স্কুল ,কলেজ কিংবা মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে কবি আব্দুল হাই শিকদারের " কসম " কবিতাটি এখন সময়ের দাবি।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২২ মার্চ, ২০১৪, ১২:১৪:০৮ রাত
স্কুল ,কলেজ কিংবা মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে কবি আব্দুল হাই শিকদারের " কসম " কবিতাটি এখন সময়ের দাবি।
" কসম " কবিতায় কবি আব্দুল হাই শিকদার বাংলাদেশের জনগনের অন্তরের কথা বলেছেন ,দেশের মানুষের না বলা কথা বলেছেন।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরোদ্ধে যেরকম কবিতা লিখেছিলেন তখনকার বাংলার রত্ন কবিরা ,ঠিক বর্তমানে বাংলাদেশের সকল বিষয়ে ভারতের নগ্ন হস্থক্ষেপের বিরোদ্ধে লিখেছেন কবি আব্দুল হাই শিকদার " কসম " কবিতা ।
বিষয়: বিবিধ
১৮৮৪ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি কোরআন বেদ বাইবেল ত্রিপিটকের উপর হাত রেখে বলছি,
আমি আমাদের উর্বর শস্যক্ষেত, নিসর্গ নীলাকাশের নামে বলছি,
আমি উত্তরের একলা নদী দুধকুমারকে স্পর্শ করে বলছি,
আমি আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের ত্যাগ ও সংগ্রামের শপথ করে বলছি,
আমি আমার সকল সামর্থকে একত্রিত করে বলছি..
যারা আমার মাতৃভূমিকে ব্যর্থ ও অকার্যকর করার জন্য বিছিয়েছে মাকড়সার জাল
পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে,
যারা ক্ষতবিক্ষত লাশের উপর হিংস্র উল্লাসে বর্বর নৃত্য করেছে,
যারা ড্রাকুলার মতো পান করেছে মানুষের রক্ত,
বিশ্বময় পাঠিয়েছে ভুল এবং বীভৎস বার্তা
তাদের কথায় আমি বদলাতে পারি না।
যারা আমার বিডিআরকে ধ্বংস করেছে,
যারা আমার সেনাবাহিনীকে হত্যা করেছে পিলখানায়,
যারা আমার ভাইদের প্রতিদিন হত্যা করে সীমান্তে,
যারা আমার মাথার ভিতরে তৈরি করেছে কালচারাল কলোনি,
যারা আমার স্বাধীন মানচিত্রকে করেছে অরক্ষিত,
যারা ন্যায় ও সত্যকে হত্যা করছে প্রতিদিন,
যারা আমার রাত্রির আকাশকে করেছে চাঁদশূন্য,
যারা সূর্যের মুখে ছিটিয়েছে নোংরা বর্জ,
যারা জীবন থেকে উধাও করেছে নিরাপত্তা
যারা আমাদের নিক্ষেপ করেছে অশ্রদ্ধা ও অসহিষ্ণুতায়,
যারা আমাদের প্রতিটি সূর্যোদয়কে করেছে অস্থির ও টালমাটাল
যারা আমার পদ্মাকে শুষ্ক বালুতে পরিণত করেছে,
যারা টিপাইমুখ দিয়ে আমার কল্লোলিনী মেঘনাকে হত্যা করতে চাচ্ছে,
যারা আমার তারুণ্যকে মাদকাসক্ত করেছে,
যারা আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে নৃশংস শান্তিবাহিনী,
যারা আমার হৃদয়কে করেছে বিভেদ ও হানাহানিতে নিক্ষেপ,
যারা আমার ভাইকে করেছে ভাইয়ের ঘাতক,
যারা আমার ডান হাতকে লাগিয়ে দিয়েছে বাম হাতের বিরুদ্ধে,
তাদের কথায় আমরা বদলে যেতে পারি না।
কসম পলাশীর আম্রকাননের,
কসম ঈশা খাঁর সমরজয়ী অমর তরবারির,
কসম আল্লাহর, তাদের কথায় আমরা বদলে যেতে পারি না।
তারপর আমরা এই সম্মিলিত পাপকে যমুনার জলে বিসর্জন দেবো।
তারপর এই পাপকে আমরা পাঠাব মৃত্তিকার গহ্বরে।
তারপর এই পাপ ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বাইরে পাঠাব।
তারপর এই পাপ বস্তাবন্দি করে পাঠিয়ে দেবো আধিপত্যবাদের উঠানে।
তারপর বলবো এই পাপ ধারণ করার জন্য আমার মাতৃভূমি প্রস্তুত নয়।
আমি মঙ্গাপীড়িত ধরলার ক্ষুধার্ত রোদন ধ্বনির শপথ করে বলছি,
আমি দক্ষিণে আছড়েপড়া ক্ষুব্ধ সমুদ্রের গর্জনের কসম খেয়ে বলছি,
আমি মেঘনার প্রতিটি ঢেউয়ের দোলাকে বক্ষে ধারণ করে বলছি,
আমি পদ্মার ব্যথিত বালু মাথায় স্থাপন করে বলছি
যারা আমাদের বদলাতে চায় আমরা তাদের বদলে দেব।
কসম সালাম বরকত রফিক জব্বারের,
কসম ১৯৭১ সালের,
কসম কর্ণফুলীর তীরে অপেক্ষমাণ আমাদের ভবিষ্যতের,
কসম শাহজালালের আজান ধ্বনির,
কসম আমার মন্দির মসজিদ গির্জা প্যাগোডার,
কসম লক্ষ লক্ষ শহীদের প্রতি ফোটা রক্তের,
কসম কসম কসম আমরা এইসব করবো।
তারপর জমজমের পানিতে ধুয়ে নেব মাতৃভূমির ক্লান্ত শান্ত ব্যথিত শরীর।
স্বদেশ ভুমি – আমার বাংলাদেশ।।
কবিতা: আব্দুল হাই শিকদার
Kobi sotto bolechen.
আমি কোরআন বেদ বাইবেল ত্রিপিটকের উপর হাত রেখে বলছি,
আমি আমাদের উর্বর শস্যক্ষেত, নিসর্গ নীলাকাশের নামে বলছি,
আমি উত্তরের একলা নদী দুধকুমারকে স্পর্শ করে বলছি,
আমি আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের ত্যাগ ও সংগ্রামের শপথ করে বলছি,
আমি আমার সকল সামর্থকে একত্রিত করে বলছি..
যারা আমার মাতৃভূমিকে ব্যর্থ ও অকার্যকর করার জন্য বিছিয়েছে মাকড়সার জাল
পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে,
যারা ক্ষতবিক্ষত লাশের উপর হিংস্র উল্লাসে বর্বর নৃত্য করেছে,
যারা ড্রাকুলার মতো পান করেছে মানুষের রক্ত,
বিশ্বময় পাঠিয়েছে ভুল এবং বীভৎস বার্তা
তাদের কথায় আমি বদলাতে পারি না।
যারা আমার বিডিআরকে ধ্বংস করেছে,
যারা আমার সেনাবাহিনীকে হত্যা করেছে পিলখানায়,
যারা আমার ভাইদের প্রতিদিন হত্যা করে সীমান্তে,
যারা আমার মাথার ভিতরে তৈরি করেছে কালচারাল কলোনি,
যারা আমার স্বাধীন মানচিত্রকে করেছে অরক্ষিত,
যারা ন্যায় ও সত্যকে হত্যা করছে প্রতিদিন,
যারা আমার রাত্রির আকাশকে করেছে চাঁদশূন্য,
যারা সূর্যের মুখে ছিটিয়েছে নোংরা বর্জ,
যারা জীবন থেকে উধাও করেছে নিরাপত্তা
যারা আমাদের নিক্ষেপ করেছে অশ্রদ্ধা ও অসহিষ্ণুতায়,
যারা আমাদের প্রতিটি সূর্যোদয়কে করেছে অস্থির ও টালমাটাল
যারা আমার পদ্মাকে শুষ্ক বালুতে পরিণত করেছে,
যারা টিপাইমুখ দিয়ে আমার কল্লোলিনী মেঘনাকে হত্যা করতে চাচ্ছে,
যারা আমার তারুণ্যকে মাদকাসক্ত করেছে,
যারা আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে নৃশংস শান্তিবাহিনী,
যারা আমার হৃদয়কে করেছে বিভেদ ও হানাহানিতে নিক্ষেপ,
যারা আমার ভাইকে করেছে ভাইয়ের ঘাতক,
যারা আমার ডান হাতকে লাগিয়ে দিয়েছে বাম হাতের বিরুদ্ধে,
তাদের কথায় আমরা বদলে যেতে পারি না।
কসম পলাশীর আম্রকাননের,
কসম ঈশা খাঁর সমরজয়ী অমর তরবারির,
কসম আল্লাহর, তাদের কথায় আমরা বদলে যেতে পারি না।
তারপর আমরা এই সম্মিলিত পাপকে যমুনার জলে বিসর্জন দেবো।
তারপর এই পাপকে আমরা পাঠাব মৃত্তিকার গহ্বরে।
তারপর এই পাপ ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বাইরে পাঠাব।
তারপর এই পাপ বস্তাবন্দি করে পাঠিয়ে দেবো আধিপত্যবাদের উঠানে।
তারপর বলবো এই পাপ ধারণ করার জন্য আমার মাতৃভূমি প্রস্তুত নয়।
আমি মঙ্গাপীড়িত ধরলার ক্ষুধার্ত রোদন ধ্বনির শপথ করে বলছি,
আমি দক্ষিণে আছড়েপড়া ক্ষুব্ধ সমুদ্রের গর্জনের কসম খেয়ে বলছি,
আমি মেঘনার প্রতিটি ঢেউয়ের দোলাকে বক্ষে ধারণ করে বলছি,
আমি পদ্মার ব্যথিত বালু মাথায় স্থাপন করে বলছি
যারা আমাদের বদলাতে চায় আমরা তাদের বদলে দেব।
কসম সালাম বরকত রফিক জব্বারের,
কসম ১৯৭১ সালের,
কসম কর্ণফুলীর তীরে অপেক্ষমাণ আমাদের ভবিষ্যতের,
কসম শাহজালালের আজান ধ্বনির,
কসম আমার মন্দির মসজিদ গির্জা প্যাগোডার,
কসম লক্ষ লক্ষ শহীদের প্রতি ফোটা রক্তের,
কসম কসম কসম আমরা এইসব করবো।
তারপর জমজমের পানিতে ধুয়ে নেব মাতৃভূমির ক্লান্ত শান্ত ব্যথিত শরীর।
স্বদেশ ভুমি – আমার বাংলাদেশ।।
কবিতা: আব্দুল হাই শিকদার
কসম ১৯৭১ সালের,
কসম কর্ণফুলীর তীরে অপেক্ষমাণ আমাদের ভবিষ্যতের,
কসম শাহজালালের আজান ধ্বনির,
কসম আমার মন্দির মসজিদ গির্জা প্যাগোডার,
কসম লক্ষ লক্ষ শহীদের প্রতি ফোটা রক্তের,
কসম কসম কসম আমরা এইসব করবো।
ভয় হচ্ছে এই মানুষটাকে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কত অবহেলা সহ্য করতে হয়। আমি প্রথম যখন শুনছিলাম এই কবিতা - ফেবুতে - তখন আমার শরীরের সকল লোম কুপ দাড়িয়েছি। আজও একই রকম। ভেয়ে নয় সাহসে।
'আমি কোরআন বেদ বাইবেল ত্রিপিটকের উপর হাত রেখে বলছি,
আমি আমাদের উর্বর শস্যক্ষেত, নিসর্গ নীলাকাশের নামে বলছি,
আমি উত্তরের একলা নদী দুধকুমারকে স্পর্শ করে বলছি,
আমি আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের ত্যাগ ও সংগ্রামের শপথ করে বলছি,
কসম পলাশীর আম্রকাননের,
কসম ঈশা খাঁর সমরজয়ী অমর তরবারির,
তারপর আমরা এই সম্মিলিত পাপকে যমুনার জলে বিসর্জন দেবো
আমি মঙ্গাপীড়িত ধরলার ক্ষুধার্ত রোদন ধ্বনির শপথ করে বলছি,
আমি দক্ষিণে আছড়েপড়া ক্ষুব্ধ সমুদ্রের গর্জনের কসম খেয়ে বলছি,
কসম সালাম বরকত রফিক জব্বারের,
কসম ১৯৭১ সালের,
কসম কর্ণফুলীর তীরে অপেক্ষমাণ আমাদের ভবিষ্যতের,
কসম শাহজালালের আজান ধ্বনির,
কসম আমার মন্দির মসজিদ গির্জা প্যাগোডার,
কসম লক্ষ লক্ষ শহীদের প্রতি ফোটা রক্তের,
কসম কসম কসম আমরা এইসব করবো।
তবে সেটা ও চিন্তার বিষয়
মন্তব্য করতে লগইন করুন