'কুত্তার বাচ্চা, চুপ চুপ' বলে মাওলানাকে মারতে গেলেন জাবি ভিসি আনোয়ার!!!
লিখেছেন লিখেছেন রণতরী খান ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:৪০:১২ রাত
আজ শুধু চিনে রাখুন। এই অন্তিম মুহূর্তে শুধু জানার জন্য বলছি। আজ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর কিছু বলতে চেয়েছিলন মজলুম মাওলানা সাঈদী। কিন্তু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এ মানুষটিকে তার শেষ কথাটাও বলতে দেয়নি আওয়ামী ক্যাডাররা! আপনারা ঘৃণা করুণ আমার মতো অধমকেও। যে সামনে থেকেও এ অনাচারের প্রতিবাদ করতে পারেনি?
কাঠগড়া থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মাওলানা বিচারকদের উদ্দেশে কিছু বলতে চাইলে ‘কুত্তার বাচ্চা চুপ, একদম চুপ’ বলে তার দিকে তেড়ে যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ার হোসেন। তার সাথে যোগ দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসূফ বাচ্চু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনতাসির মামুন, প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমানসহ ঘাদানিক নেতারা। তারা মারতে উদ্যত হন এ বৃদ্ধ আলেমে দ্বীনকে। ইউসূফ বাচ্চু ও মুনতাসির মামুন ‘তুই রাজাকার চুপ কোন কথা বলবি না চুপ’ ‘রাজাকারের আবার কিসের কথা’ বলে চিল্লাতে থাকেন। বাচ্চু ‘ঐ রাজাকারের বাচ্চা চুপ কর' বলে তার দিকে তেড়ে আসেন। আমি বাচ্চুর সামনে গিয়ে দাঁড়াই। তার হাত দুটো ধরে রাখি। প্রসিকিউটর শাহিদুর 'ধর ধর' স্লোগান তুলেন।
এরপর পুলিশ মাওলানা সাঈদীকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যায়। যেখানে গিয়েই হাত থেকে কোরআন শরীফ রেখে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজে দাঁড়ান মাওলানা। এর আগে ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে তিনি ‘বিচারকরা নিজেদের শপথের নিকৃষ্ট অপব্যবহার করেছেন’ বলে মন্তব্য করেন। আমি প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাওলানাকে দেখি। আসাদ ভাই (আইনজীবি) হাত ধরে 'এসব কিছুনা' বলে উল্টো আমাকেই সান্তনা দেয়। হাজতখানায় দীর্ঘক্ষণ নামাজরত অবস্থায় থাকেন এ আলেম।
আনোয়ার, মামুন, কবির, শাহিদুর, জাফর, বাচ্চু-ওরা এদেশেরই মানুষ। তবে 'র' এর টাকায় কেনা। একজীবনে ওদের অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। কিন্তু আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর না।
..............
.....
জামায়াতের অফিসিয়াল বিবৃতি মতে-এখন পর্যন্ত শাহাদাত বরণ করেছেন আমাদের ৫০জন ভাই। আসুন ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেই। এ রক্তের মূল্য হাসিনাকে দিতেই হবে।
বিষয়: বিবিধ
২৪৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন