ছেলের ৫২ দিনের রিমান্ড, বৃদ্ধা মায়ের দয়া ভিক্ষা ও বিচারের নমুনা...

লিখেছেন লিখেছেন রণতরী খান ২৩ মে, ২০১৩, ০৮:৫৬:৫১ সকাল

একটা মানুষকে টানা ৫২ দিন ধরে রিমান্ডে রাখা হয়েছে। পাশবিক নির্যাতনের কারণে আসামি এখন নিজে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছেন। অথচ সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ আছে 'কোন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা যাবে না।' সেই সুপ্রিমকোর্টের কাছেই আজ প্রিয় সন্তানের জীবন বাঁচাতে দয়া ভিক্ষা চেয়েছিলেন অসহায় বৃদ্ধা মা তৈয়বা খাতুন। তিনি আদালতের কাছে ছেলের মুক্তি চাননি কিন্তু! শুধু সুচিকিৎসা সেবার নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন।

কিন্তু নির্বিকার আমাদের বিচারালয়। তাদের কানে পৌঁছেনি মায়ের আর্তনাদ। খালি হাতেই বৃদ্ধা মহিয়সী মাকে ফিরিয়ে দিলেন বিচারকেরা। আদালত মৃত্যুর মুখোমুখি শিবির সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন না আদালত । উল্টো তিনি আসলে অসুস্থ কি না তা যাচাই করতে মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে চাইলেন! পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিগুলো বিশ্বাস হলো না বিচারকদের । তারা বিশ্বাস করলেন সরকারি কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কথা।

নিচের অংশটুকু পড়ুন - আদালতে শুনানিতে আসামির আইনজীবী বলেন, 'নির্যাতনের কারণে শিবির সভাপতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন মৃত্যুরর মুখে। আমার আবেদন হলে তাকে পিজি হাসপাতালে (বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি করিয়ে সুচিকিৎসা দেয়া হোক।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, সেখানে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। কারাগারে তার চিকিৎসা চলছে। জবাবে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন আমরা জানি তিনি সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। জবাবে আদালত বলেন, যেহেতু এটর্নি জেনারেল বলেছেন, তাই আমরা নিশ্চিত হতে পারি আটক ব্যাক্তি কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।'!

এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, 'শিবির সভাপতির ৪৩টি মামলার আসামি। মামলার স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। এই মুহুর্তে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবেনা। কারা জেলে তার চিকিৎসা চলছে'

কি সেলুকাস! হায় বিচারব্যবস্থা। আমাদের বিচারকেরা একটি বারের জন্য ও জিজ্ঞাসা করলেন না কেন তার নামে ৪৩টি মামলা দেয়া হয়েছে! তিনি কি চোর না ডাকাত! তার অপরাধ জানতে চাইল না মাননীয় আদালত? শুধু আদর্শের কারণে অপরাধী বলে সাব্যস্ত করলেন!

আদালতে উপস্থিত থেকে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন রণতরী খান ।

কমিউনিটি ব্লগারস ফোরামের পেজ থেকে নেয়া ।

বিষয়: বিবিধ

১৮৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File