মধ্যপ্রাচ্যে কেমন আছি আমরা ( পর্ব -৯ ) প্রবাসে চরিত্র সফলতার অন্যতম পন্থা
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৪ মে, ২০১৪, ১২:১৪:০৪ রাত
আধুনিকতার নামে আজকের বিশ্বে বেহায়াপনা চলতেছে অনেক তীব্র গতিতে। সেই গতির তীব্রতা সামান্য হলেও সবার শরীরে আঘাত করে ।সেই আঘাতকে প্রতিহত করে ঠিকে থাকা হচ্ছে জীবনের অন্যতম সফলতা। ঠিকে থাকতে হলে যুদ্ধ করতে হয় সেই যুদ্ধে নিজের চরিত্র হচ্ছে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
বেহায়াপনা আর অশ্লীলতা মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশে বিদ্যমান কম বা বেশি। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী প্রবাসীদের অধিকাংশ ব্যাচলর। এখানে নেই শাসন করার মত কোনো আপন জন নেই ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার মত কেউ তাই নিজেকেই সামলে নিতে হয় নিজে।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশের শাসক ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য অনেক কাজ করে। সরকারী ভাবে টাকা খরচ করে বিশ্বের ইসলামিক স্কলারদের দাওয়াত করে আনা হয় এখানে লেকচারের জন্য ,কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি দেশ থেকে কুরআনের হাফেজ ও কারী কে আনা হয় , প্রতিযোগীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশেষ করে রমজান মাসে বাংলাদেশসহ প্রায় বিশ্বের প্রতিটি দেশ থেকে মেহমান আনা হয় ইসলামিক আলোচনা করার জন্য ও কুরআন তেলায়াত প্রতিযোগিতার জন্য। প্রতি বছর কয়েক হাজার অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশে বিদেশীদের সংখ্যা স্থানীয় জনসংখ্যা থেকে কয়েক গুন বেশি। প্রাশ্চাত্যের প্রতিটি দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে আসে ব্যবসা বানিজ্য করতে আর তাদের সাথে করে নিয়ে আসে অশ্লীলতা যার মাধ্যমে চলে বেহায়াপনা। অশ্লীলতার মাধ্যমে মগজ ধোলাই দেওয়া হচ্ছে এখানকার জনগনকে।মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের উদারতাকে পুজি করে সকল ধরনের অপকর্মের সুযোগ সুবিদা নিচ্ছে প্রাশ্চাত্যের মানুষ , এ অপকর্মের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা।
আমার নিজ চোখে দেখেছি অনেক প্রবাসী আছেন যারা মোটা অঙ্কের টাকা বেতন পেয়ে ও দেশে টাকা পাঠাতে পারে না সব টাকা এখানেই খরচ হয়ে যায়। টাকা পাঠাতে না পারার একমাত্র কারণ সে অশ্লীলতার সাগরে সাতার কাটতেছে। কষ্টের উপার্জিত টাকা অন্যায় পথে খরচ করাই হচ্ছে তার তৃপ্তি। অন্য দিকে সামান্য বেতন পেয়ে ও নিজে ভালো চলতেছে দেশে ও টাকা পাঠাচ্ছে ঠিক মত।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশে তথাকতিত বাংলাদেশী কমিউনিটির মাধ্যমে কষ্টের উপার্জিত টাকা চাদা দিয়ে দেশ থেকে গায়ক -গাইকা ,নায়ক -নাইকা এনে ফুর্তি করা হয়। যে ফুর্তি নিজের শরীরের ঘামের সাথে বেইমানি ছাড়া কিছুই নয়। যদি ইসলামের পথে কোনো ইসলামিক কমিউনিটির পক্ষ থেকে সামান্য কিছু টাকা চাওয়া হয় তাতে তারা রাজনীতির বাতাস খোজে পায় কিন্তু বেহায়াপনার জন্য নিজের চরিত্রকে রাস্তার ডাস্টবিনের ন্যায় বানাতে কিছু লোক আনন্দ পায়। এখানকার শাসকদের সাথে লবিং ও দেশের ভাবমূর্তির উন্নয়নে প্রবাসে শক্তিশালী কমিউনিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশী কমিউনিটি গুলো বাস্তবে কি চায় আমার বুঝে আসে না।
এক দিকে শালীনতা অন্য দিকে অশ্লীলতা তা থেকে বেছে নিতে হয় একটিকে। সেই বেছে নেওয়ার জন্য সব চেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে কাজ করে চরিত্র।ভালো চরিত্রের অধিকারী হলে শালীনতার পথে চলা যাবে খারাপ চরিত্র হলে অশ্লীলতার মহা সমুদ্রে সাতারাতে অসুবিধা থাকে না। চরিত্র উন্নত করার জন্য প্রয়োজন হয় ঈমানী দৃঢ়তা এবং সুন্দর বিবেক। প্রবাস জীবনের সফলতার অন্যতম একটা পন্থা ভালো চরিত্র।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬১ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এক দিকে শালীনতা অন্য দিকে অশ্লীলতা তা থেকে বেছে নিতে হয় একটিকে। সেই বেছে নেওয়ার জন্য সব চেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে কাজ করে চরিত্র।ভালো চরিত্রের অধিকারী হলে শালীনতার পথে চলা যাবে খারাপ চরিত্র হলে অশ্লীলতার মহা সমুদ্রে সাতারাতে অসুবিধা থাকে না। চরিত্র উন্নত করার জন্য প্রয়োজন হয় ঈমানী দৃঢ়তা এবং সুন্দর বিবেক। প্রবাস জীবনের সফলতার অন্যতম একটা পন্থা ভালো চরিত্র।
আমরা যারা দেশের বাহিরে থাকি, তারা কিন্তু একেকজন নিজের ফ্যামিলির,দেশের এ্যামব্যাসাডার হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করি; এ কথাটাই আমরা বুঝি না। মনে করি, দেশের বাহিরে কে কি বললো তাতে কি যায় আসে???
আপনারা সাথে থাকলে আমার লিখার উন্নতি হবে ,,ইনশা আল্লাহ
আরেকটা কথা সব সময় আমার লিখার ভুল ত্রুটি দেখিয়ে দেবেন আর তাতেই আমি কৃতজ্ঞ থাকব।
এক দিকে শালীনতা অন্য দিকে অশ্লীলতা তা থেকে বেছে নিতে হয় একটিকে। সেই বেছে নেওয়ার জন্য সব চেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে কাজ করে চরিত্র।ভালো চরিত্রের অধিকারী হলে শালীনতার পথে চলা যাবে খারাপ চরিত্র হলে অশ্লীলতার মহা সমুদ্রে সাতারাতে অসুবিধা থাকে না। চরিত্র উন্নত করার জন্য প্রয়োজন হয় ঈমানী দৃঢ়তা এবং সুন্দর বিবেক। প্রবাস জীবনের সফলতার অন্যতম একটা পন্থা ভালো চরিত্র।
ঠিক আছে ভাইয়া আমি এই লাইনের আগে দুটি শব্দ যোগ করে দিচ্ছি
সত্যি কথা তুলে ধরেছেন।
মসজিদের জন্য এক টাকা দিতে রাজি নাই কিন্তু মমতাজের পিছনে টাকা ঢালতে সমস্যা নাই
আপনার মূল্যবান মন্তব্যে আমি অনেক প্রেরণা পেয়েছি
খুবই শাহসী উচ্চারণ। অত্যন্তু সুন্দর এবং বাস্তব কথাটিই বলেছেন।
সত্য কথাটি সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন