দেশের মানুষ শান্তি চায় সংঘাত নয়

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৫:৩২:২৯ বিকাল



জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত গনিয়ে আসছে দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সঙ্কট তত দেখা দিচ্ছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪২ বছর পেরিয়ে গেল , ইতি মধ্যে অনেক সরকার আসলো আর গেল কেউই সকল রাজনৈতিক দলের সহমতের ভিত্তিতে নির্বাচনের একটি সুষ্ট পদ্ধতি দার করাতে পারেনি।তাই সেই প্রেক্ষিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেখা দিয়েছে এক মহাসংকট। দেশের মধ্যে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে এক ভয়াবহ অস্তিরতা , দেখা দিয়েছে সামাজিক ,রাজনৈতিক ,অর্থনৈতিক উত্কন্ঠা এবং হাত ছানি দিচ্ছে সংঘাত। এই পরিস্তিতির জন্য দায় এড়াতে পারেনা বর্তমান সরকার।তারা আদালত কে ব্যবহার করে এই পরিস্তিতির জন্ম দিয়েছে , মুন সিনেমা হলের মালিকানা দাবি করে দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের আলোকে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ দেশের সংবিধানের গোটা পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন।এই সংশোধনীতে বাতিল হয়ে যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান। যদি ও বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ , জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টিকে সাথে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ব্যাপক জ্বালাও-পোড়াও এবং ১৭৩ দিন হরতাল-অবরোধ পালনের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদ্ধতি দার করাতে বাধ্য করেছিল তত্কালীন বিএনপি সরকারকে। কিন্তু কেন তারাই আবার এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন দিতে চায় ?তাহলে কি বর্তমান সরকার মনে করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্বারা অবাধ ও নিরপক্ষ নির্বাচন হলে জনগনের পছন্দের দল জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে আর সেই পছন্দের দল তারা নাও হতে পারে ?সরকর হাইকোর্টের রায়কে পুজি করে ও সংবিধানের দুহাই দিয়ে নিজেদের অধীনে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী ,মন্ত্রী ,এমপি নিজ নিজ দায়িত্বে থেকে তাদের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলতেছে। অন্য দিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জামায়াতে ইসলামী সহ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বলতেছে নির্দলীয় নিরপক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বা হতে দেওয়া হবে না। ১৮ দলীয় জোট ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল এমন কি আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অনেক দল বলতেছে নিরপক্ষ সরকার ব্যবস্তা ছাড়া দেশে সুষ্ট নির্বাচন আশা করা যায় না। সরকার কারো কথা না শুনে তাদের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার সিদ্ধান্তে বহাল রয়েছে।আবার কিছু কিছু মন্ত্রী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন নির্বাচন কে কেন্দ্র করে। কেউ নির্বাচনে না আসলে তাদের কিছু যায় আসে না বলে বক্তব্য দিচ্ছেন সরকারের মন্ত্রী ,এমপিরা। অন্য দিকে বিরোধী জোট তথা ১৮ দলীয় জোট ও নানান হুঙ্কার দিচ্ছে। বক্তব্যের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে একে অন্যকে। সরকারী ও বিরোধী জোটের এই হুমকি-ধমকিতে দেশের মানুষ এক রকম ভয়ের মধ্যে রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনের মাঠ সময় সময় সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। দেশের এই পরিস্তিতিতে রাজনীতি ,সামাজিক ,অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকরা দেখতে পাচ্ছেন দেশের আকাশে কালো মেঘের ছায়া। শধু দেশের মানুষ নয় আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সঙ্কটের কালো ছায়া দেখে বিভিন্ন দেশের বন্ধু রাষ্ট এগিয়ে আসছে দেশের সম্ভাব্য সঙ্কট নিরসন করার জন্য। তারা দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কে আলোচনায় বসার জন্য অনুরুধ করতেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব দেশের প্রধান দুটি দলকে সমঝোতায় আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও চিঠি দিয়েছেন। এর পাশাপাশি ইইউসহ বিদেশী কূটনীতিকরাও সঙ্কট সমাধানে তৎপরতা চালাচ্ছেন।তারা বলতেছেন সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট, তীব্র অস্থিতিশীলতা, সংঘাত ও চরম অর্থনীতিক উৎকণ্ঠার কবল থেকে মুক্তি পেতে হলে দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসতে হবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে হবে ।সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোকে ১/১১ এর ভয় দেখাচ্ছে অতছ সেই ১/১১ এর সময়কার সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না , সামরিক স্বৈরশাসকদের সরকার ছিল ।অন্য দিকে সরকার জনগনকে সংবিধানের দুহাই দিচ্ছে অতছ , এ দেশের জনগণ সংবিধানের পেচ মানে না অনেকে বুঝে না। তারা চায় দেশে শান্তি পূর্ণ পরিবেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার সার্থে একটি সুষ্ট নির্বাচন। তার চেয়ে বড় কথা হলো সংবিধান তৈরী হয় জনগনের জন্য, জনগণ সংবিধানের জন্য নয়।আমরা দেখেছি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংস্তার হিসেবে দেশের অধিকাংশ জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় নিরপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার পক্ষে। তাই সরকার কে সংবিধানের দুহাই ছেড়ে জনগনের দাবিকে সম্যান দেখাতে জনগনের দাবিকে কোনো রাজনৈতিক দলের দাবি মনে না করে দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র রক্ষার দাবি মনে করে শান্তি পূর্ণ ভাবে সুষ্ট নির্বাচনের রাস্তা বের করতে হবে, আর সেই এক মাত্র রাস্তা হলো নিরপক্ষ সরকার সংবিধানে পুনর্বহাল করে শক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দেওয়া সময় মত। অন্যতায় রাজনৈতিক ,সামাজিক ,অর্থনৈতক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১/১১ এর মত ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ বা তার চেয়ে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ২৩০ টি আসন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। সদস্য সংখ্যার দিক দিয়ে তারা শক্তিশালী। অতছ তাদের বিগত সাড়ে ৪ বছরের আচার আচরণ দেখে হয়েছে যেন তারা জনশুন্যতায় ভুগছিলেন শুধু তাই নয় আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের কর্মকান্ডে মনে হয়েছে তাদের পিছনে যেন কিসের ভয় কাজ করেছে। কারণ তারা ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে দেশের জনগনের কথা শুনতে নারাজ ছিল ।জনগনের কোনো দাবি মেনে নিতে চায়নি এমনকি দাবি আদায়ের জন্য জনগনকে কথা বলতে দেয়নি ,গণতান্ত্রিক দেশে দাবি আদায়েরও একটা পদ্ধতি আছে , জনগনের ভোটে নির্বাচিত এমপি মন্ত্রীদের কাছে লিখিত দাবি উপস্তাপন ,সরকারের শীর্ষ স্তানীয় দায়িত্বশীলদের কাছে লিখিত দাবি উপস্তাপন বা মিছিল ,মিটিং ,মানববন্ধন ,এমনকি হরতাল ,অবরূধ পালনের মাধ্যমে জনগণ সরকারকে দাবি জানান দেবে ।কিন্তু বর্তমান সরকার এই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সম্যান দেখাতে পারেনি। সরকার সাড়ে ৪ বছরের পুরো সময়ই ছিল পুলিশ নির্বর সাথে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ছিলোই ।গত সাড়ে ৪ বছরে জনগনের বেলায় সরাকরের একটি নীতি বহাল ছিল জনগণ যেখানে দাড়িয়েছে সেখানে পুলিশ দিয়ে পিটিয়েছে ।দেশের সকল পেশার মানুষকে সরকার পুলিশ ও সরকারের সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে পিটিয়েছে ,খুন করিয়েছে যে হারে, তাতে মনে হয়েছে এই সরকার জনগনের নির্বাচিত সরকার নয়? ২০০৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে।প্রশ্ন জেগেছে বর্তমান আওয়ামী সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে , নাকি ১/১১ এর কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সহায়তায় সরকার গঠন করেছে?তা না হলে জনগণ কে কেন এত ভয় ? শ্রমিক থেকে শুরু করে আলেম উলামা ,শিক্ষক ,রাজনীতিবিদ ,পেশাজীবী ,ব্যবসায়ী সহ সর্বস্তরের জনগনের দাবিকে তুচ্ছমনে করেছে বর্তমান সরকার। শুধু তাই নয় জনগনের দাবির আন্দোলনকে প্রতিহত করেছে টিক প্রতিপক্ষ মনে করে।যার কারণে সরকারের জনসমর্তন নিম্ন গামী। আর সেই ভয়ে সরকার নির্দলীয় সরকার সংবিধানে পুনর্বহাল করতে ভয় পাচ্ছে।জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত গনিয়ে আসছে দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সঙ্কট তত দেখা দিচ্ছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪২ বছর পেরিয়ে গেল , ইতি মধ্যে অনেক সরকার আসলো আর গেল কেউই সকল রাজনৈতিক দলের সহমতের ভিত্তিতে নির্বাচনের একটি সুষ্ট পদ্ধতি দার করাতে পারেনি।তাই সেই প্রেক্ষিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেখা দিয়েছে এক মহাসংকট। দেশের মধ্যে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে এক ভয়াবহ অস্তিরতা , দেখা দিয়েছে সামাজিক ,রাজনৈতিক ,অর্থনৈতিক উত্কন্ঠা এবং হাত ছানি দিচ্ছে সংঘাত। এই পরিস্তিতির জন্য দায় এড়াতে পারেনা বর্তমান সরকার।তারা আদালত কে ব্যবহার করে এই পরিস্তিতির জন্ম দিয়েছে , মুন সিনেমা হলের মালিকানা দাবি করে দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের আলোকে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ দেশের সংবিধানের গোটা পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন।এই সংশোধনীতে বাতিল হয়ে যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান। যদি ও বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ , জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টিকে সাথে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ব্যাপক জ্বালাও-পোড়াও এবং ১৭৩ দিন হরতাল-অবরোধ পালনের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদ্ধতি দার করাতে বাধ্য করেছিল তত্কালীন বিএনপি সরকারকে। কিন্তু কেন তারাই আবার এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন দিতে চায় ?তাহলে কি বর্তমান সরকার মনে করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্বারা অবাধ ও নিরপক্ষ নির্বাচন হলে জনগনের পছন্দের দল জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে আর সেই পছন্দের দল তারা নাও হতে পারে ?সরকর হাইকোর্টের রায়কে পুজি করে ও সংবিধানের দুহাই দিয়ে নিজেদের অধীনে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী ,মন্ত্রী ,এমপি নিজ নিজ দায়িত্বে থেকে তাদের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলতেছে। অন্য দিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জামায়াতে ইসলামী সহ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বলতেছে নির্দলীয় নিরপক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বা হতে দেওয়া হবে না। ১৮ দলীয় জোট ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল এমন কি আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অনেক দল বলতেছে নিরপক্ষ সরকার ব্যবস্তা ছাড়া দেশে সুষ্ট নির্বাচন আশা করা যায় না। সরকার কারো কথা না শুনে তাদের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার সিদ্ধান্তে বহাল রয়েছে।আবার কিছু কিছু মন্ত্রী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন নির্বাচন কে কেন্দ্র করে। কেউ নির্বাচনে না আসলে তাদের কিছু যায় আসে না বলে বক্তব্য দিচ্ছেন সরকারের মন্ত্রী ,এমপিরা। অন্য দিকে বিরোধী জোট তথা ১৮ দলীয় জোট ও নানান হুঙ্কার দিচ্ছে। বক্তব্যের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে একে অন্যকে। সরকারী ও বিরোধী জোটের এই হুমকি-ধমকিতে দেশের মানুষ এক রকম ভয়ের মধ্যে রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনের মাঠ সময় সময় সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। দেশের এই পরিস্তিতিতে রাজনীতি ,সামাজিক ,অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকরা দেখতে পাচ্ছেন দেশের আকাশে কালো মেঘের ছায়া। শধু দেশের মানুষ নয় আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সঙ্কটের কালো ছায়া দেখে বিভিন্ন দেশের বন্ধু রাষ্ট এগিয়ে আসছে দেশের সম্ভাব্য সঙ্কট নিরসন করার জন্য। তারা দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কে আলোচনায় বসার জন্য অনুরুধ করতেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব দেশের প্রধান দুটি দলকে সমঝোতায় আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও চিঠি দিয়েছেন। এর পাশাপাশি ইইউসহ বিদেশী কূটনীতিকরাও সঙ্কট সমাধানে তৎপরতা চালাচ্ছেন।তারা বলতেছেন সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট, তীব্র অস্থিতিশীলতা, সংঘাত ও চরম অর্থনীতিক উৎকণ্ঠার কবল থেকে মুক্তি পেতে হলে দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসতে হবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে হবে ।সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোকে ১/১১ এর ভয় দেখাচ্ছে অতছ সেই ১/১১ এর সময়কার সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না , সামরিক স্বৈরশাসকদের সরকার ছিল ।অন্য দিকে সরকার জনগনকে সংবিধানের দুহাই দিচ্ছে অতছ , এ দেশের জনগণ সংবিধানের পেচ মানে না অনেকে বুঝে না। তারা চায় দেশে শান্তি পূর্ণ পরিবেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার সার্থে একটি সুষ্ট নির্বাচন। তার চেয়ে বড় কথা হলো সংবিধান তৈরী হয় জনগনের জন্য, জনগণ সংবিধানের জন্য নয়।আমরা দেখেছি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংস্তার হিসেবে দেশের অধিকাংশ জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় নিরপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার পক্ষে। তাই সরকার কে সংবিধানের দুহাই ছেড়ে জনগনের দাবিকে সম্যান দেখাতে জনগনের দাবিকে কোনো রাজনৈতিক দলের দাবি মনে না করে দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র রক্ষার দাবি মনে করে শান্তি পূর্ণ ভাবে সুষ্ট নির্বাচনের রাস্তা বের করতে হবে, আর সেই এক মাত্র রাস্তা হলো নিরপক্ষ সরকার সংবিধানে পুনর্বহাল করে শক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দেওয়া সময় মত। অন্যতায় রাজনৈতিক ,সামাজিক ,অর্থনৈতক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১/১১ এর মত ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ বা তার চেয়ে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ২৩০ টি আসন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। সদস্য সংখ্যার দিক দিয়ে তারা শক্তিশালী। অতছ তাদের বিগত সাড়ে ৪ বছরের আচার আচরণ দেখে হয়েছে যেন তারা জনশুন্যতায় ভুগছিলেন শুধু তাই নয় আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের কর্মকান্ডে মনে হয়েছে তাদের পিছনে যেন কিসের ভয় কাজ করেছে। কারণ তারা ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে দেশের জনগনের কথা শুনতে নারাজ ছিল ।জনগনের কোনো দাবি মেনে নিতে চায়নি এমনকি দাবি আদায়ের জন্য জনগনকে কথা বলতে দেয়নি ,গণতান্ত্রিক দেশে দাবি আদায়েরও একটা পদ্ধতি আছে , জনগনের ভোটে নির্বাচিত এমপি মন্ত্রীদের কাছে লিখিত দাবি উপস্তাপন ,সরকারের শীর্ষ স্তানীয় দায়িত্বশীলদের কাছে লিখিত দাবি উপস্তাপন বা মিছিল ,মিটিং ,মানববন্ধন ,এমনকি হরতাল ,অবরূধ পালনের মাধ্যমে জনগণ সরকারকে দাবি জানান দেবে ।কিন্তু বর্তমান সরকার এই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সম্যান দেখাতে পারেনি। সরকার সাড়ে ৪ বছরের পুরো সময়ই ছিল পুলিশ নির্বর সাথে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ছিলোই ।গত সাড়ে ৪ বছরে জনগনের বেলায় সরাকরের একটি নীতি বহাল ছিল জনগণ যেখানে দাড়িয়েছে সেখানে পুলিশ দিয়ে পিটিয়েছে ।দেশের সকল পেশার মানুষকে সরকার পুলিশ ও সরকারের সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে পিটিয়েছে ,খুন করিয়েছে যে হারে, তাতে মনে হয়েছে এই সরকার জনগনের নির্বাচিত সরকার নয়? ২০০৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে।প্রশ্ন জেগেছে বর্তমান আওয়ামী সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে , নাকি ১/১১ এর কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সহায়তায় সরকার গঠন করেছে?তা না হলে জনগণ কে কেন এত ভয় ? শ্রমিক থেকে শুরু করে আলেম উলামা ,শিক্ষক ,রাজনীতিবিদ ,পেশাজীবী ,ব্যবসায়ী সহ সর্বস্তরের জনগনের দাবিকে তুচ্ছমনে করেছে বর্তমান সরকার। শুধু তাই নয় জনগনের দাবির আন্দোলনকে প্রতিহত করেছে টিক প্রতিপক্ষ মনে করে।যার কারণে সরকারের জনসমর্তন নিম্ন গামী। আর সেই ভয়ে সরকার নির্দলীয় সরকার সংবিধানে পুনর্বহাল করতে ভয় পাচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

১৮৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File