মধ্যপ্রাচ্যে কেমন আছি আমরা ( পর্ব - ৩) চক্রান্ত নয় যেন জীবন নিয়ে খেলা
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:১৩:৫৮ সন্ধ্যা
আত্বীয়ের সাথে করে বাসায় গিয়ে চোখ হয়ে যায় ছানাবড়া।১০ ফুট দৈর্ঘ্য ৮ ফুট প্রস্থ এক ঘরে তিন-চারটি ছোট্র ছোট্র খাট তা ও আবার দুই তলা বিশিষ্ট তবে সেটা জায়গা বেদে সব জায়গায় একই অবস্থা নয়।এক দিন কান্নাজড়িত চোখ নিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং রাতে ঘুমাতে হয় ঘুম থেকে উঠেয়েই শুরু হয়ে যায় কাজের সন্ধান।
যাদের ভাগ্য ভালো অর্থাৎ জেনে শুনে ভিসা ক্রয় করেছেন তারা মেডিকেল দিয়েই রিপোর্ট পেয়ে নিজ কর্মস্থলে কাজে লেগে যান।সময় সুযোগে বাসা পরিবর্তন করেন ভালো পরিবেশ তৈরী করেন। কিন্তু যারা চক্রান্তের শিকার তাদের কি হবে ?যারা দেশ থেকে এসে মালিক খুঁজে পায় না ,কাজ পায় না থাকার জায়গা পায় না তারা কোথায় যাবে ?কি খাবে ?এরকম হাজার হাজার ঘটনা ঘটেছে যে ,এয়ারপোর্ট থেকে নেমে কাউকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে হয়েছে বা আত্বীয়ের সাথে বাসায় এসেছে ঠিকই কিন্তু মালিক পাওয়া যায় নি কাজ পাওয়া যায় নি। দেশের জায়গা জমি বিক্রি করে সুদে টাকা নিয়ে প্রবাসে এসে যখন কাজের সন্ধান পাওয়া যায় না থাকার জায়গা মিলে না তখন কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় একজন মানুষের মনের ভেতর ?অনেকের জায়গা হয় প্রবাসের হাসপাতালে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে।
বাংলাদেশী বাংলাদেশীকে সবচেয়ে বেশি ধোকা দিচ্ছে মিথ্যে কথা বলে কাজের নামে ফ্রি ভিসায় এনে যখন কাজ দিতে পারতেছে না তখন অনেকে কিংবা দেশে চলে যেতে হচ্ছে যাদের দেশে যাওয়ার মত মানসিকতা থাকে না তারা অবৈধ ভাবে থেকে যাচ্ছেন কাজ পেলে করতেছেন না হয় বেকার দিন কাটাচ্ছেন এমন কি আত্মহত্যা ও করতেছেন অনেকে। এরকম একটি ঘটনা আমি নিজ চোখে দেখেছি ,২০১২ সালের সম্ভবত নবেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এক সন্ধায় আমি আমার বাসার নিচে হাটতেছি তখন দেখতে পেলাম একজন বাংলাদেশী ভাই ফোনের মধ্যে উচ্চস্বরে কাদতেছে আমি ছেলেটিকে আর কখনো এই এরিয়ায় দেখিনি তাই কাছে গিয়ে ভালো করে তার চেহারা দেখে চলে আসলাম মনে হয়েছে আমার চেয়ে বয়সে কম ।কিছুক্ষণ পর আবার গেলাম তখনও তার ফোন শেষ হয় নাই আমি ছেলেটির হাতে হাত দিয়ে ফোন শেষ করার ইশারা দিতেই সে আতকে উঠেছিল মনে হয়েছে সে ফোন শেষ করে দিল মিনিটের মধ্যেই। ফোন শেষ করেই আমাকে বলে ভাইয়া আপনি কে আমি কিছু না বলেই তার হাত ধরে আমার সাথে কথা বলার অনুমতি চেয়ে এখান থেকে চলে অন্যত্রে যেতে বললাম সে ও কথা মত চলে এলো। আমি তার কান্নার কারণ জানতে চাইলাম তন্মধ্যে আমার ফোন চলে আসায় আমি সেদিন কাজে চলে যাই আর আসার সময় তার মোবাইল নাম্বারটি নিয়ে আসলাম। কাজে এসে ফোন করতেই সে পর দিন সন্ধার পর সময় চাইল আমার সাথে কথা বলার আমি ও সময় দিলাম। যেমন কথা তেমন কাজ পর দিন আমি পূর্ব নির্ধারিত একটি হোটেলে দেখা করতে গেলাম গিয়ে দেখি একটি বিশাল গ্রুপ ওরা ৯ জন আমি অবাক হলাম কারণ এভাবে ১০ জন একসাথে চলা ফেরার পরিবেশ নেই এখানে। আমাকে একটি চেয়ার ছেড়ে দেওয়া হলো আমি বসতেই একজন চায়ের কথা বলেছে চা আসলো আর আমি ঐ ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার সে দিনের কান্নার কারণ কি এবং এই গ্রুপ কেন ?সে আমাকে বলতে লাগলো তার এবং উপস্থিত ৮ জনের করুন কাহিনী ,,,,(চলবে )
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৮ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাথে থাকবেন ভাইয়া আপনাদের কাছে কষ্টের কথা বলতে চাই
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন