মধ্যপ্রাচ্যে কেমন আছি আমরা ( পর্ব - ২) @}; নতুন জীবন শুরু
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:৪৩:৪৭ সন্ধ্যা
যদি ও কেউ জানতে চায় না প্রবাসীরা কেমন আছে কিন্তু প্রবাসীরা সব সময় দেশ ,সমাজ ও পরিবার নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কাজের ফাঁকে দেশের খবর রাখতে একটু ও কার্পন্য করে না প্রবাসীরা। টেলিভিশনের পর্দায় অনলাইন পত্রিকায় সব সময় চোখ রাখেন প্রবাসীরা। দেশের ভালো খবর শুনে ও দেখে যেমনটা সুখের সাথে নিশ্বাস ফেলে ঠিক তেমনটা কষ্টের নিশ্বাস ফেলেন যদি দেশের আকাশে হিংসা ও ধ্বংসের কালো মেঘ দেখেন।
প্রবাসীরা বাংলাদেশের একটি অঙ্গ ,কিন্তু সেই অঙ্গে ব্যথা হলে কেন দেশ বুঝে না সেটাই প্রশ্ন। তারপর ও প্রবাসীরা দেশের প্রতি একটু ও নারাজ নয় একটু ও ঘৃনা রাখেনা মনের ভেতর উপরন্তু ভালোবাসার পরিমান দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের চেয়ে অনেক বেশি মনে জাগায় প্রবাসীরা ।
মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী প্রবাসীরা জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে তৃপ্তিসহকারে আশা পূরণ করতে অনেক ক্ষেত্রে সক্ষম হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে বাংলাদেশীরা দক্ষতার সাথে পরিশ্রম করে দেশ ও পরিবারকে মানসম্মত জীবন পরিচালনার জন্য গৌরবপূর্ণ ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন। আর সেটা করতে গিয়ে অনেক ত্যাগ শিকার করতে হয় প্রবাসীদের। ত্যাগের মধ্যে প্রবাসীরা সুখ খুঁজে পায় , তৃপ্তি খুঁজে বেড়ায়।
যখন সে দেশে থাকাকালীন সময় শুনতে পায় আগামী মাসের নির্দিষ্ট একটি তারিখে তাকে দেশ ত্যাগ করতে হবে তখন থেকেই তার মনে দেশের প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা জন্মে।
দেশ থেকে বিদায়ের মুহুর্তে চোখের পানি লুকিযে রাখা গেলও মনের ভেতর হাহাকার করতেই থাকে , প্রিয়জনদের ছেড়ে চলে আসতে হয় প্রবাসে। শুরু হয় যায় প্রবাস জীবন নেমে পড়তে হয় নতুন জীবন যুদ্ধে , বদলাতে হয় নিজের মানসিকতাকে।নতুন এক সংস্কৃততে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হয় কষ্টের বিনিময়ে হলেও।
বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট এবং মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারপোর্টের পার্থক্যের মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় নতুনের শুরু। বিমান থেকেই নেমে দেখতে হয় আরাবিয়ান জাতীয় পোশাক। বিমান বন্দরে কর্মরত অবস্থায় জাতীয় পোশাক পরিধান করে পুরুষ ও মহিলা।তারা পোশাক ও আচরণের শালীনতা সম্পর্কিত ইসলামী আদর্শ নির্দেশিত পরিবেশে ঢিলাঢালা স্বাচ্ছন্দ্য পোশাকের উপর গুরুত্বারোপ করে। পুরুষরা পরে তোব, হাঁটু পর্যন্ত দীর্ঘ উল বা সুতার একটি কুর্তা। ঐতিহ্যবাহী মাথার বস্ত্রকে বলা হয় ‘ঘুতরা'। পুরুষরাই তা পরিধান করে। মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক অঞ্চলিক ও উপজাতীয় প্রথা অনুযায়ী লেস থাকে। মুদ্রা ও ধাতব সুতা দিয়ে এসব লেস তৈরি করা হয়। মহিলারা মাথায় যে পোশাক পরিধান করে তাকে বলা হয় শায়লা। কালো কাপড়ের তৈরি রুমাল দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা হয়।বর্তমানে আধুনিক পোশাকের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় যা বয়স ও ঋতু অনুযায়ী নির্ধারিত হয় তবে বিমান বন্দরে জাতীয় পোশাক পরে। বিমান বন্দরে অত্যন্ত সম্মান সহকারে ইমিগ্রেশনে শেষ করে এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে অপেক্ষামান আত্বীয়ের সাথে প্রবাসীদের যেতে হয় আপন ঠিকানায় ,,,,,,,,,,,,,,,,( চলবে )
বিষয়: বিবিধ
১৬৭১ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কবি বলেন; "ভক্তি পূঁজা দিইনি যারে, ভুলেও যাহা বক্ষে থেকে/ নম্রশিরে প্রনাম করি দূর হতে তার মূর্তী দেখে৷" অত্যন্ত বাস্তব কথা, কি বলেন?
জাযাকাল্লাহ খায়ের
আপনার লেখা খুব ভাল লাগছে ,চলুক সাথে আছি ।
প্রবাসিদের কষ্ট ও অবদানের কথা সকলকে জানান উচিত।
রসময় অভিজ্ঞতাকে কষ্টের সাথে মিলিয়ে দিন। পাঠক কে স্মৃতির সাথে খেলতে দিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন