মৌলবাদের উত্থান(সংগৃহীত)। মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার সিংহ ১৭ আগস্ট, ২০১৩, ১২:৩৪:০৭ দুপুর

দেশে মৌলবাদের উত্থান হচ্ছে বলে একদল প্রগতিশীল ব্যক্তি শংকিত। এই প্রগতিশীলেরা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী। ইসলাম এদের কাছে অপসন্দের। এরা ইসলামে ধর্মান্ধতা এবং সন্ত্রাস দেখতে পায়। তাই এরা সর্বদা ইসলামের অনুসারী নিষ্ঠাবান মুসলমানদের প্রতি অসন্তুষ্ট। এরা কারা? এরা কি অমুসলিম? একেবারে অমুসলিমইবা কি করে বলি? এরা মৃত্যুবরণ করলে একাধিকবার জানাযা হয়। লাশের পাশে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করা হ’লেও মুসলমানের মতো দাফন করা হয়।** যদিও কবরে ফুল দিয়ে লাশের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। এদের যাবতীয় কর্মকান্ডে কিছু কিছু মুসলমানী রীতি-নীতি অনুসৃত হ’লেও তাতে অনৈসলামিক রীতি-নীতির সংমিশ্রণ থাকে। সেটাই হ’ল তাদের বিবেচনায় প্রগতিশীলতা, যেটা মৌলবাদী মুসলমানদের অপসন্দ। তাইতো তাদেরকে বলা হয় ধর্মান্ধ।

ধর্মান্ধটা কী জিনিস? শাব্দিক অর্থ যাই হোক, ধর্মান্ধ বলতে তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে, যারা সংস্কার মানে না, অর্থাৎ যারা মৌলবাদী। কুরআন পাকে আল্লাহ বলেন,الَّذِيْنَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُوْنَهُ حَقَّ تِلاَوَتِهِ أُوْلَئِكَ يُؤْمِنُوْنَ بِهِ وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ- ‘আমরা যাদেরকে কিতাব দিয়েছি এবং যারা তা যথারীতি পাঠ করে, তারা ঐ কিতাবের উপর ঈমান আনে; আর যারা এটা মানে না তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ (বাক্বারাহ ২/১২১)। কুরআন পাকে আল্লাহ আরও নির্দেশ দিয়েছেন, وَلاَ تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ- ‘জেনে-শুনে মিথ্যার সাথে সত্যকে মিশ্রিত কর না এবং সত্য গোপন কর না’ (বাক্বারাহ ২/৪২)। আল্লাহর বিধানে কোন পরিবর্তন নেই। তিনি বলেন,وَتَمَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلاً لاَ مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ ‘সত্য ও ন্যায়ের দ্বারা তোমার প্রতিপালকের বাণী পরিপূর্ণ। তাঁর বাক্যে পরিবর্তন করার কেউ নেই’ (আন‘আম ৬/১১৫)। অন্যত্র তিনি আরো বলেন, وَاتْلُ مَا أُوْحِيَ إِلَيْكَ مِنْ كِتَابِ رَبِّكَ لاَ مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَنْ تَجِدَ مِنْ دُوْنِهِ مُلْتَحَدًا- ‘তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট তোমার প্রতিপালকের কিতাব হ’তে পাঠ করে শুনাও। তাঁর বাক্যে পরিবর্তন করার কেউ নেই। তুমি তাঁকে ব্যতীত অন্য কোন আশ্রয় পাবে না’ (কাহফ ১৮/২৭)। অতএব ইসলামী বিধানে সংস্কারের অবকাশ কোথায়? ইসলামের যাবতীয় বিধান আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক প্রবর্তিত। যা মহানবী (ছাঃ) কর্তৃক প্রচারিত এবং প্রচলিত হয়েছে। সুতরাং এই বিধান মৌলিক এবং মুসলমানকে অবশ্যই তা অনুসরণ করতে হবে। তার সঙ্গে কিছু সংযোজন কিংবা বিয়োজন করার অধিকার কোন মানুষকে দেওয়া হয়নি। অতএব সংযোজন-সংস্কার নয়, বরং মৌলিক বিষয়ের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকতে হবে। একেই বলা হয় মৌলবাদ। কুরআন পাকে আল্লাহ বলেন, ادْخُلُوْا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلاَ تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ- ‘তোমরা পরিপূর্ণভাবে দ্বীন ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের অনুসরণ করো না; নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (বাক্বারাহ ২/২০৮)। ইসলামী বিধানের সংস্কার অবশ্যই শয়তানীর নামান্তর। মৌলবাদী মুসলমানকে অবশ্যই তা এড়িয়ে চলতে হবে। মুসলমানকে অনুসরণ করতে হবে কুরআন পাকের নির্দেশ। কেননা আল্লাহ বলেন, هَذَا بَلاَغٌ لِلنَّاسِ وَلِيُنْذَرُوْا بِهِ وَلِيَعْلَمُوْا أَنَّمَا هُوَ إِلَهٌ وَاحِدٌ وَلِيَذَّكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ- ‘এই কুরআন সমস্ত মানুষের জন্য সংবাদবাহক, যেন তারা এর দ্বারা সাবধান হ’তে পারে এবং জানতে পারে যে, আল্লাহ একমাত্র মা‘বূদ। আর জ্ঞানীগণ যেন উপদেশ গ্রহণ করতে পারে’ (ইবরাহীম ১৪/৫২)।

কুরআন পাকে উল্লিখিত হয়েছে যে, ইহুদী-নাছারা-মুশরিকরা মুসলমানদের দুশমন। এ কথা চরম সত্য। আবহমানকাল থেকেই তা চলে এসেছে। অতীত ইতিহাসে তার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। বর্তমানেও তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েক বছর পূর্বে ডেনমার্কের এক পত্রিকায় মহানবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল। ইরাকের আবুগারিব বন্দীশালায় এবং গুয়ানতানামো-বে কারাগারে কুরআন অবমাননার খবর পাওয়া গিয়েছিল। কেন ইহুদী-খ্রীষ্টানেরা মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ এবং তাদের রাসূল (ছাঃ)-কে অবমাননা করবে, এর হেতু কী? মুসলমানরাতো কস্মিনকালেও কারও (বিধর্মীদের) ধর্মগ্রন্থ কিংবা অন্য নবী-রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেনি। কেননা এসব থেকে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, وَلاَ تَسُبُّوا الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ فَيَسُبُّوا اللهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ ‘আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে তারা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না। তাহ’লে তারা সীমালংঘন করে অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকেও গালি দিবে’ (আন‘আম ৬/১০৮)। তবু কেন তারা এরূপ করছে? এর একমাত্র কারণ শত্রুতা। আর তাদের উদ্দেশ্য হ’ল মুসলমানদেরকে উত্তেজিত করে তাদের ধ্বংস সাধনের নিমিত্তে যুদ্ধ-পরিস্থিতির সৃষ্টি করা। সম্প্রতি আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্যাম ব্যাসিলি নামের এক ইহুদী নির্মাণ করে ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ নামে একটি চলচ্চিত্র। তাতে মহানবী (ছাঃ)-কে নিয়ে অবমাননাকর বিষয় রয়েছে। ইসলামে গান-বাজনা, সিনেমা-নাটক নিষিদ্ধ। ভিন্নধর্মী হয়ে কেন মুসলমানদের নবী (ছাঃ)-কে নিয়ে সিনেমা বানানো হবে? তারই ফলশ্রুতিতে বেনগাজিতে (লিবিয়া) প্রতিবাদী মুসলমানরা লিবিয়ায় নিয়োজিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করে। এ হত্যা চরম অপরাধ বলে বিবেচিত হ’লেও মহানবী (ছাঃ)-কে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণকে অপরাধ বিবেচনা করে না প্রগতিবাদীরা। কেন মুসলমানদের নবী (ছাঃ)-কে নিয়ে বিধর্মীদের অনধিকার চর্চা? তার হেতু তারা ভেবে দেখতে নারায।

স্যাম ব্যাসিলির রাসূল (ছাঃ)-কে অবমাননা করে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে মিছিল হয়েছে মুসলিম বিশ্বের প্রায় সর্বত্র। পাকিস্তানে মিছিলকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়েছে সরকারের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমাদের বাংলাদেশেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। কুরআন পাকে আল্লাহ বলেন, وَقَاتِلُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ الَّذِيْنَ يُقَاتِلُوْنَكُمْ وَلاَ تَعْتَدُوْا إِنَّ اللهَ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ ‘আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ কর, যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমালংঘন কর না। কেননা আল্লাহ সীমালংঘনকারীকে ভালবাসেন না’ (বাক্বারাহ ২/১৯০)।

যারা কুরআন অবমাননা করছে, রাসূল (ছাঃ)-কে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করছে তারা প্রকারান্তরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সঙ্গে একরূপ যুদ্ধই করছে। মানুষের বিশ্বাসের এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানলে নীরব থাকবার কথা নয়। সে ক্ষেত্রে যুদ্ধ করা অপরিহার্য। অবশ্য তা হবে দেশের প্রধানের অধীনে। কিন্তু প্রতিবাদের যুদ্ধ অবশ্যই করতে হবে। তাতে বাধা প্রদান কোন মুসলমানের কর্তব্য নয়। যে মুসলমান তাতে বাধা দিবে তার দু’টো অপরাধ হবে, যথা প্রথমতঃ স্বধর্মের অবমাননায় প্রতিবাদ না করা, দ্বিতীয়তঃ প্রতিবাদীদের প্রতিবাদে বাধা দেওয়া।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মহানবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে নিয়ে অবমাননাকর চলচ্চিত্র নির্মাণের অব্যবহিত পরে বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার রামু, উখিয়া এবং পটিয়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা করেছে। অবশ্যই তা নিন্দনীয় অপরাধ। ইসলাম অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পরায়ণ হ’তে বলে না। এ কারণে এ অপরাধে শাস্তি হওয়া উচিত। আর এই অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পশ্চাতে রয়েছে এক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর ফেইসবুকে কুরআন অবমাননার চিত্র প্রদর্শন। সেই যুবককেও কঠোর শাস্তি প্রদান করা কর্তব্য। তার অপরাধ দু’টি, যথা- ভিন্নধর্মের ধর্মগ্রন্থ অবমাননার অনধিকারচর্চা করা এবং দ্বিতীয় অপরাধ হ’ল ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে তাদেরকে উত্তেজিত করে মন্দির ভাংগার পরিবেশ সৃষ্টি করা। বস্ত্ততঃ দ্বীনদার মুসলমান এ হেন নিষিদ্ধ কর্ম করেনি। যারা করেছে তারা নিশ্চয়ই দ্বীনের জ্ঞানসম্পন্ন নয়। অথচ আমাদের সরকার দায়ী করছে তাদেরকে, যারা ইসলামের প্রতি নিষ্ঠাবান। আমাদের পুলিশবাহিনী তাদেরকেই ধর-পাড়ক করছে এবং জেলে ঢুকিয়েছে। ফলে ঢাকা পড়ে গেছে বৌদ্ধ যুবকের কুরআন অবমাননা। সোচ্চার হয়েছে মৌলবাদের উত্থান এবং তাদের সংঘটিত কল্পিত সন্ত্রাস। অতি সম্প্রতি মুসলিম নামধারী কতিপয় ব্লগার ইসলাম, মুহাম্মাদ (ছাঃ) ও কুরআন সম্পর্কে নানা কটূক্তি করে। তাদের ব্যাপারে দেশের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ কিছুই বলেনি। অথচ যখন এ নাস্তিকদের বিরুদ্ধে এদেশের মুসলমানরা জেগে উঠেছে, তাদের শাস্তির দাবী করছে, তখন এসব মুসলমানদেরকে ধর্মান্ধ, মৌলবাদী ইত্যাদি বলা হচ্ছে। এসবই ইসলাম বিদ্বেষের নামান্তর বৈ কি?

শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললে, তাদের শাস্তি হয় না। বাক স্বাধীনতার কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। আবার মুসলমানরা যখন ঐসব নাস্তিকদের শায়েস্তা করে তখন তাদেরকে ধর্মান্ধ, মৌলবাদী, সন্ত্রাসী ইত্যাদি অভিধায় অভিহিত করা হয়। শতকরা ৮ ভাগেরও কম হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টানরা এদেশের সংবিধান থেকে ‘বিসমিল্লাহ’ মুছে দেওয়ার এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বাদ দেওয়ার দাবী তুলে ধরার স্পর্ধা ও সাহস দেখায়। অথচ ৯০ ভাগ মুসলমান ইসলাম বিরোধীদের কিছু বললে, তারা হয়ে যায় ধর্মান্ধ। কি বিচিত্র এই দেশ ও এদেশের মানুষ!

বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসলামী সন্ত্রাস দমন করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গোটা মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্র সমূহে মুসলমানদের রক্ত ঝরিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও যদি তাদের চাহিদা মাফিক ইস্যু পেয়ে যায় তো তাদের খুশিরই কারণ বৈ কি! কিন্তু দ্বীনদার মুসলমান কেন গিনিপিগ হবে? তাদের অবশ্যই প্রতিবাদী হ’তে হবে। বিধর্মীরা আস্থাবান নয় আল্লাহ তা‘আলার এই বাণীতে- وَالَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوْا فَقَدِ احْتَمَلُوْا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُبِيْنًا ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ এবং তার রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে লা‘নত করেছেন এবং তাদের জন্য তিনি অত্যন্ত অপমানকর আযাব প্রস্ত্তত রেখেছেন’ (আহযাব ৩৩/৫৭)। মুসলমানদের মধ্যে যারা সংস্কারবাদী তারাও সেই দলভুক্ত। অতএব মৌলবাদী মুসলমানদের ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদ করতেই হবে। সে কারণেই মৌলবাদের উত্থান প্রয়োজন। সাথে সাথে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ ও বিরোধ নয়; বরং এর অবিসংবাদিত বিধান মেনে নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করার মাঝেই কল্যাণ নিহিত। আর এই বিধানের বিরোধিতা করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। যেমন হয়েছিল নমরূদ, ফেরাঊন, আবু জাহেল ও আবু লাহাবদের। আল্লাহ আমাদের সুমতি দান করুন এবং তাঁর আযাব-গযবে পতিত হওয়া থেকে হেফাযত করুন-আমীন!

বিষয়: বিবিধ

১৩২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File