হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধুদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি কথা
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:০১:১৪ সন্ধ্যা
বাংলাদেশ সবার দেশ।আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমাদের দেশে মুসলমান সংখ্যার দিক থেকে বেশি। যেমনটা ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখা বেশি তাই ভারত সরকার দ্বারা নাম হচ্ছে হিন্দুস্তান তাই বলে সেখানকার মুসলমানদের নারাজ হওয়ার কিছু নেই বলে আমি মনে করি। টিক তেমন আমাদের দেশ মুসলিম দেশ বলে পরিচিত হওয়ায় আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বা বৌদ্ধ ,খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ করার কারণ নেই। আর কেউ এর প্রতিবাদ করেছেন বলে আমার জানা নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশী আমাদের সবার ভাষা বাংলা আমরা সবাই এক দেশের মানুষ।আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে সুত্র ভালোবাসা সেটা আছে বিদ্ধমান। তারপর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধুদের নিয়ে রাজনীতি করা হয় যা জগন্ন একটা কালচার , যা কাম্য নয়। ধর্মনিরপক্ষের নামে নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয় হিন্দু বৌদ্ধ বন্ধুদের উপর। আর তা করতেছে আওয়ামীলীগ সরকার যা আমরা দেখেছি রামুতে যা দেখেছি কক্সবাজারে। সেখানে আওয়ামিল্গের নেতা কর্মীদের দ্বারা হামলা হয়েছে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হছে শত শত যা আমরা দেখেছি মিডিয়ার কল্যাণে।
বন্ধুরা আমরা ধর্ম নিরপক্ষ হতে পারিনা না আমাদের কে নিজ ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।ধর্ম নিরপক্ষের মানে হলো ধর্ম ছেড়ে দেওয়া। আমি কি পারব মসজিদে নামাজ আদায় করে মন্দিরে গিয়ে পূজা করতে ?না পারব না তাহলে আমি কি করে নিরপক্ষ হলাম ?আমি তো মুসলমান আমি একটি পক্ষের সেটা ইসলাম। টিক আপনাদের বেলায় একই উদাহরণ।
বন্দুরা আওয়ামী সরকার রাজনীতি করতে গিয়ে হিন্দু সপ্রদায়ের মন্দির আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে ,বৌদ্ধ মন্দির জ্বালিয়ে দিচ্ছি। ভেঙ্গে দিচ্ছে উপাসলায়ের মন্দির। আমরা দেখছি দেশে যখনই রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে টিক তখন মন্দিরে হামলা কিন্তু কেন ?আর সরকারের মন্ত্রীরা তদন্ত ছাড়াই তা জামায়ত শিবিরের নাম চালিয়ে দিচ্ছে যা অত্যন্ত জগন্ন মানসিকতার পরিচয়। বন্দুরা আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি নিজের চুখে জামায়াত শিবির কে দেখতেছেন তাদের কে আরো ভালো করে দেখার চেষ্টা করেন ওরা কি আসলেই আপনাদের বন্ধু না শত্রু ?আপনারা জানেন রামুতে মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়ার পর দেশের অনেক জায়গায় শিবিরের যুবক ছেলেরা লাটি হাতে নিয়ে মন্দির পাহারা দিয়েছে রাত জেগে। আমি আপনাদের কাছে কয়েকটি অনুরুধ রাখতে চাই সেগুলো হলো ,,,
১ ,মন্দির বা উপাসনালয়ে হামলা হলে তার সুষ্ট তদন্ত দাবি করা।
২,তদন্তের পর হামলাকারীকে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা।
৩,তদন্ত ছাড়া মন্ত্রীদের কথা মেনে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া।
৪,আপনার এলাকার সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করা এই বিষয় নিয়ে।
৫,আপনাদের হিন্দু নেতাদের কে জানিয়ে দেওয়া যে রাজনৈতিক নয় সামাজিক ভাবে তদন্তের দাবি করতে হবে।
৬,বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দল নয় সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক রাখুন ।
৭, দেশের সরকারকে জানিয়ে দিন মন্দিরে হামলা হলে আমরা প্রশাসনের বিরদ্ধে মামলা করব।
আসুন দেশকে ভালবাসি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখি।
বিষয়: বিবিধ
১৯৪০ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নিখিল বঙ্গদেশ গড়ার জন্য তারা এখন ত্যাগ স্বীকার করছে ।
তাদের এই কাজের ফল হবে বাংলাদেশের আবার পরাধীনতার শেকলে আটকে পড়া ।
এদেশের হিন্দুরা কখনই দেশকে ভালবাসে নি । এদেশের খেয়ে পড়ে , টাকা কামাই করে সব পার করে দেয় ভারতে । দেশে তাদের দেখলে মনে হয় কি হীন দীন ভাবেই না তারা দিন পার করছে । একটু অসুস্থ হলেই তারা চলে যায় ভারতে । তাদের সাথে কথা বলা শুরু করলে -২-৩ টা বাক্য বলার পরেই ''ভারত'' ''ভারত'' করা শুরু করে । তারা বাংলাদেশে যে হালে থাকে এরকম হালে ভারতের মুসলমানেরা ভারতে থাকে না । পান থেকে চুন খসলেই তারা কাহিনী করা শুরু করে , যেটা ভারতের নাগরিক হয়ে এবং সেদেশের সংখ্যা গুরু হয়েও পারতো না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন