় নাগরিক ।ভারত বিশ্বের একটি প্রভাবশালী দেশ তাদের দেশের মানুষ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে রয়েছে এবং শ্রমিক থেকে শুরু করে বিশাল গুষ্টি রয়েছে উচ্চ কর্মস্তলে ।সেই সুবাদে তারা তাদের দেশের ভাব মূর্তি উজ্জল করতে বিরাট ভুমিকা রাখতে সক্ষম ।কিন্তু তাদের ভাব মূর্তি আরো উজ্জল করতে গিয়ে অন্যদেশের ভাব মূর্তি খারাপ করা অন্যায় বা টিক নয় ,কিন্তু তারা তা করে অনেকে ইচ্ছে আবার অনেকে অনিচ্ছায় ।বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমিকের বাজার বাংলাদেশীদের আয়ত্তে রয়েছে শ্রমিকের বাজার বাংলাদেশের আয়ত্তে থাকা সাবাবিক কারণ আমরা আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী এই পর্যায় আমরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা করি না।শ্রমিকের বাজার আমাদের আয়েত্তে থাকার কারণে আজ বাংলাদেশের রেমিটেনছের সিংহ ভাগ যায় আমিরাত থেকে যা আমাদের আমিরাত প্রবাসীদের জন্য আনন্দের ।কিন্তু শুধু শ্রমিকের সংখা বেশি হওয়ার সুবাদে আমিরাতে ভারতের নাগরিক দ্বারা পরিচালিত ইংরেজী মিডিয়া বাংলাদেশীদের ভাব মূর্তি নষ্টের এই হীন কাজ করতেছে ।বাংলাদেশী নাগরিক যদি রাস্তার মধ্যে থুথু ফেলে তা বড় করে পত্রিকার মধ্যে আসে আবার ভারতীয়রা মদ খেয়ে রাস্তায় চলা ফিরা করে সেটা এই সাংবাদিকদের কেমেরায় ধরা পরে না ।যদি পুলিশের হাতে বাংলাদেশী একজন পতিতাবৃত্তির দালালির অপরাধে গ্রেপ্তার হয় তাহলে পত্রিকার শিরোনাম হয় এক বাংলাদেশী পতিতাবৃত্তির দালাল গ্রেপ্তার ।আর যদি কুনো ভারতীয় নাগরিক এই একই অপরাধে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় তাহলে পত্রিকার শিরোনাম হয় এক এশিয়ান পতিতাবৃত্তির দালালির অপরাধে গ্রেপ্তার ।পাশা পাশি ভারতীদের রয়েছে শক্ত এক কূটনীতি ।যা তাদের দেশের শ্রমিক ও উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাদের ভাব মূর্তি উজ্জল করতে সহায়তা করে ।যা আমাদের দেশের নেই ।

অবস্য এটাও টিক বর্তমানে আমিরাতে বাংলাদেশী অবৈধ শ্রমিকের সংখা বেশি হয়ে অনেকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে গেছে ।অনেকে পতিতাবৃত্তির দালালি ,পর্ণ সিডি বিক্রি ,জুয়া খেলা সহ নানান অপরাধের সাথে জড়িত এবং প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হচ্ছে ।তাদের গ্রেপ্তারের ফলে আমিরাতে সকল বাংলাদেশী নাগরিকের ইমেজ সংকটের প্রায় মুখোমুখি ।দেশ থেকে শ্রমিক কে লুভ দেখিয়ে বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এখানে নিয়ে আসে অনেক দালাল । পরবর্তিতে শ্রমিককে কাজ দিতে পারে না রুম দিতে পারে না এমন কি ভিসা ও লাগাতে পারে না যার ফলে তারা বাধ্য হয়ে অবৈধ বাভে এখানে থেকে যায় । অনেক শ্রমিক দেশে জমি বিক্রি করে , সুধে টাকা নিয়ে বা ধারে টাকা নিয়ে এখানে আসে সেই টাকা পরিশোধের আশায় অবৈধ হতে বাধ্য ।পুরুষ শ্রমিকের পাশা পাশি মহিলা শ্রমিক ও বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত । বাংলাদেশের শ্রমিক আমিরাতে আসার সময় বুজে শুনে আসেনা যদি প্রত্যেক শ্রমিক জেনে শুনে বিভিন্ন দিক চিন্তা করে আসে তাহলে তাদের কে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হতনা ।বিশেষ করে যদি শিক্ষা অর্থাত কুনো রকম চলা ফেরার মত অবস্তা করে আসা তারপর কাজ ,বাসস্তান ,বেতন ও যে কোম্পানিতে আসবে সেই কোম্পানি সম্পর্কে ভালো বাভে জেনে শুনে আসে তাহলে বাংলাদেশী শ্রমিকের এই অবস্তা হত না ।বাংলাদেশের শ্রমিকের পাশাপাশি যদি শিক্ষিত সমাজকে আমিরাত সহ বিশ্বের যেখানে বাংলাদেশী আছে সেখানে সরকারী অর্থে বিদেশ পাটাতে পারে বাংলাদেশ সরকার তাহলে বাংলাদেশের রেমিটেনছের পাশাপাশি ইমেজ উজ্জল হবে ।এবং বিদেশী আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক কে রক্ষা করা যাবে ।

বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বে টিকে থাকতে বিদেশী আগ্রাসনের শিকার হওয়া অসাবাবিক নয় ।কিন্তু এর মুকাবেলা করতে হলে প্রয়োজন শক্তিশালী কূটনীতি , সত , চরিত্রবান ও দক্ষ শৃমিক এবং দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন করে বিদেশে উচ্চপদস্ত চাকরি ।

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য