এমন ভিসি হলে বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হবে!
লিখেছেন লিখেছেন রণতরী খান ২৫ মে, ২০১৩, ১০:১৮:১৪ রাত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে যুবলীগ ক্যাডার মিজানুরকে। ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর ঘোষণা দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবলীগ ছাড়া আর কোন দল থাকবে না । এ ঘোষণা শুনে ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করলে তিনি এখন ছাত্রলীগের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছেন। উপায়ান্তর না দেখে ছাত্রলীগকে ভিসি এই বলে ভৎসর্না করেছেন 'কি রাজনীতি করো মিয়া । তোমরা থাকতে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ব্যানার লাগানোর সাহস পায় কই!'
একজন ভিসির কাজ শিক্ষা নিয়ে কাজ করা । কিন্তু এখনকার ভিসিরা কাজ করেন দল নিয়ে। দলবাজরা সরকারের দয়ায় বড়জোর ভিসি হতে পারেন কিন্তু ছাত্রদের শিক্ষক হতে পারেন না । যেমন ঢাবির ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী। বিশ্ব হারামজাদার পুরস্কার দেয়া দরকার এই বেহায়া ও বজ্জাতটাকে । সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এইসব অসভ্যগুলোকে শিক্ষাঙ্গন থেকে আগাছা হিসেবে সাফ করা দরকার।
ঢাবির ইতিহাসে তিনিই প্রথম ভিসি যিনি ছাত্রলীগের ব্যনারে মিছিলে যোগ দিয়েছেন। প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন। তবে আপনারা যদি কোন বলদের বাস্তব অবস্থা দেখতে চান তাহলে একটিবার জবির সাবেক ভিসি মেসবাহ'র সাথে দেখা করুন। দেখে আসবেন বলদ কাহাকে বলে কত প্রকার ও কি কি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আজ যে ছন্নছাড়া অবস্থা তার প্রেতাত্মা যেন ভিসিগুলো। আবাল বা বলদের সাথে ভিসি মহোদয়দের তুলনা করা হলে ঐ প্রাণীদেরও এতে লজ্জ্বা পাওয়ার কথা । যেমন - চবির সাবেক ভিসি আবদুল মান্নান স্যার । এই ভদ্রলোকের কোন কাজ কাম নাই। ঘুরে ফিরে হাসিনার পক্ষে একই ক্যাসেট নানা জায়গায় বাজান?
গত চার বছরে দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে যত রক্ত ঝরেছে, এতগুলো প্রাণ হত্যা করা হয়েছে এসবের দায়ভার কি করে এড়িয়ে যাবেন ভিসিরা?
আর কার কথা বলবো জাবি ভিসি আনোয়ারের কথা? এই বদটাতো মানুষের কাতারেই পড়ে না । আমি নিজেকে এখনো মানুষ মনে করি। তাই উপরে কতগুলো মানুষ (হারামজাদা) নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু আনোয়ারকে নিয়ে আলোচনা করার মতো নির্লজ্জ্বতা দেখাতে পারলাম না। শুধু বলছি - এই বেয়াদবটার বিচার একদিন ছাত্র - জনতা সম্মিলিতভাবে করবে ।
বিষয়: বিবিধ
১৮০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন