সৌদিআরবের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলাম ফারুকের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নিতীর ও সেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে তাকে অপসারণের জন্য সাধারণ অভিভাবদের পক্ষ থেকে স্কুলের চেয়ারম্যানের নিকট খোলা চিঠি:
লিখেছেন লিখেছেন অন্যায়ের প্রতিবাদি কন্ঠ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:০০:২৭ দুপুর
মাননীয়, চেয়ারম্যান, স্কুল গভর্নিং বোর্ড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ,জেদ্দা।
বিষয়: স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেস্কুলের প্রিন্সিপাল পরিবর্তনের জন্য আবেদন।
জনাব,
আমরা আপনাদেরকে অনেক আশা ভরসা নিয়ে নির্বাচিত করেছিলাম, বিশেষ করে স্কুলের প্রিন্সিপালের বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আমরা ৫ বছর ধরে কথা বলছি। এসব বিষয়ের প্রত্যেকটিতে প্রিন্সিপালের একগুয়েমী মনোভাবের কারণে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
১। বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী কোন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন আইন এর মার প্যাচ দেখিয়ে স্কুলে ভর্তি থেকে বিরত রাখা যাবে না। যে কোন মূল্যে নিস্পাপ শিশুদের মৌলিক অধিকার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা যাবেনা। সিট নাই, বোর্ডও মন্ত্রনালয় এর দোয়াই দিয়ে সাধারণ অভিভাকদের হয়রানী বন্ধ করে প্রবাসীদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতাকে সম্মান করে অনেক নিয়মকানুনকে শীতিল করেযে কোন মূল্যেসবাইকে অত্র স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ দিতে হবে। ২। স্কুলের আভ্যন্তরীন প্রত্যেকটি পরীক্ষার ফলাফল অটোমেশন সিষ্টেমে কম্পিউটারাইজড প্রিন্টের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। কম্পিউটারাইজড টেবুলেশন শীটেবালক শাখা, বালিকা শাখা ও মদীনা, ইয়ানবু কোচিং সেন্টার এর যৌথ মেধাতালিকাতৌরী ও আলাদা আলাদা মেধা তালিকা তৌরী করা প্রয়োজনে সেকশন উল্লেখ করতে হবে।
৩। নবম শ্রেণীতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক শাখায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন আইন করে শিক্ষার্থীদের কোন বাধা না দিয়ে স্বাধীন ভাবে তাদেরকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। উক্ত তালিকা নিয়ে যদি দেখা যায় কোন শাখায় কমপক্ষে ৫ জন শিক্ষার্থী না পাওয়া যায় তখন তাদের অভিভাববকদের স্কুলের সীমাবদ্ধত জানিয়ে তাদেরকে অন্য বিভাগে স্থানান্তর করবেন। আবার কোন বিভাগে যদি দেখা যায় এমন কোন শিক্ষার্র্থী কোন ভাবেই উক্ত বিভাগ থেকে পাশ করতে পারবে না, তখন তাদের অভিবাবকদের সাথে পরামর্শ করে অন্য বিভাগে স্থানান্তর করবেন।এবছর নবম শ্রেণিতে বাণিজ্যবিভাগে বার্ষিক পরীক্ষায় ফেল বেশী কেন? উক্ত ফেল করা বিষয়ের শিক্ষকদের শোকজ নোটিশ দেন। বার্ষিক পরীক্ষার খাতা কোনঅভিভাবক চাইলে অবশ্যই দেখাতে হবে।
৪। স্কুলের পক্ষ থেকে দেয়াশিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পুরস্কার গুলোতে স্কুলের মনোগ্রাম,নাম ও পুরস্কারেরর বিষয়ও শিক্ষার্থীর নাম লিখে দিতে হবে। ৫। এবছর বেতন বৃদ্ধি করেছেন আমাদের কষ্ট হবে তারপরও মেনে নিয়েছি, তবে প্রাইভেট টিউশনি থেকে মুক্তি চাই।অন্যথায় বর্ধিত বেতন প্রত্যাহার করতে হবে। স্কুলে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুনীতির মূল কারণ প্রাইভেট টিউশনি,যেমন নিজের অজান্তে ক্লাশে প্রাইভেট পড়য়া– ছাত্রের প্রতি বেশী মনোযোগ, নিজের অজান্তে বাসায় পড়ানোর সময় যে সকল প্রশ্ন পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রে আছে সে গুলো পড়াতে শিক্ষক মিস করবেন না। নিজের অজান্তে শিক্ষক পরীক্ষার খাতায় হাতের লিখা দেখেই প্রাইভেট পড়য়া– ছাত্রের খাতা নির্ণয় করে বেশী নম্বর প্রদান করেন। বিশেষ করে ব্যবহারিক পরীক্ষায় তো প্রাইভেট পড়য়া– ছাত্রকে শিক্ষক পূর্ণ নম্বর প্রদান করেন।বিশেষ করে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা সর্ব্বোচ্চ ১৫-২০ জন এবং অন্যান্য বিষয়ে যদি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ এর কম হয় তাই শিক্ষকদের কথামতো উক্ত বিষয়ের শিক্ষকগন কোন ভাবেই প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না এই মর্মে আইন করতে হবে, তবে ৩ মাস অন্তর যে পরীক্ষা হয় তার ফলাফল যদি সন্তোষ জনক হয় তা হলে উক্ত শিক্ষকদের ৫০০ রিয়াল ইনসেন্টিভ প্রদান করবেন। কিন্তু ২৫ জনের উপরের ক্লাশে যে শিক্ষক ক্লাশ নেন সে শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। জরুরী প্রয়োজন প্রিন্সিপালের অনুমতি সাপেক্ষেশুধুমাত্র যেসকল শিক্ষক যে সকল ক্লাশে কোন বিষয় পড়ান না সে সব শিক্ষক ঐ সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। যে শিক্ষক যে ক্লাশে পড়াবেন সেই ক্লাশের প্রশ্নপত্র তিনি করতে পারবেন না। এর ফলে রুটিন নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বাড়াবাড়ি বন্ধ হবে। বার্ষিক পরীক্ষায় যে বিষয়ে বেশী এ প্লাস পাবে ও ১০০% শিক্ষার্থী পাশ করবে সেই বিষয় শিক্ষককে বালক, বালিকা ও ইংলিশ শাখায় মোট ৩ জনকে বছরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন করতে হবে। প্রিন্সিপালের মনগড়া সিষ্টেম বন্ধ করুন। প্রতি বছর জানুয়ারী মাসে পূর্বের বছরের স্কুলের সব গুলি খাত ভিত্তিক আয় ব্যায়ের হিসাব সকল অভিভাবককে দিবেন।
৬। শুধুমাত্রগ্রীষ্মকালীন ছুটি ও নির্বাচনী পরীক্ষার পরযে সকল শিক্ষার্থী কোচিং করতে ইচ্চুক তাদেরকে নিয়ে কোচিং এর ব্যবস্থা করবেন। কোন ভাবেই কোচিং বাধ্যতামূলক করা যাবে না।এবং এর আয় ব্যায় শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বোর্ডের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ অনুসারেকরতে হবে। অথাৎ মোট আয়ের ১০% বিদুৎ, ভবন ভাড়া বাবদ স্কুল ফান্ডে থাকবে, বাকী অর্থ ক্লাশ নেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে বন্টন করতে হবে। প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালকে কোন অর্থ দেয়া যাবে না। বৃত্তি পরীক্ষারকোচিং বিলে প্রিন্সিপাল ১৩০০+১৩০০ ও ভাইস প্রিন্সিপাল ১২০০+১২০০ করে ২ টি বিল ক্সতরী করে অর্থ নিয়ে সম্পুর্ণ অনিয়ম ও দুর্নীতিকরেছেন। এর জন্য তাদেরকে শোকজ করতে হবে। প্রকৃত পক্ষেউনারা বাসায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এত টাকা নেওয়া কোন ভাবেই হালাল হবে না। যে সকল শিক্ষক না ঘুমিয়ে না খেয়ে ক্লাশ করেছেন তাদেরকে বঞ্চিত করা হয় এবং স্কুল ফান্ডের তছরুফ এর শামিল। আমাদের পরামর্শ ক্লাশ না নিয়ে কেউ কোন অর্থ নিতে পারবে না। এবং কোচিং এ ২০ দিনে ১ মাস ধরতে হবে। ১০ দিন কোচিং করে ১ মাসের টাকা নেওয়া যাবে না। কোচিংএ ক্লাশ নেওয়া মোট দিনকে ২০ দিয়ে ভাগ দিয়ে যত মাস হবে তত মাসের বেতন নিবেন।
৭। স্কুলের ক্লাশরুম ও বাথরুম গুলি একটু উন্নতমানের করা ও পরিস্কার পরিচ্চন্ন রাখার ব্যবস্থা করা।
৮। স্কুল ম্যাগাজিনে গভনির্ং বডি ও সকল শিক্ষক ও ড্রাইভার ও কর্মচারীদের ছবি সহ নাম ও মোবাইল নং প্রদান করতে হবে । স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সহশুরু থেকে সকল চেয়ারম্যান, সদস্য , প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকবৃন্দের নামের তালিকা ছোট করেহলেও দিতে হবে। স্কুলের ইতিহাস শিক্ষাথীদের্র জানাতে হবে।
৯। স্কুলের ওয়েব সাইটে ক্লাশ রুটিন, সকল পরীক্ষার ময়সূচী, একাডেমিক ক্যালেন্ডার ও সকল পরীক্ষার ফলাফল সহস্কুল ম্যাগাজিন ও স্কুলের বিভিন্ন তথ্য সব সময় আপডেট থাকতে হবে। এর জন্য একজন ওয়েব মাষ্টার নিয়োগ করুন। প্রয়োজনে অনেক অভিভাবক আছেন এ ব্যাপারে সহযোগীতা করবেন। বর্তমান ওয়েবসাইটে স্কুলের কোন তথ্যই নাই। স্কুলের নতুন ভবনেরাযাবড় অংকের দাতা তাদেরকে হাইলাইট করে অন্যান্য দাতাদেরকে উৎসাহিত করতে উক্ত ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করুন।
১০। আমাদের স্কুলটি প্রবাসেএকমাত্র প্রতিষ্ঠান তাই এখানে সৌদি শিক্ষা মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বোর্ডের অনেক নীতিমালা ভংগ করতে হয় এবং সকল নীতিমালা এখানে কার্যকর করা সম্ভব নয়। তার পর ও কয়েকজন শিক্ষক বোর্ডের আইন ‘‘কোচিং নীতিমলিা ২০১২” অমান্য করে বর্তমান গভর্নিং বডির সরলতার সুযোগে বোর্ডের আইনের দোহাই দিয়েনিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যা প্রদান করে ৬৩% এর পরিবর্তে ৮৩% ও ৯১% বেতন নেয়ার পায়তারা করছেন। বোর্ডের আইন হলো যে সকল প্রভাষক স্কুল ব্যাতিতশুধু মাত্র কলেজে ক্লাশ নিয়ে যাদের ৮ বছররে অভিজ্ঞতা থাকলে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ৮৩% পাবেন। এবং স্কুল ব্যাতিতশুধু মাত্র কলেজে ক্লাশ নিয়ে যাদের ১২ বছররে অভিজ্ঞতা থাকলে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ৯১% । কিন্তু স্কুল এন্ড কলেজে অথ্যাৎ নবম দশম শ্রেণিতে ক্লাশ নিয়ে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে ও সহকারী অধ্যাপক হতে পারবেন না। তাদেরকে প্রভাষক হিসেবে সব্বোর্চ ৬৩ % পাবেন। সম্মান দিতে আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের সামর্থ থাকলে বেতন বাড়াতে ও আপত্তি থাকত না। এখানে আমাদের প্রবাসীরা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ও আয় সীমিত। এর পর ও আমরা আশ্বাষ দিচ্ছি নিজস্ব স্থানে নিজস্ব ভবনে স্কুল প্রতিষ্ঠার পর যখন বিল্ডিং এর ভাড়া লাগবে না তখন আমরা শিক্ষকদের ১০০% বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করব ইনশাল্লাহ। যদি আমাদের স্কুলই বন্ধ হয়ে যায় তো বেতন স্কেল দিয়ে কি হবে?
১১। বোর্ডের নিয়ম হলো পাস কোর্স নয় অনার্স সহ মাষ্টাস করা শিক্ষকগণ প্রভাষক হতে পারবেন। কিন্তু ইসলাম শিক্ষায় অনার্স মাষ্টার্স করা বিশেষ করে মেয়েদের সেকশনে সিনিয়র মহিলা শিক্ষিকা রেহেনা শিহাবকে বাদ দিয়ে প্রিন্সিপাল তার আত্মীয় হিসেবে পরিচিত অনার্স না থাকা সত্তেও পুরুষ শিক্ষকআলআমিন ও রাবেয়া কে প্রভাষক হিসেবে সুবিধা দিচ্ছেন কেন?বোর্ডের আর একটি নিয়ম হলো শিক্ষা জীবনে ২টির অধিক ৩য় শ্রেণি থাকলে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে রাখা যাবে না। কিন্তু বোর্ডের নিয়মকে তোয়াক্কা না করে ৩ টি ৩য় শ্রেনি প্রাপ্ত শওকত আলি খানকে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনে সুযোগ দিচ্ছেন কেন? এসব অনিয়ম বন্ধ করে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারেযাদের অনার্স রয়েছে তাদেরকে প্রভাষক, যাদের বিএড বা ৮ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা সিনিয়র শিক্ষক, যারা পাস কোর্সে ডিগ্রি পাশ সহ মাষ্টার্স তারা সহকারী শিক্ষক ও যারা শুধুমাত্র ডিগ্রি পাশ তারা জুনিয়র শিক্ষক হিসেবেপদবী প্রদান করুন। তবে অভিজ্ঞতা অনুসারে ইনক্রিমেন্ট দিবেন।
বোর্ড পরীক্ষায় যাদের ডিউটির কারণে প্রক্সি হিসেবে যে সব শিক্ষক ক্লাশ নিবেন তাদেরকে বোর্ড ডিউটিতে প্রাপ্ত শিক্ষকের অর্থ থেকে কর্তন করে ৩০% অর্থ প্রক্সি শিক্ষককে দিতে হবে। বছরে ৪টির প্রতিটি বোর্ড পরীক্ষায় ও প্রিন্সিপাল ২০০০ ও ভাইস প্রিন্সিপাল ১৮০০ রিয়াল নেওয়া বন্ধ করতে হবে। আমাদের পরামর্শ হলো শুধুমাত্রহল সুপার আবুল বাশার প্রতিদিন ৮০রিয়াল এবং (কেন্দ্র সচিব) অধ্যক্ষ বা উপাধ্যক্ষ ৫০ রিয়াল সম্মানি পাবেন কোনভাবেই ১দিনে ২ জনের প্রয়োজন নাই। যারা পরীক্ষায় হল পরিদর্শন করবেন প্রতিদিন স্কুল শিক্ষক ৪০ রিয়াল করে পাবেন। অফিস কার্যাদির নামে সাব্বির ও আল-আমিন ২ ঁজনকে সুযোগ না দিয়ে কনসুলেটের ১জন ও স্কুলের ১ জন অফিসসহকারী দিতে হবে এবং ধারাবাহিকভাবে সকল শিক্ষককে সুযোগ দিতে হবে। পিয়ন হিসেবে কনসুলেটের ১ জন ও স্কুলের ১ জন। ড্রাইভার হিসেবে কনসুলেটের ১ জন ও স্কুলের ১ জন।তারাও প্রতি দিন ৪০ রিয়াল পাবেন। ২০ জনের লম্বা তালিকা পরিহার করতে হবে। আমাদের স্কুলটি যখন ফান্ডের অভাবে নিজস্ব ভূমি ও ভবন এর ব্যবস্থা করতে না পারার কারনে যে কোন সময় প্রাণপ্রিয় স্কুলটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমতাবস্থায় বোর্ড পরীক্ষা ও কোচিং সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত খরচ বন্ধ করতে হবে। ১০ বছর ধরে সৌদি সকরকার বলছে আমাদের স্কুলটিনিজস্ব ভুমিতে নতুন ভবন নির্মান করতে হবে। তাই প্রিন্সিপালের উচিত ছিল বিভিন্ন খাতে খরচ কমিয়ে প্রতি বছর ১ মিলিয়ন রিয়াল সাশ্রয় করা। বর্তমানে স্কুল ফান্ডে যে অর্থ আছে তা শিক্ষকদের সার্ভিস বেনিফিটের টাকা। পুরাতন শিক্ষকরা ৫০ হাজারকরে ২ মিলিয়ন রিয়াল পাওনা আছেন। ভবন নির্মানের জন্য সঞ্চয়কৃত কোন অর্থ স্কুলফান্ডে নাই।যার ফলে এখন আমাদেরকে মানুষের নিকট ভিক্ষা করতে হচ্ছে। অন্যথায় স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাবে।
১২। ক্লাশ রুটিন করার সময়শিক্ষকদের একাডেমিক যোগ্যতা ও পারফরমেন্স ও অভিজ্ঞতা অনুসারে রুটিনে ক্লাশ প্রদানকরবেন। অবশ্যই চেষ্টা করবেন মহিলাদেরকে দিয়ে বালিকা শাখা ও পুরুষদেরকেদিয়ে বালক শাখার রুটিন তৌরী করতে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স মাষ্টার্স বাদ দিয়ে পাস কোর্সের বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দিতে পারবেন না। যারা ক্লাশের রুটিনে ক্লাশ নিবেন তাদেরকে উক্ত ক্লাশের কোচিং রুটিনে ক্লাশ দেয়া যাবেনা, কারণ তিনি ক্লাশ ও কোচিংকে একসাথে করে ফেলবেন। শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু পাবেন ।নানতুন শিক্ষক দিলে তিনি নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।এর ফলে রুটিন নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বাড়াবাড়ি বন্ধ হবে।
১৩। ২০০০ রিয়ালের বেশি মূল্যেরক্রয় করতে হলে অবশ্যই আলাদা আলাদা ৩ টি দোকান থেকে একটি নির্দিষ্ট তারিখের ভিতর কোটেশন নিতে হবে এবং সবচেয়ে কম মূল্যেরকোটেশনকে গ্রহন করতে হবে। উক্ত নোটিশ অবশ্যই স্কুলের ওয়েবসাইটে ও স্কুল নোটিশ বোর্ডেদিতে হবে।
১৪। শিক্ষক কর্মচারীদের যে কোন ব্যাপারে কারো প্রতি বেশী সহানুভূতি দেখানো যাবে না। দেখালে সবার প্রতি সমান সহানুভূতি দেখাতে হবে। যে কোন সিদ্ধান্ত ব্যক্তি হিসেবে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। প্রিন্সিপাল বিভিন্ন বিল বোর্ডের সভায় না তুলে চেয়াম্যানকে দিয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করে ফেলে। স্কুল গভনির্ং বডিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও প্রিন্সিপাল ১টি ক্লাশও নিবেন না কেন? এর জন্য তাকে শোকজ করতে হবে।
১৫। বিনা বেতনে ও সুবিধা প্রাপ্তদের তালিকা অবশ্যই স্কুল নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে। যে সকল অভিভাবক বা তার পরিবারের কোন সদস্য স্কুলে চাকুরী করেন বা অন্য যে কোন ভাবে সুবিধা প্রাপ্ত তারা কোন ভাবেই স্কুলের নীতি নির্ধারণীতে ভূমিকা রাখতে পারবেন না।
১৬। যে সকল ব্যক্তি স্কুলের পাওনা না দিয়ে চলে গেছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
১৭। প্রাইমরিী শিক্ষার্থীদের ২য় শিফটিং এর শিক্ষার্থীদের জন্যে ৯.৩০ থেকে ১১টায় বাস সার্ভিস দেওয়ার ব্যবস্থা করলে ২য় শিফটের অভিভাবকদের সুবিধা হবেঅন্যথায় একই শিফটে ক্লাশের ব্যবস্থা করুন। কোনভাবেই ছেলে-মেয়ে একসাথে ক্লাশ নিতে পারবেন না। অবশ্যই যে কোন মূল্যে বালক ও বালিকা আলাদা ভাবে ক্লাশ নিতে হবে। পুরাতন বাসমিতুসুবিসি(ব্যায়বহুল স্পেয়ার পার্স)বিক্রয় করে নতুনটয়োটা বাস ক্রয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসার সামনে থেকে বাসে উঠাতে হবে এবং নামাতে হবে। ড্রাইভারদেরকে জবাবদিহীতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। ড্রাইভাররা যেন কোন ভাবেই অভিভাবকদের সাথে বেয়াদবি না করতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
১৮। স্কুল বাসে কোরআন তেলাওয়াত ছাড়া অশালিন হিন্দি মিউজিক বাজানো বন্ধ করতে হবে।স্কুল বাস মেরামতে খরচের ব্যাপারে ও তেল ব্যবহারে একটু সচেতন হতে হবে।
১৯। স্কুলের নিজস্ব ভুমি নতুন ভবন নির্মানের জন্য জেদ্দাস্থ বাংলাদেশী ইনভেষ্টর বিশিষ্টও ব্যবসায়ীদেরকে স্কুলের পিকনিক, জাতীয় দিবসের
অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে সম্মানিত করা উচিত, যেন তারা বড় অংকের ফান্ড প্রদান করতে অনুপ্রাণিত হবেন। উক্ত ফান্ডের অর্থ সচ্চতার ভিত্তিতে খরচ
করা। হলিডে হোটেলে প্রোগ্রাম ও প্রজেক্ট প্রোফাইলে খরচু করার ক্ষেত্রে সচ্চতার অভাব ছিল বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে বাংলাদেশী হৃদয়বান ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য বাংলাদেশেরটিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্রে আমাদের স্কুলের সমস্যাটি বিজ্ঞাপন/বিশেষ প্রতিবেদন
আকারে তুলে ধরার দাবী জানাচ্ছি।সর্বেপরি উক্ত প্রিন্সিপালের প্রতি জেদ্দাস্থ বাংলাদেশী বেশীরভাগ ব্যবসায়ী ও কমউিনিটি নেতৃবৃন্দের আস্থার অভাব
থাকায় স্কুলের নতুন ভবন নির্মানে সহযোগীতার হাত বাড়াচ্ছেন না।
২০। উপরোক্ত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য প্রিন্সিপাল এর পরিবর্তন ছাড়া বিকল্প নাই। তাই স্কুলের শিক্ষকদের মধ্য থেকেযিনি অভিভাবকদের সাথে উত্তম ব্যবহারে সামর্থ হবেন তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ত প্রদান করন। স্কুলএন্ড কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল এর কোন পদ নাই তাই তাকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে পরিবর্তন করুন।
অনুলিপি:১। মাননীয় কনসাল (শিক্ষা ও শ্রম), মাননীয় কনসাল জেনারেল, বাংলাদেশ কনসুলেট, জেদ্দা। ২। স্কুল গভনির্ং বডির সম্মানিত সকল সদস্য বৃন্দ।
৩। চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ঢাকা শিক্ষাবোর্ড, বাংলাদেশ। ৪। সচিব, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
৫। মাননীয় মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
উপরোক্ত ২াট পৃষ্ঠায় ২০ টি সমস্যার সমাধানের জন্য প্রিন্সিপালের পরিবর্তনেরজন্য আমরা নি¤েœ স্বাক্ষর করলাম:
বিষয়: বিবিধ
১৩৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন