মধ্যপ্রাচ্যে কেমন আছি আমরা ( পর্ব -৬ ) প্রবাসে কাগুজে ডকুমেন্ট অনেক গুরুত্বের
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:০৭:৫৭ রাত
তার মধ্য দিয়ে নিজের জীবন সুন্দর করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং সফল ও হয়েছেন অনেকটা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতা পিছু ছাড়েনি তার ,২০১৩ সালের শেষের দিকে আমিরাত সরকারের জরুরি ফর্মুলার মাধ্যমে অবৈধ শ্রমিক ধর পাকর শুরু করে আর তাতে টুপি ওয়ালা ও গ্রেপ্তার হয়ে যান তবে আরো কিছু দিন থাকলে ভালো একটি অবস্থানে যেতে পারতেন তবে ইটা বলা যায তিনি অনেকটা সফল হয়ে গেছেন। উনি যেরকম একজন পরিশ্রমী মানুষ যদি দেখে শুনে ভিসা ক্রয় করে আসতেন তাহলে সফলতার চূড়ান্ত পর্বে যেতে পারতেন বলে আমার বিশ্বাস। প্রবাসে আসার আগে একটু বুঝে শুনে আসলেই যে সফলতা পূর্ণ রূপে না পেলে ও শান্তিতে থাকা যায় সেটা মানতেই হবে।
একই গ্রামের তিনজন বাংলাদেশী ২০০৮ সালেব্র জানুয়ারী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি বড় কোম্পানিতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এসেছেন। তাদের ভাস্য অনুযায়ী প্রায় তিন লক্ষ্য টাকা করে দিয়েছেন একেকজনে।যে বাংলাদেশী তাদের ভিসা দিয়েছে সে ও তাদের গ্রামের এবং একই কোম্পানিতে কর্মরত।প্রবাসে আসার পূর্বে সে বলেছে আমিরাতে এসে বেতন পাবে ৪০ হাজার টাকা খাবার দাবার ফ্রি। কিন্তু এখানে এসে তিন জন দেখতে পেলেন কোম্পানি ঠিক আছে কাজ ও ঠিক আছে কিন্তু খাবার বা থাকার জায়গা ফ্রি নয় এমনকি বেতন মাত্র ১৬ হাজার টাকা থাকা খাওয়ার খরছ শেষে তিন হাজার ও বাঁচে না । এরকম প্রায় ৬ মাস চলে যায় পরবর্তিতে এক দিন ঐ তিনজন আত্বীয় স্বজনদের পরামর্শে কোম্পানির পারসনাল ম্যানেজারের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্তে আসলো। একদিন সময় বুঝে ম্যানেজারের সাথে দেখা করে বেতন সম্পর্কে বলতেই ম্যানেজার জবাব দিয়েছেন আমরা টাকা ছাড়া ভিসা দেই যার ফলে বেতন কম তবে বেতন বাড়বে পরবর্তিতে।কিন্তু উনারা যে একেকজন আমিরতের প্রায় ১৫ হাজার দেরহাম দিয়ে এসেছে সেটা ম্যানেজার জানেনা। সেই ফাঁকে তারা তিন লক্ষ্য টাকা করে দিয়ে এসেছেন সেটা ম্যানেজারকে জানিয়ে দিতেই ম্যানেজার অবাক হয়ে উনাদেরকে পরের দিন আবার অফিসে যাওয়ার জন্য বলেন। ম্যানেজারের কথা মত পরের দিন আবার অফিসে গিয়ে দেখতে পেলেন ম্যানেজারের অফিসে বসা আমিরাতের শারজাহ কোর্টের একজন আইনজীবী এই আইনজীবী উক্ত কোম্পানির একজন স্টাফ।
ম্যানেজার ওদের কে আইনজীবীর সাথে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন তারা অনেকটা ভয়ের মধ্যে ছিলেন। আইনজীবীর সাথে পুলিশ স্টেশনে গেলেন। আইনজীবী তাদের কে দিয়ে একটি ফাইলে সাইন করিয়ে ফিরে আসলেন আবার কোম্পানিতে। এবার তাদের কাছ থেকে আইনজীবী বিষয়টা শুনতে চাইলেন তার আগে টাকা দিয়েছেন যে তার ডকুমেন্ট চাইলেন ,কিন্তু ডকুমেন্ট কিছু নাই কারণ দেশে টাকা দেওয়ার সময় প্রুফ রাখেন নি হাতে টাকা দিয়েছেন।
আইনিজিবি নিরব থেকে তাদেরকে নিয়ে ম্যানেজারের কাছে গিয়ে জানিয়ে আসলেন এই বিষয় এবং অন্য একদিন তারিখ দিলেন আসার জন্য। কথা মত তিন জন আবার গেলেন তাদের সাথে আজ টাকার বিনয়ে যে এনেছে সে ও এসেছে অফিসে। অনেক কথা বার্তার পর একটাই সিদ্ধান্ত নিলেন ম্যানেজার টাকা যিনি নিয়েছেন তাকে কোম্পানি থেকে বিদায় করে দেবেন এবং দিয়ে ও দিলেন। অন্য দিকে ডকুমেন্টার অভাবে তিনজনের জন্য করতে পারেন নি আইনজীবী।এখন ও তারা উক্ত কোম্পানিতে আছেন এবং অনেক ভালোই আছেন তার মধ্যে একজন ভালো পোস্টে আছেন একজন দেশে চলে গেছে। দেশ থেকে আসার সময় টাকা বিনিময়ে যদি সামান্য কাগুজে ডকুমেন্ট সাথে থাকত তাহলে হয়ত তাদের অনেক উপকার হত। ,,,,,,( চলবে )
বিষয়: বিবিধ
১৬০৯ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো আছি বলতে শান্তিতে আছি দোয়া করবেন যেন সফল হতে পারি
যদি শোকর আদায় কর, তবে (নিয়ামত) বাড়িয়ে দেবো,
আর যদি না-শোকরী(অকৃতজ্ঞতা) কর,
তবে জেনে রাখো- আমার শাস্তি বড়ই কঠোর...
প্রবাসে যত কষ্টই হোক, সুখ-ও কম নয়!
বেশী কষ্ট তাদের- যারা না-শোকরী করেন!
যারা আল্লাহর শোকর আদায় করেন-
একসময় তাঁরা দুঃখ-কষ্টের পর্বটা পেরিয়ে যান!!
আর-
দেশেই কি খুব সুখ????
তাঁরা দেশেও সুখে থাকতে পারেননা যাঁরা আল্লাহর হুকুমমত চলতে চান- তাঁদের জন্য এখন প্রবাসই উত্তম!
ঘর থেকে টেনে বের করে সরাসরি গুলি করে মেরে বলে-
ক্রসফায়ার বা গুলিবিনিময়ে মারা পড়েছে!!
মানুষ তো রাতে ঘরে ফেরে শান্তির জন্য, ঘুমানোর জন্য-
কিন্তু দেশে আল্লাহর শোকর-গুজার বান্দারা রাত হলেই বেরিয়ে পড়েন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে- যেখানে একটু ঘুমানো যায়....
এখানে একটু দেখুন
তবে পরিবার-আত্মীয় ছেড়ে দূরে থাকার কষ্ট ভিন্ন জিনিস!
গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালনের জন্য তেমন কষ্ট দেশে থাকলেও কম নয়!!
দুঃখিত! অনেক কথা বলে ফেললাম!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন