প্রবাসীদের ত্যাগ ,সমস্যা ও সমাধান
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:২১:৪৬ রাত
একজন প্রবাসী তার জীবনের ইতিহাস সে নিজেই বলতে পারবে ভালো করে। নিজে বলতে পারার কারণ হলো অনেক সমস্যার কথা অন্যের কাছে বলা যায় না ,এমনকি বাবা মায়ের কাছে ও না। একদিকে পরিশ্রম অন্য দিকে ব্রেইনের শ্রম। প্রবাসীদের জীবন পরিচালিত হয় ত্যাগের উপর দিয়ে। ত্যাগের সীমারেখা খুঁজে পাওয়া অনেক সময় সম্বব হওয়ার নয় । ত্যাগের আবার অনেক রকম বিষয় আছে সেটা স্তান কাল পাত্র বেধে।
প্রাবসীদের মধ্যে বিবাহিত ও অবিবাহিত দের অনেক ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সমস্যা দেখা দেয়।
অবিবাহিত প্রবাসীদের ত্যাগ ও সমস্যা ,ও সমাধান :
ত্যাগ :- অল্প বয়েসে প্রবাসে চলে আসা একটা অন্য রকম কষ্টকর। লেখাপড়ার অপূর্ণতা রয়ে যায় ,আবার যে সময় খেলার মাঠে থাকার কথা সেই সময় প্রবাসে চলে আসা অনেকটা রক্ত ক্ষরণ হয় অন্তরে , বাবামায়ের প্রত্তক্য ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া কত বর কষ্টের তা এক মাত্র ভুক্তভোগী ভালো জানে।
সমস্যা:- পড়া লিখার সীমারেখা ছোট্র হওয়ার ফলে প্রবাসে সফলতার জন্য একটা বিরাট সমস্যা।
প্রবাস নামের জেল খানায় বিরক্ত লাগে অল্প বয়সের প্রবাসীদের আমি তার বাস্তব রূপ । বাবামায়ের ভালোবাসা থেকে দুরে থাকলে অনেক সময় প্রবাসী ভেঙ্গে পরে।
সমাধান :- যখন প্রবাসে আসা হয়েগেছে তখন আপনার মন বিবেক ও সময় কে কাজে লাগাতে হবে। দেশে অবস্তান্রত বাবামায়ের সাথে বেশিবেশি করে যোগাযোগ করতে হবে। আত্বীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে সাদ্যমত।কাজে মনোযোগী হতে হবে। তখন প্রবাস জীবন সাভাবিক মনে হবে। প্রবাসে কাজের ফাকে বিনোদনমূলক জায়গায় বেড়াতে যাওয়া উচিত ,নিয়মিত ধর্ম চর্চা করা উচিত ,দেশ সম্পর্কে বুঝা উচিত।
বিবাহিতদের ত্যাগ ও সমস্যা ,ও সমাধান :
ত্যাগ :- বিবাহিতদের ও ত্যাগ অনেক ,মা-বাবা ,স্ত্রী , সন্তান ছেড়ে প্রবাস জীবন কেমন শুধু বিবাহিতরা নিজের মত করে বলতে পারবে আমি শুধু অনুমানের ভিত্তিতে কিছু বলতেছি।যে সময়ে বৃদ্ধ বাবা মায়ের পাশে থাকার কথা ঠিক সে সময়ে উনাদের থেকে অনেক দুরে। স্বামী - স্ত্রীর বন্ধন অনেক গভীর ,অতচ সেই স্ত্রী থেকে একজন প্রবাসী কেমন আছে চিন্তা করেন ?সন্তানের জন্য ভালোবাসা কেমন থাকে তা আমি দেখেছি আমার বাবা মায়ের আমার প্রতি ভালোবাসা দেখে। সন্তানের হাতে হাত রেখে স্কুল পৌছে দেওয়া বাবার অনেক বড় পাওয়া।
সমস্যা:- বিবাহিতদের অনেক সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বর সমস্যা পরিবার। সমাজের অনেক অপসংস্কৃতি নিয়ে ভয় জাগে মনে ,সুন্দরী স্ত্রী হলে আর বলতেই হয়না সমস্যার কথা। তাছাড়া ছেলে মেয়ে বড় হলে ওরা সঠিক সংস্কৃতিতে চলতেছে কি না ? অপসংস্কৃতিতে চলতেছে তা যেন একটা ব্রেইন শ্রম।
সমাধান :- বিবাহিত প্রবাসীদেরকে শুধু টাকা দিলেই হবে না সবসময় স্ত্রী সন্তানদের খুজ নিতে হবে ,বাবা মাকে ,শশুর শাশুড়িকে স্ত্রী সন্তানদের খেয়াল রাখার জন্য বলা নয় অনুরুধ করতে হবে। সময় ও পরিবেশ রক্ষা করে দেশে যেতে হবে বেশি করে।নিজে ও স্ত্রী সন্তানদের বেশি করে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।শুধু প্রবাসী নয় সকল স্বামীর জন্য একজন তাকয়াবান স্ত্রী হবে চিন্তামুক্তের কারণ।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৩ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধুমাত্র তাকওয়াসম্পন্ন স্ত্রী সন্ধান করলেই কি এসব সমস্যার সমাধান হবে? স্বামীকেও তাকওয়াসম্পন্ন হতে হবে এবং বউ যাতে তার প্রাপ্য সব অধিকার পায় তা-ও স্বামীকে নিশ্চিত করতে হবে। ধন্যবাদ।
প্রবাসিদের পাঠান টাকা অনেক সময়ই অপ্রয়োজনিয় খাতে ব্যায় হয়। এই বিষয়টি তাদের মনযোগ দেয়া উচিত যেন তাদের কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট না হয়। আবেগের কারনেও প্রবাসিরা কিছু ভুল করেন। আমার জানা একটি ছেলে প্রবাসি বড় ভাই এর আয়ে চলত। দেশে ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় সে একটি পার্টটাইম কাজ নেয়। কিন্তু তার ভাই এসে তার সাথে রাগারাগি করে এবং শুধুই পড়াশুনা করতে বলে। তার জন্য বেশি টাকাও পাঠায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ছেলেটি ভালভাবে পাশ করলেও এখনও বেকার। যদি সে পার্টটাইম কাজটি করত তাহলে তার কর্মঅভিজ্ঞতা হতো এবং তাকে হয়তো এভাবে বেকার হয়ে ভাইয়ের উপর নির্ভরশীল হতে হতোনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন