এবিএম মুসা,কাদের সিদ্দীকি, নুরে আলম সিদ্দীকি এবং আমাদের ছোট হানিফ- মাহবুব সুয়েদ

লিখেছেন লিখেছেন সমশের ২৯ মার্চ, ২০১৩, ০৮:২২:৫৫ সকাল

(মাস দুয়েক আগের লেখা)

শিরোনামে উল্লেখিত মান্যবর ও সর্বজনাব ব্যক্তিগনকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মত কিছু নেই'।'দেশের প্রায় সকল মহলের কাছেই উনারা ব্যাপকভাবে পরিচিত'।'নিজ নিজ কর্মগুনে এবং নিজ নিজ সাধনায় উনারা যেমন নিজেরা উদ্ভাসিত তেমনি আমাদের ও করেছেন আলোকিত'।'একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক,একজন খ্যতিমান যোদ্বা,আরেকজন একসময়ের লড়াকু ছাত্রনেতা এবং অন্যজন এই সময়ের আলোচিত নেতা'।'সম্প্রতি এইচারজনকে নিয়ে সর্বত্র ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে এবং আরও কিছুদিন চলবে আশাকরি'।'এইমুহুর্তে উনাদের চারজনের গতিপথ ভিন্ন ভিন্ন হলেও একজায়গায় কিন্তু উনাদের প্রচন্ড মিল অথবা দুর্বলতা রয়েছে'।'ভাইয়েরা বড় হলে পরে যেমন আলাদা আলাদা সংসার পাতে কিন্তু পরিবারের প্রধানব্যক্তি তথা নিজ পিতাকে আলাদা করেনা তেমনি উনারা চারজন ও এখন আলাদা আলাদা পথে থাকলে ও উনাদের রাজনৈতিক পিতা বা আদর্শকে আলাদা করেননি অর্থ্যাৎ এখন ও আদর্শ্চ্যুৎ হননি'।'ভবিষ্যতে কি হবে জানিনা তবে আমরা এখানে তাদের অতিত এবং বর্তমান নিয়ে কিছু আলোচনা করব এবং তা থেকে যদি কিছু শেখার থাকে তা গ্রহন করার চেষ্টা করব'।

একঃ জনাব এবিএম মুসা -

জনাব এবিএম মুসা'।'দেশের সংবাদমাধ্যম জগতের প্রবিন নক্ষত্র এবং বয়সের ভারে নুহ্য একজন প্রবিন সাংবাদিক'।'দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে কাজ করেছেন সুদীর্ঘকাল এবং এখন ও তার সুলেখনী ও টকশো আলোচনা আমাদেরকে একিসাথে আলো এবং প্রেরনা দেয়'।' একজন সাংবাদিক,কলামিষ্ট,মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার ব্যপক পরিচিতির পাশাপাশি তিনি স্বাধিন বাংলাদেশের প্রথম সংসদে অর্থ্যাৎ বঙ্গবন্ধুর সময়ে এবং তার ই মনোনিত প্রার্থী হিসেবে পার্লামেন্টে সদস্য নির্বাচিত হন'।'শোনা যায়,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাকে খুব স্নেহ করতেন এবং তাকে আদর করে তাকে 'আপদ' নামে ডাকতেন'।'স্বাধিন বাংলার প্রথম পার্লামেন্টে তাকে আওয়ামিলীগের টিকিট দেওয়ার মুল কারন তার মহান মুক্তিযুদ্বে রাখা অবদানই ছিল'।'তিনি তখন পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে স্বাধিনতার পক্ষে জোরালো কন্সাল্টিং করেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু তাকে এই মূল্যায়ন করেছিলেন'।'৭৫'র ১৫ই আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর জনাব মুসা আবার তার মূল পেশায় ফিরে আসেন এবং আজ অবধি উনি আছেন'।' রাজনীতিতে কত ঢেউ লেগেছে অনেক লোভনিয় প্রস্তাব পেয়েছেন কিন্তু আর ঐ পথে তিনি পা বাড়াননি'।'বঙ্গবন্ধু প্রেমী এবং আওয়ামীপন্থি হিসেবে এই দীর্ঘ প্রায় চার দশক কাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি'।'আদর্শিক বিরোধীদের বেলায় সমালোচনা করেছেন কঠোর ভাষায় কিন্তু শালীনভাবে বিশেষ করে স্বাধিনতার সময় বিরোধী ছিল বলে সারা জীবনই জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন'।'বর্তমান সরকারের আমলে ও তিনি সরকারের ভালোকাজের তারিফের পাশাপাশি মন্দকাজের সমালোচনা করে আসছিলেন বিভিন্ন টিভিতে প্রচারিত টকশোতে'।'দেশের একজন সিনিয়ার সিটিজেন হিসেবে তার মতামত অবশ্যই গুরুত্বের দাবী রাখে'।'গত প্রায় তিন/চার মাস আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যনেলে তিনি বহুল আলোচিত পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে এক টকশোতে আলোচনার একপর্যায়ে বলেন যে,সরকারের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী/এমপিদের দেখলে তুই চোর তুই চোর বলে ধিক্ষার দেওয়া উচিৎ'।'পরদিন তার এই কথাটি মিডিয়ায় এবং দেশের জনসাধারনের মধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকলে তিনদিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আলোচনা সভায় বলেন যে,এবিএম মুসা তার কাছে একটি টেলিভিশন চ্যনেলের লাইসেন্স চাইলে তিনি তা না দেওয়াতে এখন মুসা ক্রুদ্ব হয়ে সরকারের বিরুদ্বে চোর বলে গালি দিচ্ছেন'।'প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরদিন এবিএম মুসা এক বিবৃতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন এবং বলেন টেলিভিশনের লাইসেন্স তিনি তার নিজের জন্য নয় আরেকজনের জন্য চেয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী তা জানেন'।'বিবৃতিতে মুসা আর ও বলেছিলেন যে,টিভি লাইসেস্ন না দেওয়ায় মুসা রাগ করলে প্রধানমন্ত্রী তাকে তার সাথে ন্যাম সম্মেলনে নিয়ে যান এবং এখন তার মনে আর ঐ রকম কোন রাগ বা বিদ্বেষ ও কাজ করছেনা বলে জানান মুসা সাহেব'।

দুইঃ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি -

৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানী শাষক-গোস্টির দুঃশাসনে অতিষ্ট পুর্ব বাংলার জনগন যখন স্বাধিনতার জন্য আন্দোলন শুরু করে তখন বাংলার অনেক তরুন-যুবকই ঝাপিয়ে পড়েছিল হানাদারমুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে'।'দ্বীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্বের মাধ্যমে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদ্বয় গঠে ৫৬ হাজার বর্গ-মইলের সোনার বাংলাদেশের'।'এই সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করতে গিয়ে অনেকে নিজের জীবন দিয়েছে অকাতরে আবার অনেকে তৈরী করেছে বীরত্বের ইতিহাস এবং ইতিহাসে ও জায়গা করে নিয়েছে'।'তেমনি একজন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি বীর উত্তম'।'সামরিক বাহীনির বাইরে সিভিলিয়ানদের মাঝে আর কোন এতবড় মাপের মুক্তিযুদ্বা পাওয়া যায়না'।'বৃহত্তর টাংগাইল এলাকায় তার নেতৃত্বে গড়ে উঠা কাদেরীয়া বাহীনি পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্বে তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং এই এলাকাকে মুক্তকরে'।' তরুন বিপ্লবী কাদের সিদ্দীকিকে তখন দেশের এবং দেশের বাইরের মানুষজন 'বাঘা সিদ্দীকি'নামেই চিনত এবং তার নাম শুনলে জেনারেল নিয়াজী প্রমুখরা ও কেপে উঠত'।'তিনিই একমাত্র যোদ্বা দেশ স্বাধিন হওয়ার পরে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু টাংগাইল গিয়ে যার কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়েছিলেন এবং তাকে নিজের ছেলে বলে ঘোষনা দিয়েছিলেন'।'শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধু তাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় জেলা গভর্নর ও বানিয়েছিলেন'।'৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পটপরিবর্তনের পর যখন আওয়ামিলীগের অনেক বড়বড় নেতারা চুপ মেরে বসেছিলেন এমনকি খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রী সাভায় যোগ দান করেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর জানাজায় শরিক হওয়াতো দুরের কথা বরং তার সম্বন্দ্বে নিন্দাবাদ করে নিজের জান বাচানোর কৌশিস করছিলেন তখন এই কাদের সিদ্দীকিই একমাত্র ব্যক্তি যে কিনা প্রতিরোধ যুদ্বের ডাক দেন এবং প্রায় ১৫ হাজার প্রতিরোধযোদ্বা নিয়ে লড়াই শুরু করেন'।'বঙ্গবন্ধ্বুর এই নির্মম হত্যাকান্ডকে মেনে নিতে না পেরে ১৬ বছর তিনি ভারতে স্বেচ্চায় নির্বাসনে ছিলেন'।'৯১ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং আওয়ামিলীগের শীর্ষনেতৃত্বের সাথে মতের মিল না হওয়ায় ১৯৯৯ সালে তিনি 'কৃষক শ্রমিক জনতালীগ'নামক দল গঠন করেন এবং সেইদিন যেদিন এই দলের জন্ম হয় সেদিনকার সেই সম্মেলনে সরকারী বাহীনির মুহুর্মুহু হামলার মুখোমূখি হতে হ্য় তাকে এবং তার দলকে'।' আজ অবধি তিনি সোচ্চার রয়েছেন দেশের সকল গনতান্ত্রীক আন্দোলনে এবং সক্রিয়ভাবে'।'

তিনঃ জনাব নুরে আলম সিদ্দীকি -

স্বাধিন বাংলা ছাত্র পরিষদের আহবায়ক জনাব নুরে আলম সিদ্দীকির নাম না জানে এমন লোকের সংখ্যা মনে হয় খুব বেশী একটা নেই'।'স্বাধিনতা যুদ্বের কালীন সময়ে সেই তুমুল ছাত্র আন্দোলনে যে কয়জন নেতৃস্থানীয় ছিলেন তার মাঝে শীর্ষে ছিলেন এই নুরে আলম সিদ্দীকি'।'মুক্তিযোদ্ব পরবর্তী স্বাধিন বাংলাদেশের প্রথম পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি আওয়ামিলীগের টিকিটে'।'সবদল নিষিদ্ব করে একদলীয় বাকশাল গঠন করা হলে তিনি এর প্রতিবাদে সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরবর্তীতে ব্যবসা-বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েন'।'রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও আওয়ামী ঘরানার লোক হিসেবে ই সকলে তাকে চিনে এবং তিনি 'প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন'নামের একটি সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব ও পালন করছেন'।'

চারঃ মাহবুব উল আলম হানিফ (ছোট হানিফ ) -

মাহবুব উল আলম হানিফ'।'এই সময়ের এক আলোচিত আওয়ামিলীগ নেতা'।'কথাবার্তায় অনেক স্মার্ট এবং ব্যক্তিত্বশীল মানুষ বলেই সকলে তাকে চিনে'।'বিশেষ করে একজন কর্মী-বান্দ্বব নেতা হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে আওয়ামী পরিবারে জায়গা করে নিয়েছেন'।'রাজনীতিতে এত স্বল্পসময়ে এরকম আলোচিত এবং একিভাবে ভারসাম্য রক্ষাকরে একটি বড় দলে নিজের অবস্থান ঠিকিয়ে রাখাটা চাট্রিখানি কথা নয়'।'তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব ও পালন করছেন'।' সে যাইহোক বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামিলীগে হানিফ বলতে একজনকেই চিনত আর তিনি ছিলেন ঢাকার সাবেক জননন্দিত মেয়র ও প্রয়াত আওয়ামিলীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফকে'।'টেকণাফ থেকে তেতুলিয়া সারা বাংলায়ই তার ব্যাপকভাবে পরিচিতি ছিল'।'তিনি আমৃত্যু ঢাকা মহানগর আওয়ামিলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগে তার কোন পোষ্ট ছিল কিনা আমার জানা নেই'।'বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্বে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামিলীগের জাতীয় সম্মেলন হয় ২০০৯ সালে'।'বিতর্কিত ওয়ান ইলেভেনের পর সংস্কারপন্থী থাকার অভিযোগে আওয়ামিলীগ নেত্রী শেখ হাসিনা দলকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন এবং অনেক পোড় খাওয়া নেতা যাদের ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা ও পুর্ন হবেনা এমন শীর্ষনেতাদেরকে দল থেকে ছিটকে পড়তে হয়'।'সেই সম্মেলনে আওয়ামিলীগের অন্যতম গুরুত্ব্পুর্ন পদ 'সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক' যে দায়িত্ব এতদিন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ওবায়দুল কাদের পালন করে আসছিলেন সেই পদে ঘোষনা করা হয় জনাব হানিফের নাম'।'সারাদেশের আওয়ামিলীগ নেতাকর্মীরাতো দূরেরকথা কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগের কোন নেতা ও হানিফ সাহেবকে চিনতনা বা নাম জানতনা'।'আমার জানামতে কেন্দ্রীয় এই পদে আসার আগপর্যন্ত তিনি তার নিজ জেলা কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামিলীগের সাত/আট নাম্বার সহ সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন যেখানে একটি জেলা কমিঠিতে কমপক্ষে পনেরজন সহ সভাপতি থাকেন'।'যতদুর জানি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্বে তার তেমন কোন অবদান নেই এবং এক সময় তিনি জাসদের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন তার জেলায়'।'সে যাইহোক একটি মফস্বলের জেলা কমিঠিতে নীতি নির্ধারনী কোন দায়িত্বে না থাকলে ও আওয়ামিলীগ সভানেত্রীর গুডবুকে থাকায় হঠাৎ চলে আসা হানিফ সাহেব মোঠামোঠি খারাপ করছেন বলে মনে হয়না'।'বিশেষকরে যেখানে আওয়ামিলীগ সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ সাহেবের সাংগঠনিক নিস্ক্রীয়তা বা কর্মীদের প্রতি বিমুখতা মোঠামোঠি আওয়ামিলীগে ওপেন বিষয় সেখানে হানিফ সাহেবের কর্মদক্ষতা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে তাছাড়া কথাবার্তায় তিনি তার কাউন্টার পার্ট অর্থ্যাৎ বিএনপি মুখপাত্রের চেয়ে খুব একটা কম জাননা'।'মাহবুব উল আলম হানিফ সাহেবের উল্লেখযোগ্য কোন অতিত হয়তো নেই ভবিষ্যত কি হবে তা ও জানিনা কিন্তু চলমান সময় যে খারাপ যাচ্ছেনা তা মোঠামোঠি হলফ করে বলা যায়'।'

পাচঃ পরিশিষ্ট এবং ---

গত চার/পাচদিন আগে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন নামক সংগঠনের এক আলোচনা সভায় বরেন্য সাংবাদিক জনাব এবিএম মুসা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু যখন ছয়দফা দেন তখন তিনি তৃতীয় সারির নেতা ছিলেন'।'কে কিভাবে নেবেন জানিনা কিন্তু কথাটিতো সঠিকই ছিল'।'শেখ মুজিব যখন ছয়দফা দেন তখন তিনি আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন আর মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ছিলেন দলটির সভাপতি'।'হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী,মাওলানা ভাসানি,আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ,আতাউর রহমান খান,আব্দুস সালাম খান প্রমুখ নেতারা ছিলেন রাজনীতিতে প্রথম/দ্বিতীয় সারিতে'।'অসাধারন সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ব্যাপক গনসম্পৃক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব খুব দ্রুত সামনে চলে আসছিলেন এবং পাকিস্থানের রাজনীতিতে নিজের স্থান করে নিচ্ছিলেন'।'কোন মানুষতো জন্মথেকে হাঠা শিখে ফেলেনা তাকে বড় হয়ে হাঠা শিখতে হয় তেমনিভাবে রাজনীতিতে ও কেউই প্রথম সারির হিসেবে ঢোকেনা তাকে ক্রমান্বয়ে উঠে আসতে হয়'।'বঙ্গবন্দ্বুর অসমাপ্ত আত্মজীবনি পড়লে দেখা যায়,উপরেল্লোখিত জাতীয় নেতৃবৃন্দকে তিনি নিজে কত সম্মান করতেন'।'আজীবন বঙ্গবন্দ্বু প্রেমী বয়োবৃদ্ব এবিএম মুসা সাহেব এই চরম সত্য কথাটি বলার অপরাধে এবং একি অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করায় জনাব নুরে আলম সিদ্দীকির সম্বন্দ্বে মুক্তিযুদ্ব বিরোধী এবং বঙ্গবন্দ্বু বিদ্বেষি বলে পরদিন আওয়ামিলীগের উদ্দোগে আয়োজিত একপ্রেস ব্রিফিংযে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ দাবী করেন'।'পুর্বে আলোচিত এই দুই কির্তীমান পুরুষের সোনালী অতিত এবং উজ্জল বর্তমান সম্পর্কে ও হানিফ সাহেব বেশ কিছু কঠু কথা বলেন দলের শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশে'।'ভাবতে অবাক লাগে এরকম দুই বঙ্গবন্দ্বুপ্রেমী ও বরেন্য ব্যক্তিত্ব সম্বন্দ্বে এরকম একজন হাইব্রিড নেতা দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমনাত্মক কথাবলিয়ে এবং রাজাকার ডেকে কি তাদের দুইজনকে স্বাধিনতা পরবর্তী প্রথম পার্লামেন্টে মনোনয়নদানকারী বঙ্গবন্দ্বু শেখ মুজিবুর রহমানকেই রাজাকারের পৃষ্টপোষক বলে গালি দেওয়া হলনা।উনারা যদি রাজাকার বা স্বাধিনতা বিরোধী হয়ে থাকে তাহলে কি আমরা ধরে নেব বঙ্গবন্দ্বুই প্রথম রাজাকাদের আশ্রয় দাতা ছিলেন'।'

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি আওয়ামিলীগ ত্যাগ করার পর থেকেই তাকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে'।'আওয়ামীলিগ এমপি আশিকুর রহমান মহান জাতীয় সংসদে তাকে রাজাকার বলে গালি দিলেন যেখানে তার আপন ভাই মন্ত্রী লতিফ সিদ্দীকি সহ আরও অনেক মুক্তিযুদ্বা সাংসদ উপস্থিত ছিলেন'।'ইদানিং প্রায় সময়ই তাকে যুদ্বাপরাধী ও রাজাকার বলে গালি দেওয়া হয় তাও আবার স্বাধিনতার চেতনায় বিশ্বাসি দাবিদার আওয়ামিলীগের পক্ষথেকে'।'শেখ মুজিবের আমলে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় জেলা গভর্নর হওয়া এবং বঙ্গবীর উপাধি পাওয়া বাংলার এই বীর সন্তানকে রাজাকার বলে গালি দিলে কি পক্ষান্তরে বঙ্গবন্দ্বুকে গালি দেওয়া হয়না অথবা তাকে রাজাকারের লালনকারি বা রাজাকারের গাড়িতে পতাকাদানকারি বলে অপবাদ দেওয়া হয়না'।'অনেক লোকইতো রয়েছে যারা হয়ত আওয়ামিলীগ করেননা কিন্তু বঙ্গবন্দ্বুর জন্য পাগল তাহলে আমরা কি ধরে নেব বর্তমান শেখ হাসিনার আওয়ামিলীগ যারা করেননা কিন্তু শেখ মুজিবের আওয়ামিলীগ করেছেন বা তাকে ভালোবাসেন তার শুধুমাত্র বর্তমানে আওয়ামিলীগ না করায় রাজাকার বা মুক্তিযুদ্ব বিরোধী'।'এরদ্বারা বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের কি আদৌ কোন উপকার হচ্ছে নাকি এই ঐতিহ্যবাহি দলটিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে'।'যারা আওয়ামিলীগ করেন তাদের কি জাতীয় ব্যক্তিবর্গ সম্বন্দ্বে এরকম ফালতু কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ নয়'।'

E-mail

বিষয়: বিবিধ

১৯৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File