দেশ কি সুস্থ আছে ?
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:১৫:৪৫ সন্ধ্যা
বাংলাদেশ যে অসুস্থ হয়ে পরেছে তার বাস্থব প্রমান পেয়ে যাবেন নিজের আশপাশ ভালো করে দেখে নিলে।দেশের অবস্থান সম্পর্কে প্রত্যেক জনগণ তার নিজের অবস্থান চিন্তা করলে পেয়ে যাবে রিপোর্ট।আমাদের দেশ কি রকম অসুস্থ হয়ে পরেছে ? সেই রকমটা একটা পাহাড়ের মত বিশাল।দেশের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ আমরা সবাই অসুস্থ পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে প্রতিদিন। আমরা সবাই ভয়ে থাকি সব সময় কখন কোন দিক থেকে গুলি আসে আর আমার জীবন কেড়ে নেয় ?
২০১৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মোট ১১০৪ জন শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নাম একটি সংস্থা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করে সেটা জানিয়েছে।দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রগুলোকে উৎস ধরে এ বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৩ সালে ১১০৪ জন শিশু নিহত হয়েছে। ওই বছর রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৫৬ জন শিশু। এদের মধ্যে ৪১ জন নিহত এবং ১০৭ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৫০২ জন শিশু মারা গেছে পানিতে ডুবে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৬৬ জন। ৪৮ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, গত বছর সারাদেশে ২৬৭ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১২ জন ও ২৩৯ জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। ১৬৬ জন শিশু বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যা করেছে এবং ২৬৪ জন শিশুকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৯০টি। এর মধ্যে ২ জনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের বার্ষিক প্রতিবেদনটি পড়ে দেশের বাবা - মা নিশ্চিত চিন্তিত ,নিজ জন্ম ভূমিকে তাদের শিশুর জন্য নিরাপদ তো নয়ই উল্টো আতঙ্কের দেশ মনে করতেছেন ?
একটি স্বাধীন দেশের এই অবস্থা যখন দেখা যাচ্ছে ঠিক তখন দেশের জনগনের রায়্হীন আওয়ামী সরকার বলে দেশে নাকি সুষ্ট পরিবেশ রয়েছে , তখন এই বক্তব্যকে বেফাস বলা ছাড়া কিছুই থাকে না।
২০১৩ সালের শুধু মাত্র রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৫৬ জন শিশু ,এই শিকার হওয়া প্রমান করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী সরকার সম্পূর্ণ ব্যার্থ ছিল দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে।প্রতিবেদনে আয়ামী সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে গেছে।প্রতিবেদনে যে কথাটি বলা হয় নাই সেটা হলো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে শিশুরা নিহত হওয়ার কথা। আওয়ামীলীগের ছাত্র সংঘঠন ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে একাদিক মারামারিতে অনেক শিশুর বুকে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে ।যে দেশের সরকার শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনা সেই সরকার কি করে দেশ পরিচালনা করবে ? আর সেই ব্যার্থতা বুঝেই আওয়ামীলীগ ২০১৪ সালে জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে বিনা ভোট সরকার গঠন করেছে।দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া বার্তা দিচ্ছে দেশে অপেক্ষামান রাজনৈতিক অহিকারের আন্দোলনে আরো সহিংসতা হবে।কিন্তু দেশের জনগণ সহিংসতা চায় না ,সুন্দর ও শান্তিময় পরিবেশ চায়। বাবা -মা তার সন্তানের জন্য একটি হাস্যজ্জল আবহায়ার পরিবেশ চায়।
দেশের জনগনের রায়্হীন সরকারের করণীয় হবে দেশের জনগনকে শান্তির পরিবেশ দেওয়ার স্বার্থে সহিংসতা থেকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে নির্বাচন দিয়ে দেশের পরিবেশকে শান্তিময় করা। দেশের জনগণ ব্যার্থদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়।দেশের জনগণ অসুস্থ বাংলাদেশর পরিবর্তে সুস্থ বাংলাদেশ চায়।
বিষয়: বিবিধ
১৪১৯ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাইয়া দেশের অবস্থা দেখে কষ্ট লাগে
এখন নিজের মাথার চুল ছিড়তে মনচায় যে ক্যান টেনশন করলাম!
দেশ এখন লাইফ সাপোর্টে...
সর্ব অংগে ব্যথা
ঔষোধ দেবেন কোথা ?
শুধু দেশের মানুষরা অসুস্থ।
দেশ এখন লাইফ সাপোর্টে..
দেশ ১০০% সুস্থ আছে।
শুধু দেশের মানুষরা অসুস্থ।
আমি কিছু বলতে চাই না ।
ধন্যবাদ কপি করে মন্তব্য করায়
দেশতো চলছে। শিশু যাদের নিহত হয় - তারাতো সুশীল সমাজের বা বামপন্থী কারোর নয়। দেখলেন না - নারায়নগন্জের এক রাব্বি হত্যা কত কিছু হল।
মাহমুদুর রহমানের কথাই সত্য। মুসলামান হলে তাদের মানবাধিকার নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন