মধ্যপ্রাচ্যে কেমন আছি আমরা ( পর্ব -১০ ) মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশ কনসুলেট অফিস
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৪ মে, ২০১৪, ০৮:১৫:১০ রাত
লেবার কনসুলেট কর্মকর্তাদের কাজ হলো প্রবাসী শ্রমিকদের কষ্ট দুর্ভুগে পাশে থাকা , প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য কাজ করা। কিন্তু দুঃখ জনক হলে ও সত্য মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশের লেবার কন্সেলরা সরাসরি কোন লেবার এলাকায় গিয়ে লেবারের খবরা খবর নিয়েছেন বলে কোন হদিস নেই।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে আমিরাতের বাংলাদেশী শ্রমিকরা অনেক সমস্যায় জর্জরিত।মধ্যপ্রাচ্যে অসংখ্য বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে বেতন পাচ্ছে না ঠিক মত ,মসজিদ ,পার্ক ,সাগর পারে রাত কাটাতে হচ্ছে ,এমনকি জেল জুলুমের শিকার হয়ে দেশ থেকে টাকা এনে টিকেট করে দেশে ফিরছে। তাদের কোন রকমের সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়াতে এগিয়ে আসছেন না বাংলাদেশ সরকাররের নিযুক্ত প্রবাসী শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য লেবার কনসুলেটের কোনো কর্মকর্তা। উল্টো পাসপোর্ট বা এম,আর,পি করতে গিয়ে কনসুলেট অফিসে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রবাসি বাংলাদেশীরা । পাসপোর্ট নবায়ন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার শুধু নয় চাকুরী হারানোর ভয়ে থাকতে হয়। কারণ পাসপোর্ট নবায়নের জন্য দিয়ে আসার পর তারিখ মত গিয়ে পাসপোর্ট পাচ্ছেন না এমনকি একাদিক তারিখ দিয়ে ও কনসেল অফিস থেকে পাসপোর্ট পাওয়া যায় না , যার ফলে বারবার কর্মস্থল থেকে ছুটি নেওয়া যায় না যার ফলে চাকুরী হুমকির মুখে পরে যায়। সে ক্ষেত্রে কনসুলেট অফিস সাহায্যের পরিবর্তে অফিসে অসব্য আচরণ করে প্রবাসী শ্রমিকদের সাথে।কনসেল অফিসের সামনে হুত পেতে থাকা দালাদের হাতে হয়রানির শিকার হয় প্রবাসীদের। যে ফরম কনসুলেট অফিস থেকে আনতে হয় সে ফরমের শত শত কপি নিয়ে বসে থাকে অফিসের সামনে দালালরা যা অবাক হওয়ার মত কান্ড।এরকম দালালদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনারা ফরম পেলেন কোথায় ওরা জানিয়েছে অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে পেয়েছে । দালালরা অফিসের সামনে বসে প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে প্রয়জনীয় ফরম।
কনসুলেট অফিস কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শ্রমিক সহযোগিতা না পেলেও তাদের কাছ থেকে উপকার পাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী বড় বড় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের সাথে রয়েছে কনসুলেট অফিস কর্মকর্তাদের ভালো সম্পর্ক আর সেটা স্বার্থের জন্য ।
প্রবাসী মন্ত্রনালয়ের আইনে একজন কর্মকর্তা ভিসার মিয়াদ পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকে পারেন ,অতচ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে বাংলাদেশী কন্সেলরা একটানা প্রায় পাচ বছর থেকে চাকরিতে বহাল রয়েছেন ।কয়েক মাস পূর্বে প্রায় ৬ বছর পর আমিরাতের কনসেল এক মহিলা বিদায় নিয়েছেন।
আমাদের দেশে যেমন দুর্নীতি আর কাজের প্রতি অবহেলার মাধ্যমে দেশের উন্নতির লাগাম ধরে রাখা হয়েছে প্রবাসী ও তার ব্যতিক্রম নয় আর সেটার বাস্থব প্রমান মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি কনসুলেট অফিস। দেশের উন্নতি করতে হলে প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে বেশি রেমিটেন্স পাওয়ার আশা করতে হলে অবস্যই শ্রমিকদের জন্য একটা কল্যাণ ময় কনসুলেট অফিস তৈরী করতে হবে যা দ্বারা আমরা সকল প্রবাসী আমাদের সমস্যা সমাধান করতে পারব বিপদে কনসুলেট কর্মকর্তাদের কাছে পাব।
দ্রষ্টব্য : আমার লিখার মধ্যে এক বিন্দু পরিমান মিথ্যে নেই আমি করো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
বিষয়: বিবিধ
২১৬৩ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার মূল্যবান মন্তব্যে আমার লিখা সফল হয়েছে বলে মনে করতেছি। ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন