সোনাইমুড়ীতে নব্য নাস্তিকেরআর্বিভাব ।>>
লিখেছেন লিখেছেন হেলাল আলনুর ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:০১:৫৭ সকাল
সোনাইমুড়ীতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দিয়ে ২ দিন ব্যাপী পবিত্র কোরআনের তাফসির মাহফিল বন্ধ করে দিয়ে মোমবাতি প্রজ্জলন করে নিত্য করেছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত একদল যুবক। জানা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জয়াগ সমাজ কল্যান পাঠাগারের উদ্যেগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২ দিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গতকালের এই মাহফিলে প্যান্ডেল, মাইক সহ যাবতীয়স্ত্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও হঠাৎ করেই বিকাল ৪ টার দিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও গত জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী শওকত আকবর পলাশ, আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল মাষ্টার এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশের সহায়তায় মাহফিলের মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলে। স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামীলীগ কর্মীরা মাহফিল স্থলের মাঠ দখলে নিয়ে সেখানে নানান অশ্লিল স্লোগান দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে। তারা পবিত্র ঈদগাহ মাঠে ভারতীয় পূজার কায়দার মোমবাতি জ্বালিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে নৃত্যের তালে গান বাজনা করে। স্থানীয় এলাকাবাসী এর প্রতিবাদে সর্বদলীয় তৌহিদী জনতার ব্যানারে আজ শুক্রবার বাদজুমা জয়াগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষনা দিয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জয়াগ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনা অনাকাঙ্খিত এবং মুসলমান হলেও নাস্তিকের মতো কাজ করা হয়েছে। তাফসির মাহফিল বন্ধ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে আওয়ামীলীগ এবং যুবলীগের একাংশ বলে দাবী করেছেন জয়াগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদুর রহমান বাবু। মাহফিল বন্ধের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ বরছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, পলাশ গত নির্বাচনে চেয়াম্যন প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন এই ঘটনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তার প্রার্থীতার কবর তিনি নিজ হাতে দিয়েছেন। কোন মুসলমান এই নাস্তিকের মতো কাজ করতে পারে না। এই ঘটনার পর থেকে অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে জয়াগে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন