"একটি অভিনব মার্শাল ল তদন্তের কথা"। জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান স্যার এর স্মৃতিকথা । বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক (ফেসবুকে প্রকাশিত)
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার সিংহ ১০ মে, ২০১৫, ০৩:২০:২৯ দুপুর
আমি উনিশ শত একাশি সালে স্টাফ কলেজ শেষ করে যশোর সেনানিবাসের একটি পদাতিক ব্রিগেডে ব্রিগেড মেজর ( বি এম) হিসাবে নিয়োগ পাই। প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়া উর রহমান চট্রগ্রামে নিহত হলেন । আমি এর কিছুই জানিনা। জেনারেল জিয়া উর রহমানের নিহত হবার আগের রাতে নাইট ট্রেইনিং ছিল বলে সকলে বাসায় ঘুমাচ্ছিলাম। ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী টেলিফোনে আমাকে ইউনিফর্মে অতিসওর অফিসে আসতে বললেন।আমি অফিসে এসে সব অবগত হলাম। অনেক কিছু ঘটল।ব্রগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এবং ব্রিগেড ডি এ এ এন্ড কিউ এম জি( ডি কিউ) মেজর কাইয়ুম চাকুরী হারালেন। নতুন ব্রিগেড কমান্ডার হিসাবে আসলেন কর্নেল সুবিদ আলী ভূঁইয়া। জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের শাসন শুরু হল। তিনি দেশব্যাপী মার্শাল ল জারি করলেন। আমাদের ব্রিগেড খুলনা সার্কিট হাউসে সাবজোনাল মার্শাল ল সদর দপ্তর স্হাপন করল। আমি প্রন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসাবে অপারেশনাল মুল দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। শুরু হল মার্শাল ল ডিউটি।ডিউটি করছি বেশ কিছু দিন। এদিকে যশোর ডিভিশনে নতুন জিওসি হিসাবে দায়িত্ব নিলেন প্রথমে ব্রিগেডিয়ার পরে মেজর জেনারেল কে এম আব্দুল ওয়াহেদ। জেনারেল ওয়াহেদ মেজর হিসাবে রাজশাহীতে দশ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে আমার কমান্ডিং অফিসার ( সাও) ছিলেন। জেনারেল কে এম আব্দুল ওয়াহেদকে ঐকঠিন সময়ে জিওসি হিসাবে পেয়ে চাকুরীর ভবিষ্যত নিয়ে অনেকটা দু:শ্চিন্তা মুক্ত হলাম। এখানে একটা কথা বলে নেয়া ভালো যে ব্যাটালিয়ান কমান্ডিং অফিসার ( সিও) ট্রেডিশনালী তাঁর অধিনস্হ অফিসারদের জন্য আজীবন আপন জন হয়ে থাকেন সেনাবাহিনীতে। তা তিনি যেখানেই থাকেননা কেন। এই সম্পর্কটা ঠিক পারিবারিক সম্পর্কের মত অনেকটা। জেনারেল ওয়াহেদ আমাদের মার্শাল ল সদর পরিদর্শন করলেন এবং আমাকে সহিসালামতে দেখে আনন্দিত হলেন।এর কিছু দিন পরে ব্রিগেডে কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সুবিদ আলী ভূঁইয়া আমাকে তাঁর সাবজোনাল মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটরের অফিসে ডেকে একটি হাই প্রোফাইল মার্শাল ল তদন্তের ভার আমার উপর অর্পণ করলেন।ব্রফিং এ যা জানালেন তাহচ্ছে , তদন্ত হবে খুলনা কাস্টম কালেকটরের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তিনি এবং তাঁর কেশিয়ার মিলে অফিস স্টাফদের পঞ্চাশ লক্ষ টাকা লোপাট করে কেশিয়ারকে আত্মগোপনে পাঠিয়েছে কাস্টম কালেক্টর নিজে। তো এই তদন্ত হাই প্রোফাইল এই জন্য যে অভিযুক্ত কাস্টম কালেক্টর সেনা ও রাস্ট্র প্রধান জেনারেল এরশাদের অর্থ মন্ত্রী অবুল মাল অব্দুল মুহিতের চাচাতো ভাই।তদন্ত শেষ করতে আমাকে সময় দেয়া হল পনের দিন। আমাকে সহায়তা করার জন্য তদন্ত দলে যুক্ত হলেন সদস্য সচিব এডিসি জেনারেল খুলনা, খুলনা পুলিশের এডিশনাল এসপি এবং সম্ভবত একজন আইন উপদেষ্টা। তদন্তের সব কার্যক্রম আমার অফিস থেকে পরিচালিত হবে। তদন্ত অনতিবিলম্বে শুরু হল। আমারা প্রথমে কালেক্টর কাস্টমস এর অফিসে এসে তাঁকে আমাদের আগমনের বিষয়ে অবহিত করা হল। এবং আমারা তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলাম। তিনি বললেন এই টাকা আমার কেশিয়ার নিজে মেরে দিয়ে আত্মগোপন করেছে। আপনারা তাকে খুঁজে বের করতে পারলেই আপনাদের সব প্রশ্নের সমাধান করতে পারবেন। আমরা অন্যান্য সব কর্মকর্তাদের সাথেও পরিচিত হলাম। আমি কাস্টম কালেক্টরকে তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের দ্বারা সংগৃহীত সব অভিযোগের একটি করে কপি হস্তান্তর করলাম। এবং বললাম আমরা আগামী কাল সকাল ন’টায় আসব তিনি যেন সব প্রশ্নের উত্তর লিখত ডাবে তদন্ত টিমকে হস্তান্তর করেন। আমি আরো বললাম তিনি এখন থেকে আফিসের কোন ফাইল বাসায় নিতে পারবেননা । যদি তাঁর কোন ফাইল কন্সাল্ট করার প্রয়োজন হয় তবে ডেপুটি কালেক্টর কাস্টমস এর উপস্থিতিতে তা করতে হবে। ফিরবার পুর্বে তাঁকে বললাম আমি এখন থেকে তাঁর সব পাওয়ার সিজ করছি এবং তদন্তাধীন সময়ে কোনো ফাইলে তিনি সই করতে পারেননা তবে অফিসে তাঁর কক্ষে বসতে পারবেন। সার্কিট হাউসে ফিরলাম দেখি অনেক সাংবাদিক সংবাদ জানার জন্য অপেক্ষা করছেন ।আমি সবিস্তারে ব্রিফ করলাম সাংবাদিকদের।পরে আলোচনার জন্য সম্মেলন কক্ষে সমবেত হলাম টিম নিয়ে আগামী দিনের কর্মপন্হা ঠিক করার জন্য। প্রথমেই তদন্ত টিমের সদস্য এডিশনাল এসপি আমাকে অভিযোগের সুরে বললেন স্যার আপনি সব গোপন নথিপত্র অভিযুক্ত কাস্টম কালেক্টরকে দিয়ে দিলেন । এখনতো উনি ফাইলপত্র ঘেটে আমাদের সব প্রশ্নের উওর প্রস্তুত করে আগামী কাল দবে। এভাবে তদন্ত করলেতো আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবনা। আমি বললাম সে অভিযোগ সংঘটিত করেছ কানা আমরা জানিনা । আমাদের উচিৎ তাঁকে তাঁর ডিফেন্স প্রস্তুত করার পুর্ন সুযোগ তাঁকে আমাদের দিতে হবে যাতে একজন ভালো মানুষ যেন বিনাদোষে শাস্তি না পায়। এডিশনাল এসপি দেখলাম কিছু নাবলে চুপ করে রইলেন। অন্য সদস্যরা দেখলাম এডিশনাল এসপির সমর্থনে বক্তব্য দিলেন। পরদিন কালেক্টর অফিসে প্রয়োজনীয় কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বক্তব্য রেকর্ড করলাম এবং গতদিনের মত এগুলোর সব কপি কাস্টম কালেক্টরকে হস্তান্তর করে পরদিন এর জবাব চেয়ে সার্কিট হাউসে ফিরে সাংবাদিক সম্মেলনে করলাম। শেষ আমি তদন্ত করছি। অন্য সদস্যরা প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেন। তাদের একটিই কথা এভাবে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণ করা সম্ভব নয়।কিন্তু এবিষয় ছাড়া অন্য সব ব্যাপারে তদন্ত দলের সব সদস্য খুব গভীর ভাবে তদন্তে যুক্ত হয়েছিলেন এবং আমাকে অতিব আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করেছেন। তারা সবাই ছিলেন খুব উঁচু পেশাগত জ্ঞানের অধিকারী এবং শালিন। বিশেষ করে এডিসি জেনারেল যিনি সদস্য সচিব ছিলেন তাঁর ইংরেজি লেখনীর মান ছিল খুব উচ্চ। যদিও তাদের ঠিকানা ও নাম আমার মনে নাই তবুও আমি তাদের আন্তরিকতার ও সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। ইতিমধ্যে আমরা বানাপোলসহ বেশ কছু স্হাপনা তদন্তের স্বার্থে পরিদর্শন করলাম। কিন্তু কোন কূলকিনারা করতে পারলামনা।হঠাৎ ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সুবিদ আলী ভূঁইয়া আমাকে ডেকে পাঠালেন।আমি তাঁর সামনে গেলে তিনি দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাকে জানালেন তোমার জন্য খুব খারাপ সংবাদ হল অর্থমন্ত্রী খুব আপসেট তোমার উপরে।সম্ভবত তোমার ব্যাপারটি প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত পৌচেছে। তোমাকে আর মাত্র সাত দিন সময় দেয়া হয়েছে এরি মধ্যে তুমি কালেক্টর কাস্টমসকে দোষী প্রমাণিত করতে ব্যার্থ হলে তোমাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হবে। প্রথমে আমি বিষয়টি খুব সিরিয়াসলি নিলামনা।কিন্তু কিছুক্ষণ পরে জিওসি জেনারেল ওয়াহেদ যখন একই কথা বললেন তখন বুঝলাম মেটার ইজ সিরিয়াস।তবে যদি বলেন আমার অনুভূতি কি ছিল? আমি বচলিত অবশ্যই হয়েছিলাম তবে আমি আল্লাহর উপরে বিশ্বাস হারাইনি। আমার কেবলি মনে হচ্ছিল দোষ করল কে আর বিনাদোষে চাকরী যাচ্ছে কার? এ কেমন কথা? পরদিন দিন কালেক্টর কাস্টমসকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম।তাঁর একই উওর কেশিয়ারকে খুঁজে পাওয়া গেলে আসল ক্লু বের হবে।তবে তাঁকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখলাম। আরো কিছু স্টেটমেন্ট নিলাম এবং এসবের কপি কালেক্টর কাস্টমসকে হস্তান্তর করে দিন শেষে সার্কিট হাউসে ফিরলাম এবং নিয়মমত সাংবাদিকদের ব্রিফ করলাম। ইতিমধ্যে আরো তদন্তের মধ্যেই ছয় দিন পার হয়ে গেছে। বাকি মাত্র একদিন। রাতে সাতপাঁচ অনেক চিন্তা করলাম। কিন্তু কালেক্টর কাস্টমস এর অপরাধতো প্রপ্রমাণ করা গেলনা। পরদিন সকাল ন’টায় আমারা পুরো টিম কালেক্টর কাস্টমস এর অফিসে এসে তাঁল কাছ থেকে গতকালের প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলাম। এবারে তিনি আমাকে একটি পোষ্টকার্ড সাইজের সাদা কাগজে হাতে লেখা চিঠি হস্তান্তর করলেন। চিঠিটা পড়লাম কেশিয়ারের লেখা কালেক্টর কাস্টমসকে উদ্দেশ্য করে। চাঠির ভাষা এইরুপ:
জনাব
কালেক্টর কাস্টমস মহোদয়।জানিতে পারিলাম আপনার বিরুদ্ধে মার্শাল ল তদন্ত শুর হইয়াছে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা চুরির বিষয়ে।আমি স্বীকার করিতেছি যে এই টাকা আমি নিজে কেশ থেকে সরিয়ে আত্মসাত করিয়াছি। আপনি এই চুরির সঙ্গে জড়িত নন। আপনার মত একজন সৎ মানুষ যাতে শাস্তি না পায় তাই বিবেকের তাড়নায় এই চিঠি আপনাকে লিখিলাম। আপনি আমার এই চিঠি মার্শাল ল তদন্ত টিমকে দেখাবেন যাতে আপনি দোষমুক্ত হতে পারেন।
ইতি
কেশিয়ার।
চিঠিটা কয়েকবার নিজে পড়লাম এবং তদন্ত দলের সবাইকে দখালাম। পরে চিঠিটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় হঠাৎ আমার মথায় বিদ্যুৎের চমক খেলে গেল। আমি কাউকে কিছু জালামনা। আমি চিঠিটা কাস্টমস কালেকটরের হাতে দিয়ে বললাম দেখুনতো এই চিঠির কাগজটিতে কোন ভাঁজ আছে কানা? তিনি দাখলেন এবং হত:বিহ্বল হয়ে বললেন না কোন ভাঁজ নাই তবে এই ভাঁজের চিঠির কিসম্পর্ক? আমি সবাইকে চিঠিটা দেখালাম এবং একবাক্যে উপস্থিত সবাই স্বীকার করলেন চাঠিতে কোন ভাঁজ নাই। আমি চিঠিটা নিয়ে একাই পাশের রুমে গিয়ে ডিস্পেস কেলার্ককে ডিস্পেস রেজিস্টার নিয়ে আমার কাছে আসার জন্য। ডিস্পেস ক্লার্ক আসলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কি এই চিঠি আপনার ডিস্পেস রেজিস্টারে রেকর্ড করেছেন? ডিস্পেস কেলার্ক তার ডিস্পেস রেজিস্টারে রেকর্ড করেছেন যা আমাকে দেখালেন। তিনি লিখেছেন মাননীয় কালেক্টর মহোদয়ের নিজে একটি চিঠি রাত সম্ভবত আট/ সাড়ে আটটার সময় আমাকে দেন । এই চিঠির সাথে কোন খাম তিনি আমাকে দেননি। আমি পিওনকে বললাম ডেপুটি কালেক্টরকে ডেকে আনতে। ডেপুটি কালেক্টর এলে তাঁকে ডিস্পেস রেজিস্টারের লেখা পড়তে বললাম।উনি পড়লেন। পরে আমি ডেপুটি কালেক্টরসহ ডিস্পেস রেজিস্টার নিয়ে কালেক্টর কাস্টমস এর অফিসে এসে চোখে চোখ রেখেতাঁকে বললাম এখনও সময় আছে অপরাধ স্বীকার করেন । কালেক্টর কাস্টমস বললেন আমি কোন অপরাধ করিনি যে স্বীকার করব। আমি তখন তাঁকে বললাম এই চিঠির খাম কোথায়? আমার একথা শুনে তিনি বললেন খামতো ছিল ।এখানেই কোথাও আছে। এই বলে তিনি টেবিলের ড্রয়ারে খুঁজতে লাগলেন। সমস্ত ঘরে পিনপতন নিরবতা। কারো কোনো ধারণা নাই কি নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে ! আমি নিরবতা ভঙ্গ করে বললাম এই চিঠির কোনো খাম নাই। এই দেখুন ডিস্পেস রেজিস্টারে লেখা ডিস্পেস কেলার্ককের মন্তব্য। তিনি দখলেন। এর পর শেষবারের মত আমি বললাম অপরাধ স্বীকার করেন। কিন্তু না তিনি দোষ স্বীকার করলেননা। এইবার আমি সবাইকে চিঠিটা পুনরায় দেখিয়ে বললাম আপনারা সবাই একমত যে এই চিঠিতে কোনো ভাঁজ নাই। সবাই বললেন চিঠিতে কোন ভাঁজ নাই। আমি কালেক্টর কাস্টমসকে বললাম চিঠিতে ভাঁজ নাই তার মানে হল এই চিঠি কোনো খামে ঢুকানো হয়নি। চিঠিটি খামে ঢোকানো হলে চিঠিতে ভাঁজ পড়ত।অতএব আমি কালেক্টর কাস্টমসকে বললাম এই চিঠির কোনো খাম আপনার কাছে নাই।এবং ডিস্পেস রেজিস্টারেও তাই লেখা আছে। চিঠির সাথে কোন খাম দেয়া হয় নাই। এই বার কালেক্টর কাস্টমস আমাকে বললেন হ্যাঁ আমি চিঠির সাথে কোন খাম দেইনি তাতেতো প্রমাণ হয়না আমি অপরাধী? আমি বললাম এই চিঠি খামে না আসার মানে হচ্ছে গত সন্ধ্যায় আপনার কেশিয়ার নিজ হাতে এই চিঠি আপনাকে পৌছে দিয়েছেন। আমর কথা শেষ হতেই দেখলাম কালেক্টর কাস্টমস তাঁর টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়ে আমার ধরার চেষ্টা করছে। আমি উঠে দাঁড়িয়ে তাকে তুলে চেয়ারে বসতে বললাম। তিনি বললেন আমি ঢাকায় আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাই। আমি বললাম বলেন। তখন এসটিডি লাইনে ডায়াল করে কথা বলা যেত। কিন্তু আমি লক্ষ্য করলাম তিনি হাত কাঁপছে বলে ডায়াল করতে পারছিলেননা। আমি তাঁর কাছ থকে নাম্বার নিয়ে নিজে ডায়াল করে ওনার স্ত্রীর সাথে মালিয়ে দিলাম। কালেক্টর কাস্টমস তাঁর স্ত্রীকে শুধু বললেন আমি ধরাপড়ে গেছি।
আমার এই তদন্তে যা শিক্ষণীয় তাহচ্ছে যার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে তাকে ডিফেন্স নেয়ার পুর্ন সুযোগ দেয়া এবং তাকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা যাতে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। একজন মানুষকে অন্ধকারে রেখে তার হাতপা বেধে তদন্ত করে অপরাধী সাব্যস্ত করা কোন কাজের কথা নয়। উচিৎও নয়। আমি আশা করি আমার এই ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা হয়তো নতুন প্রজন্মের তদন্তকারীদের দিকনির্দেশনা দিলেও দিতে পারে।
মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান এনডিসি, পিএসসি ( অব: )
ঐসময় মেজর এবং প্রিন্সপাল স্টাফ অফিসার সাবজোনাল মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর, সাবজোন, খুলনা।
এই লেখা অনলাইনে কাটছাঁট নাকরে ও বাক্যবিন্যাস ঠিক রেখে প্রকাশ করা যাবে।তবে বানান কারেকশন করতে কোনো আপত্তি নাই।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সত্যের বিজয় অনিবার্য,
মিথ্যার বিণাশ অবশ্যম্ভাবী,
সত্যের সাথে থাকা মুমিনের অবশ্যকর্তব্য
জাযাকাল্লাহ "বাংলার সিংহ" ব্লগে শেয়ার করার জন্য
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন