ব্লগার খুনের পর, মন্দির ভাংচুর, এখন দেখি আলেম হত্যার কাহিনী-তাহার পর কি???
লিখেছেন লিখেছেন রণতরী খান ০৬ মার্চ, ২০১৩, ০১:৪৪:১১ রাত
এই দেশে এখনও ছাম্বাদিক বিক্রি হয় দেড়-দুই টাকায়। থ্রি পাশ নজরুল, ফাইভ পাশ বাবুলরা তাই ছম্বাদিক নামক আবালদের কিনিয়া ছাড়িয়া দিয়াছে ঘাস কাটার জন্য। ওহারা তাই যাহা মন চায় সাধু-চলিত মিশাইয়া কাহিনী প্রচার করিতেছেন। বিশ্বগণমাধ্যম বাঙাল দেশের চিড়িয়া সাংবাদিকতা দেখিয়া নিশ্চয়ই নতুন বধূর মতো পুলকিত হইয়া চক্ষু বন্ধ করিয়া রাখে।
এই গর্ধবের দল হঠাৎ দেখি একদিন মেও মেও শুরু করিয়াছে
তাহাদের গঞ্জিকাসেবিদরে অন্যতম, বিশিষ্ট শাহবাগি ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন বলিয়া। শাহবাগের কনডম চত্বরে পোলা-মাইয়ার যে মিলন সেটাকে মলিন করিয়া দিতেই নাকি নিরীহ জামায়াত-শিবির তাহাকে খুন করিয়াছে! তাহাকে প্রজনন চত্বরের পরথম, মুক্তিযুদ্ধের সেকেন্ড শহীদ বলিয়া গালাগালের মাধ্যমে হুজুরদের একপ্রকার খুনই করিয়া ফেলিল সাংঘাতিকের দল।
জামায়াত-শিবির বলিল কোথাকার কোন ব্লগারকে খুন করার মতো ফালতু টাইম আমাদের হাতে নাই। তাহাদের কথা কেহই শুনিল না।
কয়দিন পর আবিষ্কার হইল ত্রিভূজ প্রেমের বলি গঞ্জিকা চত্বরের এ অনিয়মিত কর্মী। মিডিয়া চুপ মাইরা গেল। সবগুলো হাটুকাঁচা দিয়া মাঠে নামিয়া ও হালে পানি পাইল না। পরে দেখলাম পাঁচ নিরীহ ছাত্রকে ঐ খুনের ধইরা ব্যাপক মরতাছে ফুলিশ লীগ।
ইহার পর দেশব্যাপী দেশে শুরু হইল তীব্র আন্দোলন। মানুষের ভয়ে বাআলগুলো পলাইয়া গর্তে ঢুকিল। সন্ধ্যার পর গর্ত থেকে বের হইয়া আসিয়া তারা সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি-উপসানলায় ভাঙা শুরু করিল।
আমাদের বেহায়া মিডিয়া কোন প্রমাণ খুঁজিল না। প্রচার করিতে লাগিল ইহা জামায়াত ও শিবির করিয়াছে। কিন্তু তাহাতেও কোন লাভ হইল না। মানুষ জানিয়া গেল পুলিশের পাহারায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ এই আকামসমূহ করিয়া বেড়াইতেছে। কোথাও কোথাও মূর্তি ভাঙতে গিয়া ধরাও খাইল মোটা মাথার বাআলরা।
ইহাতে ফ্লপ খাইয়া এখন দেহি কালুর কুণ্টসহ বেশ কিছু আওয়ামী মিডিয়া নতুন প্যাচাল তুলছে। চট্টগ্রামে ভিন্নমতের আলেমদের মারতে নাকি লিস্ট করেছে জামায়াত-শিবির।
আরে কলুর বলদ সাংঘাতিকের দল, জামায়াত-শিবিরতো
তার নিজ মতের আলেমদের সাথে মতবিনিময় সারারও ফুরসত পায় না। কোথাকার কোন ভিন্নমত তাহাকে নিয়া পরিকল্পনা করবে কখন?
আর তোরা মূর্খ, মুসলমানিত্ব, ইসলাম বা ইলমের কি বুঝস তাতো আমরা জানি। তোদের দৌড় যে হাটু পর্যন্ত তা দেশের মানুষ বোঝে ও জানে।
আমাদের স্পষ্ট ঘোষণা---আমরা ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরা এই দেশ তথা তাবৎ দুনিয়ার সবচেয়ে মেধাবীদের অন্যতম। আমাদের মাথা-মেধা দুইটাই আছে। সুতরাং আমরা খেলব বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা। যেমন-দেশের সব মিডিয়ার বিরুদ্ধে আমরা খেলছি। সে খেলায় তোমরা সাংবাদিকরা অনবরত হারছ। আর যাদের মাথায় গোবর ওরা করবে গুম-খুনের মতো ধ্বংশাত্মক চিন্তা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগ যা করছে। শাহবাগ থেকে তোমরা যে উদ্ধত্য দেখিয়েছ আমরা তোমাদের সে অসভ্যতার জবাব কূটনৈতিভাবে ইতোমধ্যে দিয়েছি। আসলে ইসলামই সেরা। আমরা ইসলামের অনুসারীরা সভ্য ও যোগ্য।
আসল কথায় আসি, সাংবাদিকের দল আসলে গলায় দড়ি দিয়া মর-আমরা লজ্জ্বা থেকে বাঁচি।
বিষয়: বিবিধ
১০২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন