ধরুন , আপনি একজন ঘুষখোর বসের আন্ডারে চাকরি করে>>>>>>>>>>

লিখেছেন লিখেছেন হেলাল আলনুর ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:১০:০৯ সকাল

ধরুন , আপনি একজন ঘুষখোর বসের আন্ডারে চাকরি করেন । আপনি খুব সৎ তাই বস আপনাকে অনেক বেশি পছন্দ করেন এবং সবার কাছে আপনার প্রশংসা করে বেড়ান । একদিন একটা ফাইলে আপনার একটা সাইনের প্রয়োজন হলে আপনি ব্যাপারটা অসৎ বলে সাইন দিতে আপত্তি জানান । এতেই বস আপনার উপর চটে যায় এবং ষড়যন্ত্র করে কিভাবে আপনাকে চাকরি থেকে হটানো যায় সেটার পরিকল্পনা করতে থাকে । হয়তো পারবে , হয়তো পারবেনা কিন্তু আপনি ঠিকই আল্লাহর ভয়ে যে কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই পরকালে সে কাজের প্রতিদান দিবেন ।

এক্সাম্পল টা দিলাম তিনটা প্রসঙ্গ তুলে ধরার জন্য ।

১। ডাঃ জাকির নায়েক , একজন ডাঃ হয়েও কুরান-হাদীসসহ অন্য ধর্মগ্রন্থ গুলোর ব্যাপারে রয়েছে যার মুখস্থ জ্ঞান । উনার কুরান-হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে প্রাসাঙ্গিক দীনি আলোচনা গুলো সবাই মন দিয়ে শুনেন । আস্তে আস্তে ভারতসহ সারা বিশ্বে মুসলিম উম্মাহ'র মধ্যে উনার জ্ঞানের বিস্তরতা ছড়িয়ে পড়ে । সবাই উনার প্রশংসায় সবসময় পঞ্চমুখ। যখন-ই উনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর রেফারেন্সসহ বিদা'ত নিয়ে আলোচনা দিতে লাগলেন , তখন এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী মুসলিম সেইগুলোর জবাব দিতে না পেরে উনাকে ভণ্ড বলা শুরু করলেন । এমনকি উনাকে কাফের-মুনাফেক থেকে শুরু করে ইহুদীদের এজেন্ট পর্যন্ত বলা হয়েছে । অথচ আমি উনার ইম্পরট্যান্ট বিষয়ের উপর বেশকিছু বই পড়েছি শুধুমাত্র রেফারেন্সগুলো মিলিয়ে দেখার জন্য । আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে উনার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে ।

২ । ইমাম আনোয়ার নাসির বিন আব্দুল্লাহ আল-আওলাকি , যিনি অসাধারণ একজন ক্রিয়েটিভ গুণের অধিকারী । উনার বাগ্নীতা যেকোনো কাওকে উনার কাছে টেনে নিয়ে যাবে । আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির এই ছাত্র , মাত্র ৪০ বছর জীবন পাওয়া এই মানুষটা ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখলে আমেরিকার অনেক ইহুদী ছাত্র পর্যন্ত মন দিয়ে উনার কথা শুনতো এবং আমেরিকা সহ বিশ্বের অনেক তরুণের কাছে উনার বহুগুণের কথা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে । যখন-ই উনি আমেরিকার নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করে তখন-ই উনি আমেরিকার আক্রোশে পরিণত হন । অবশেষে উনাকে সন্ত্রাসের দোহায় দিয়ে ইয়েমেনে মিসাইল হামলা করে শহীদ করা হয় । আলহামদুলিল্লাহ ফেচবুকের মাধ্যমে ইসলামিক অনেক স্কলারের পাশিপাশি উনাকে আমার জানার-বুঝার সুযোগ হয় ।

৩ । আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী , যিনি একজন সারা বিশ্বে আলেম সমাজের মধ্যমণি , কোটি কোটি মুসলিমের প্রাণ , অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন একজন আলেম । যার কুরআনের তাফসীর শুনে হাজার-হাজার মানুষ মুসলিম হয়েছে । বাংলাদেশের সর্বশ্রেণীর মুসলিম উনাকে ভালবাসে , এমনকি আওয়ামিলীগ-বিএনপির মানুষরাও উনাকে অনেক ভালবাসে । কিন্তু যখন-ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে উনি কথা বলা শুরু করেন তখন উনি হয়ে যান বাতিলদের দুশমন । তাই উনাকে লাঞ্চিত করার জন্য জামায়াত করার অপরাধে বেঁচে নেওয়া হয় রাজাকার শব্দটি। আমার প্রশ্ন সরকারের ভয়ে উনার বিরুদ্ধে গিয়ে পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মায়ের অনুরোধে উনার পক্ষে সাক্ষী দিতে যাওয়া হিন্দু ভাইটিকে ট্রাইব্যুনালের সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ কেন গুম করল ?

সম্মানিত পাঠক ,

যে মানুষের মাধ্যমে আল্লাহ সহস্রাদিকের বেশি মানুষকে হেদায়েত দিয়ে ইসলাম ধর্মের পরম সাধ দিয়েছেন সে মানুষ ৭১ সালে ধর্ষণসহ এতো ঘৃণ্য অপরাধ গুলোর সাথে যুক্ত থাকতে পারে বলে কি আপনার মনে হয় ??? আমার এখনো মনে পড়ে ২০০০-০১ সালে চট্রগ্রাম লালদীঘি ময়দানে মাহফিলের পাশ দিয়ে যাওয়া একজন হিন্দু পথচারী উনার আলোচনায় ইসলামের সুন্দরয অনুভব করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে । ইসলামের এমন একজন খাদেমকে যারা লাঞ্চিত করে মিথ্যা অপবাদে শাস্তি দিতে চাই তাদের কে লক্ষ্য করে সাঈদী সাহেব একটা কথা বলেছিলেন ,

"এই বিচার দুই বার হবে । একবার ইহকালে , আরেকবার পরকালে । পরকালে আমি থাকবো বাদী , আর এই বিচারকসহ যারা আমাকে মিথ্যা অপবাদে কলঙ্কিত করছে তারা হবে বিবাদী" ।

ইয়া আল্লাহ ! সেইদিনের বিচারে আমাকে সাঈদী সাহেবের পক্ষে একজন সাক্ষী হিসাবে রেখো এবং ইহকালে উনাকে সম্মানের সহিত কবুল কর । আমীন

বিষয়: বিবিধ

১২১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File