মধ্যপ্রাচ্যে কেমন আছি আমরা ( পর্ব -৮ ) পরিবেশ মানসিকতা পাল্টে দিতে অন্যতম ভুমিকা রাখে
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০১ মে, ২০১৪, ০৭:৫৪:৪৮ সন্ধ্যা
প্রবাস আর দেশ এই দুটি কথার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পার্থক্য হচ্ছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতি পরিবর্তন আসার মাধ্যমে প্রবাসের স্বাধ বুঝা যায় ,সংস্কৃতির অবস্থানের মাধ্যমে প্রবাসীদের জীবন পরিচালনার অবস্থান তৈরী হয়।
প্রবাসে এসে নতুন একটি সংস্কৃতির সাথে নিজেকে মানিয়ে চলতে হয়। সে ক্ষেত্রে ভাষা ও পরিবেশ অন্যতম খাবার দাবার ,আচার আচরণের বিষয়টা ও কম নয়।
প্রবাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভাষা। যত তারাতারি ভাষা শিখে নেওয়া যায় তত ভালো ।মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশের ভাষা আরবি অনেক সময় আরবি জানার কারণে অনেক বিপদ থেকে বাঁচা যায় ,কাজ তারাতারি শিখা যায় । কর্মস্থলের সহকর্মী যদি আরবি হয় তাহলে তারাতারি আরবি শিখা যায় তবে নিজের প্রচেষ্টা অন্যতম ভুমিকা রাখে ভাষা জানার ক্ষেত্রে। মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে আরবির পাশাপাশি ইংরেজি, উর্দু,হিন্দি ভাষা জানতে হয় । সহকর্মীর সাথে কথা বলতে হবে আগ্রহ সহকারে তবে বেশি কথা বলা যাবে না কারণ মানুষের মানসিকতা বলে একটা বিষয় আছে।
প্রবাসে এসে একজন ব্যক্তি যদি ভালো কাজ না পান তাহলে সে কাজ চাইলেই পরিবর্তন করতে পারবেনা । তবে সেটা সম্ভব কিন্তু অনেক জটিল ,বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে কাজ পরিবর্তন বা মালিক পরিবর্তনে অনেক জটিলতা রয়েছে কাতার ,কুয়েত ,বাহরাইন ও সৌদি আরবে সেটা হচ্ছে কিন্তু ওমান এবং আমিরাতে বন্ধ রয়েছে শুধু বাংলাদেশীদের জন্য। সে জন্য কাজ ভালো নয় বলে কাজ ছেড়ে দিতে পারবেন না ,কাজ করতে হবে দৈর্য সহকারে এবং সঠিক ভাবে। কেউ খারাপ একটা গালি দিয়েছে সেটাকে প্রতিহত করতে হবে হাসি মুখে হিকমতের সহিত রাগ করা চলবে না । মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশে মারামারির মাধ্যমে রক্ত ঝরালে বা আহত করলে কটুর শাস্তি পেতে হয় আমিরাতের আইন অনুযায়ী ২০ দিন জেল ১০ হাজার দেরহাম (প্রায় ২১৮০০০ টাকা ) জরিমানা। তাই নিজের দৈর্য শক্তির যত্বন নিতে হয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে।
আমাদের দেশের একটা পরিবেশ বড় দের সামনে নিজেকে ছোট্র করে রাখার। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে এরকম নয় মানুষ হিসেবে সবাই সমান হয়তো কাজের পরিধি হিসেবে ছোট্র বড় রয়েছে । উদাহরণ সরূপ বলা যায় দেশে অফিসের গেইট সিকিউরিটি প্রবেশ কারীকে সালাম দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যায় সেই সালাম আসলে কোন অর্থে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু প্রবাসে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে সিকিউরিটি প্রবেশ কারীর সালামের জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যায় যার মাধ্যমে মানসিকতার একটা বিশাল পার্থক্য বহন করে।
দেশে কিছু আদান প্রধানের সময় ডান হাতের মধ্যে বাম হাতে ছুয়ে দেওয়া নেওয়া করা হয় কিন্তু এখানে এরকম বিষয়টা কৌতুহল সৃষ্টি করে। একদিন এক অফিসে কারণ বসত যেতে হয়েছিল সেখানে একজন বাংলাদেশী যুবক কর্মরত ছিলেন কথার মাধ্যমে জানতে পেলাম উনি নতুন। তন্মধ্যে একটি কাগজ আমাকে দিতে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন বাংলাদেশী ভাই উনার ডান হাতের মধ্যে বাম হাত রেখে আমাকে কাগজটি দিলেন। আমি যার কাছে এসেছি আমার এক স্যারের কাজে সেই আরবি ব্যক্তি আমাকে কৌতহলের সাথে জিজ্ঞাসা করলেন (শু -হাদা )হাতের মধ্যে হাত টাচের কারণ কি ?আমি উনাকে আর কি বলার আছে আমি বলেছিলাম এটা বাংলাদেশের সংস্কৃতির নাম অপসংস্কৃতি । পরিবেশে সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া প্রবাসীদের জন্য অন্যতম একটা গুরুত্বের বিষয়। তাই অনেক বিষয় আছে যা প্রবাসে করা ঠিক নয় বা পরিবেশের জন্য বেমানান।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৮ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ
দেশে কিছু আদান প্রধানের সময় ডান হাতের মধ্যে বাম হাতে ছুয়ে দেওয়া নেওয়া করা ।এই জায়গাটা আমি বুঝি নি আর এরকম কিছু দেখেনি ও ।তবে আমি যেটা দেখেছি ডান হাতটা যখন বিজি থাকে তখন বড়দেরকে কিছু দেয়া না নেয়ার প্রয়োজন পড়লে তাকে সন্মান করে বাম হাতের সাথে ডান হাতকে একটু ছুয়ে দেয় । ইউরোপে আদান প্রাদান বা হাতেই চলে ।
আমি নিজেই এরকম করেছি যা একটা ফালতু কাজ ,,আপনি দেখেন নি হয়তো। অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য
ভালো লাগলো
আপনার লিখার অপেক্ষায় আছি কিন্তু
আর নতুন প্রবাসীদের জন্য ভাল কিছু উপদেশ দিলেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন