মধ্যপ্রাচ্যে কেমন আছি আমরা ( পর্ব -৪) মুখের শব্দ বন্ধ হয়ে যায় মনের শব্দের তাড়া খেয়ে
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৭ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:২৪:০৬ সন্ধ্যা
সে বলে উপস্তিত সবাই একই মালিকের ভিসায় দুবাই এসেছে। তাদের আরবাব (মালিক ) বাংলাদেশী। গত এক মাস যাবত মালিক তাদের কাজের জন্য বলে না এমন কি যোগাযোগ ও করেনা এবং তিন মাসের বেতন পর্যন্ত দেয় নি তবে গত এক মাস আগ পর্যন্ত খাবারের জন্য টাকা দিয়েছিল এখন তা ও দিচ্ছে না।
তাই তারা সবাই আজ একমাস থেকে অনেক কষ্টে আছে। খাবার দাবার খেতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। এর মধ্যে একজন বলেন উনি গত এক সপ্তাহ থেকে এসকেরাপ (ভাঙ্গারি ) কুড়িয়ে বিক্রি করে খবর খাচ্ছেন কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। অন্য জন বলেন তিনি গত কাল পাশের বাসার এক বাংলাদেশীর কাছ থেকে ২০ দেরহাম এনে খাবার খেয়েছেন তিন জন মিলে। আরেকজন বলেন আমার বাচ্চারা দেশে অনেক কষ্টে আছে আমি ভালো নেই তাতে আমার কোনো কষ্ট নেই কিন্তু দেশে আমার বাচ্চা এতটুকু বলতেই উনার মুখের শব্দ বন্ধ হয়ে যায় মনের শব্দের তাড়া খেয়ে।অন্য একজন বলেন দেশে জমি বিক্রি করে স্ত্রীর সর্ণ বন্ধক রেখে এসেছি এখন কি করব চিন্তা করে পাচ্ছি না দেশে ও যাওয়া সম্ভব না। যখন তারা এসব বলতেছিলেন তখন তাদের চোখের মধ্যে পানির বন্যা চলতেছিল আর আমার মনের অবস্থা কেমন ছিল তা পাঠক বুঝে নেবেন। আমাকে এত কিছু বলার কারন ছিল আমি উনাদেরকে বলেছিলাম আমি দেখি আপনাদের জন্য কিছু করতে পারি কিনা সেই প্রেক্ষিতে সব খুলে বলেছিলেন উনারা।
আমি সবাই কে বললাম দেখেন ভাই আমি ও আপনাদের মত প্রবাসী আমার ও ভালো কোনো অবস্থান নেই এখানে তবে আমি আপনাদের জন্য যা করতে পারব তা হলো দেশের সংবাদ পত্রে কিংবা এখানের একটি সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকায় আপনাদের বিষয়টা লিখতে পারি।আর যদি আল্লাহর হুকুম হয় আপনাদের জন্য কাজের ব্যাবস্থা করতে পারি কিছু দিনের জন্য। তবে আপনারা আমাকে একদিন সময় দিতে হবে। উনারা এতেই সন্তুষ্ট কারণ আমি উনাদের তিন চার জনের কথায় বুঝতে পেরেছি উনাদের লক্ষ্য ছিল এক মাস কাজ করে দেশে চলে যাবেন এবং আমার এই লিখা দিয়ে উনারা দেশে গিয়ে মামলা করবেন কিন্তু দেশে যাওয়ার জন্য যে বিমান টিকেট প্রয়োজন সেটা কে দেবে আর কি করে দেশে যাবেন সেটা চিন্তার বিষয় ? বাকিরা এখানে অবৈধ ভাবে থেকে যাবেন মনে হয়েছে।
হোটেল থেকে বের হয়ে বাংলাদেশের সাপ্তহিক একটি বাংলা পত্রিকার আমিরাত প্রতিনিদী শাকিল ভাইয়ের কাছে ফোন দিলাম ,আমি ছিলাম পত্রিকাটির শারজাহ শাখার ফ্রি প্রতিনিধি ।পত্রিকাটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ও মালেশিয়ার কমিউনিটি খবরের জন্য স্পেশাল ছিল।উনি ও শারজাহ শহরে থাকতেন তবে উনি এখানের নিউজ করেন না এখানের নিউজ আমি করতাম। আমার ফোন পেয়ে রাতে উনি আমার কাছে চলে আসলেন আর বিষয়টা শুনে উনি ফোন করলেন বড় একজন বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীর কাছে অনুরুধ করলেন কয়েকজনের কর্মসংস্থানের জন্য সাথে বলে দিলেন ওদের মালিক ওদের খোজ নেয় না তাই আপনার কাছে ফোন করা। উক্ত ব্যাবসায়ী ৫ জনের কাজ দেবেন তবে আজ নয় আগামী কাল সন্ধের পর গাড়ি পাটাবেন তাদের নিয়ে যাবে গাড়ি।,,,,,,,
( চলবে )
বিষয়: বিবিধ
১২৪৩ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রবাসীদের কষ্ট কেউ দেখতে চায় না
মন্তব্য করতে লগইন করুন