যে মামলায় সাঈদীর ফাঁসি হলো.....

লিখেছেন লিখেছেন আল মাসুদ ০১ মার্চ, ২০১৩, ১১:৪৮:২৬ রাত

প্লিজ কেউ না পড়লেও একবার টু মেরে যাবেন.....

গতকাল বিশ্ববরেণ্য মুফাচ্ছিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যে দুটি অভিযোগে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তার একটি হলো এব্রাহিম কুট্রিকে হত্যা করার অভিযোগে । ১৯৭১ সালের ১লা অক্টোবর মাসে সংগঠিত এই হত্যায় ইব্রাহিম কুট্রির স্ত্রী ১৬.০২.১৯৭২ সালে একটি মামলা করে, যার এফ আই আর-এ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। যাদের মধ্যে আল্লামা সাঈদীর নামই ছিল না। সে মামলার বিবরণ আপনাদের সমীপে হাজির করলাম।

জি আর ৩৭৮/৭২

মোকদ্দমা দন্ড বিধি ৩০২/১৪৭/৩৮০/৪৪৮ ধারা

ঘটনার তারিখ ইং ১/১০/১৯৭১ বাংলা ১৩ আশ্বিন ১৩৭৮ শুক্রবার

ঘটনার স্থান পিরোজপুর শহর, টি বি নং ২ কোয়ার্টার মাইল দূরে

বাদী:- মমতাজ বেগম স্বামী মৃত এব্রাহিম, সাং বাদুরা, পিরোজপুর

বিবাদী:-

১)পাকিস্থান সৈন্য, পিরোজপুর ক্যাম্প

২) দানেশ মোল্লা, চেয়ারম্যান পারেরহাট, পিং মৃত নৈমদ্দিন মোল্লা।

৩) আতাহার আলী হাং পিং মৃত আইনদ্দীন হাং, সাং বারৈখালী

৪) আশ্রাব আলী পিং আছমত আলী, সাং টেংরাখালী

৫) আব্দুল মান্নান হাং পিং মৃত হাসেম আলী হাং সাং বাদুরা

৬) আইউব আলী চৌ. পিং মৃত আরব আলী

৭) কালাম চৌকিদার,পিং আব্দুস ছোবহান, সাং বারৈখালী

৮) রুহুল আমিন, পিং আনোয়ার হোসেন, সাং পারেরহাট

৯) আব্দুল হাকিম মুন্সি, পিং মমিনদ্দীন মুন্সি সাং বারইখালী

১০)মমিনদ্দীন পিং আবদুল গনি সাং গাজিপুর

১১) সেকান্দার আলী সিকদার পিং মৃত মুনছুর আলী সিকদার সাং হোগলাবুনিয়া

১২) শামছুর রহমান TSI PirujpurPS সর্ব্ব ষ্টেশন পিরোজপুর

১৩)মোছলেম মাওলানা পিং মৃত মোদাচ্ছের গাজী সাং বাদুরা, সর্ব থানা পিরোজপুর, জেলা বরিশাল

স্বাক্ষী

১) আবদুল রজ্জাক ২) দেলওয়ার হোসেন ৩) তাহের আলী হার ৪) আবদুল ছত্তার হার ৫) মোসাম্মৎ সেতারা বেগম ৬) রানী ৭) আজাহার আলী হার ৮) মহাম্মদ আলী ৯) মকবুল সেকদার সাং বারইখালী, বাদুরা, থানাঃ পিরোজপুর।

বিবরন এই যে, ঘটনার দিন বিবাদীগন পরষ্পর যোগাযোগে বেআইনী জনতাবদ্ধে রাইফেল, পিস্তল, ছোরা লাঠী ইত্যাদি প্লাস নামক অস্ত্রাদিতে সজ্জিত হইয়া ভোরের পুর্বে আমার পিতার ঘর বেড়দিয়া আমার স্বামীকে গুলি করিয়া হত্যা করিয়া আমার শরীরে জখম করিয়া আমার মাতা ও ভ্রাতাকে ধরিয়া পিরোজপুর আনিয়া আমার মাতাকে ছারিয়া দিয়া আমার ভ্রাতা সিরাজ আলীকে গুলি করিয়া হত্যা করিয়াছে। আক্রোশের কারণ এই যে, আমি ও আমার স্বামী আমার স্বামীর বাড়িতে বাদুরা গ্রামে বসবাস করিতেছিলাম। গত মে মাসে পাকসৈন্য বাহিনী এদেশে আসিয়া যখন অকারণে গুলি করিয়া মানুষ মারিতে থাকে তখন কতিপয় হিন্দু আমাদের শরনাপন্ন হওয়ায় আমরা তাহাদের আশ্রয় দেওয়ায় পাকসৈন্যগণ ও তাহাদের দালালগন আমার স্বামীকে হত্যা করিবার জন্য খোজ করিতে থাকায় আমরা ভয়ে বাড়ি ছারিয়া আমার পিত্রালয়ে বসবাস করিতেছিলাম। তথায় বিবাদীগণ ক্রোধ করিয়া উক্তরুপ অত্যাচার করিয়াছে। প্রকাশ থাকে যে, বর্তমানে আমি গর্ভবতী থাকায় এ বিশয় আমার পিতা পারেরহাট আওয়ামী লীগ অফিসে জানাইয়া কোন প্রতিকার পাই নাই। তাই এই দরখাস্ত করিতে বিলম্ব হইলো।

সেমতে প্রার্থনা আদালত দয়া করিয়া উক্ত ধারামতে উক্ত বিবাদীগনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দিয়া ধৃত করাইয়া সুবিচার করার মর্জি হয়।

স্বা : মমতাজ বেগম

বিঃ দ্রঃ কিছু নাম পড়তে না পারায় বানানে ভুল থাকতে পারে। এফ আই আরের কপি স্ক্যান করে দেওয়া হলো।

উপরোক্ত এফ আই আর-এ আল্লামা সাঈদীর নাম নেই। স্বাধীনতার পর তাঁর নামে কেস করা ভয়ের কারণ ছিল না। কিন্তু কেস করা হয় মাত্র ১৩ জনের নামে। সে ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনাল হাজির না করে কুরআনের খাদেম নির্দোষ সাঈদীকে ফাঁসানো হলো। যা জাতি মেনে নিবে না কখনো। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গাত্রদাহ যতই হোক, এদেশ আমাদের। এদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক আমরা। আমরা কারো দালালী মেনে নিতে রাজি নই। সাঈদীকে দ্রুত মুক্তি দিন, আমরা মুক্ত সাঈদীকে দেখতে চাই। আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি আল্লামা সাঈদী। শুধু শহর নয় প্রত্যন্ত গ্রামেও তাঁর জন্য মিছিল হয়েছে এবং হচ্ছে। সরকারের শুভ বুদ্ধি যত দ্রুত উদয় হবে, দেশ তত দ্রুত সংঘাতময় অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে। আমরা সবাই একই ছাদের নিচে ভাই ভাই হিসেবে দলমত নির্বিশেষে বাস করতে চাই।











বিষয়: বিবিধ

১৪৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File