এই বুঝি আসল কথা ?
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৭ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:১৯:১০ রাত
তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল গণজাগরন মঞ্চ। তাদের দাবি ছিল বিচার নয় ফাঁসি চাই। শাহবাগের মঞ্চ থেকে তারা দেশের বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্টান বিশেষ করে যে সকল ব্যাবসা প্রতিষ্টানের সাথে ইসলাম নাম আছে এবং সরকারের সমালোচক কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছিল। সরকার ও তাদের দাবি পূরণে যতেষ্ট সুচ্চার ছিল যার প্রেক্ষিতে আমার দেশ পত্রিকা এখনও বন্ধ রয়েছে পত্রিকাটির সপাদক মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জেলে রয়েছেন। শুধু তাই নয় এই মঞ্চ থেকে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তাদের এই অপকর্মের জবাব দিতে সমাবেশ করতে চেয়ে লাশ হয়েছে অনেক ইসলামপ্রেমী জনতা আর সেই লাশের চিত্র জনগনের কাছে প্রকাশ করে বন্ধ রয়েছে দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি ।
কিছু দিন নীরব থাকার পর এখন আবার তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ সামনে এসেছে।শুরু থেকেই তথাকথিত সংগঠনটি ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ সমর্থন এবং পুলিশি নিরাপত্তা পেয়ে আসছিল,সরকারের বিরিয়ানি খেয়ে আন্দোলন করেছিল শাহবাগে দিনের পর দিন রাতের পর রাত কাটিয়ে। কিন্তু হঠাৎ করে গত ৪ এপ্রিল শুক্রবার পাল্টে যায় দৃশ্যপট। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা করে। তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ পর্দার অন্তরালে বিভিন্ন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন থেকেও টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ নেতারা। এর আগে একই ধরনের অভিযোগ করে তথাকথি গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম রূপকার শহীদুল হক মামা ।অভিযোগ রয়েছে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। নিজেও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। আর আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা তার কাছে হিসাব চাইছেন। শুধু ইমরান সরকারই নয় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা জড়িত রয়েছেন চাঁদাবাজিতে। তারা এখন হিসাব দিচ্ছেন না। এর মধ্যে কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও রয়েছেন।শুনা যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন তারা।
আব্দুল কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে গত বছরের ৫ই ফেব্রুয়ারি ‘ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভেটিস্ট নেটওয়ার্ক নামে শাহবাগে গানের আসর বসিয়ে নাটকের সিরিয়াল চালিয়ে আন্দোলন করে তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ। তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের কারণে সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটি) আইন সংশোধন করেছিল ।২০১৩ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) সংশোধন বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। আগের আইনে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সুযোগ ছিল না। সেই সুত্রে গতবছরের ১১ই ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। কাদের মোল্লাকে কসাই কাদের বানিয়ে শহীদ করা হয় দেশের জাতীয় এই নেতাকে ।
এর পর বিতর্কিত দশম জাতীয় নির্বাচন বিরোধী দল বিহীন করে আওয়ামীলীগ পুনরায় ক্ষমতায় বসে এরশাদের জাতীয় এপার্টিকে ক্রয় করা বিরোধী পার্টি বানিয়ে ।
যে ছাত্রলীগ এতদিন তাদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কথিত আন্দোলন চালিয়ে গেছে ,যে পুলিশ তাদের পাহারা দিয়েছে দিন রাত তারা কেন হামলা করবে কথিত মঞ্চের কর্মীদের ওপর ? রহস্য কি ?!তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ দ্বারা সরকার আবার কি করতে যাচ্ছে ?তারা কি আবার দেশের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে ? হামলার কারণ কি শুধুই চাঁদাবাজির টাকার জন্য নাকি অন্য কিছু ও রয়েছে ?সরকার কি রাজনৈতিক দল হিসেবে ওদের তৈরী করতে চায় ?হামলার পর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চ প্রকাশ পাবে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও কথিত মঞ্চের মূখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, এটি আসলে সময়ের দাবি।
তাহলে এই বুঝি আসল কারণ ?এই বুঝি হামলার আসল রহস্য ?রাজনৈতিক দল তৈরির মাধ্যমে দেশের মানুষ কে বোকা বানানো যাবে না। যেমনটা বানানো যায় নি মঞ্চ বানিয়ে ।উপজেলা নির্বাচনে সরকার সেটা বুঝে নতুন ফন্দি খুজতেছে আর সেই ফন্দির অন্যতম পন্থা তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ। আর সেই পন্থার অগ্রগতির জন্য এই হামলার নাটক মঞ্চস্থ করা ।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৪ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন