আমাদের জানা দরকার
লিখেছেন লিখেছেন আবু হাফসাহ ২৭ মার্চ, ২০১৩, ০২:৪৪:৩৩ দুপুর
(গুলু) সিমালঙ্ঘন করা
সিমালঙ্ঘন খুবই নিন্দনয়।কোন ক্ষেত্রে ইহা পছন্দ করেনা।অন্ত্যন্ত বিরক্তি করও বটে।দ্বীনের ক্ষেত্রে আরোও একটু বেশি মারাত্মক অপরাদ।তাই আমার বন্ধুদের প্রসংঙ্গে তথ্য ভিত্তিক ধারণা দিতে চায়। আসুন!
ক- সংঙ্গা: আক্বিদাহ ও ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের জন্যে যে সিমানা নির্ধারণ করেছেন তা লংঙ্ঘন করাকে শরিয়তের পরিভাষায় আরবীতে ‘গুলু’ বলে বা সিমালঙ্ঘন বলে।
খ- ইহা নিঃসন্দেহ হারাম। একাধিক আয়াত ও হাদীসে এর নিষেধ এসেছে। করা হয়েছে সতর্ক । দুনিয়া ও আখেরাতে সিমালংঙ্ঘনকারিদের জন্যে খারাব পরিনতির আলোচনাও হাদীস ও কোরআনে উল্লেখ হয়েছে। যেমন আল্লাহ্ বলেন:
অর্থ, “ হে ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানেরা তোমরা দ্বীনের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি বা সিমালংঙ্ঘন করোনা, সত্য ব্যাতীত আল্লাহ্র উপর মিথ্যা রচনা করোনা”[সূরাহ: নিসা:১৭১] তিনি আরও এরশাদ করেন:
অর্থ, “তুমি (হে মুহাম্মদ (সাঃ) ) বলে দাওঃ হে আহলে কিতাবগণ! তোমরা নিজেদের দ্বীনে অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন করো না এবং ঐ সব লোকের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না যারা অতীতে নিজেরাও ভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে এবং আরও বহু লোককে ভ্রান্তিতে নিক্ষেপ করেছে, বস্তুতঃ তারা সরল পথ থেকে দূরে সরে পড়েছিল”[সূরাহ: মায়েদা:৭৭] ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন: “ তোমর সিমালঙ্ঘন করা থেকে বেচে থাকো; কেননা তোমাদের পূর্বের লোকেরা দ্বীনের ব্যাপারে সিমালঙ্ঘন করাতে ধ্বংস হয়েছে”[মুসনাদে আহমাদ:১/৩৪৭, মুসতাদরাকুল হাকেম:১/৬৩৮]
আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন: “ সিমালঙ্ঘনকারিরা ধ্বংষ হয়েছে ( এমন তিন বার বলেছেন)” [মুসলিম:২৬৭০]
উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, “রাসুল (সাঃ) বলেন: তোমরা আমাকে অতিরিক্ত প্রশংসা করো না যেমন ঈসা ইবনে মারয়ামকে খ্রীষ্টানগণ করেছে। আমি শুধু আল্লাহ্র বান্দা এবং তার রাসূল”[বুখারি:৩৪৪৫]
এসব হাদীস ও কোরআনের উদ্দেশ্য হলো: তোমরা আমাকে এ ভাবে প্রশংসা করো না যা সিমা অতিক্রম হয়ে যায়। যেমন খ্রীষ্টানরা ঈসা (আঃ) সম্পর্কে করেছে। তাঁরা তাঁকে ইলাহ্ ও প্রভূর আসনে বসিয়েছে। আমি শুধু আল্লাহ্র বান্দা ও তার প্রেরিত রাসূল। আল্লাহ্ আমাকে যে গুণেগুনান্নীত করেছেন তোমরাও তাই করো। তোমরা আমার সম্পর্কে বলো: (আল্লাহ্র বান্দা ও তার রাসূল)। কিন্তু পথভ্রষ্টরা আল্লাহ্র আদেশ লঙ্ঘন করেছে। তাঁর নিষিদ্ধ কাজে নিমজ্জিত হয়েছে। রাসুলের নির্দেশকে খুব খারাব ভাবে ভঙ্গ করেছে। চরম সিমালঙ্ঘনের ধৃষ্টতা দেখায়েছে। প্রশংসার মাত্রা এমন পর্যায়ে নিয়েছে যেমন খ্রীষ্টানরা ঈসা (আঃ)র ক্ষেত্রে করেছে। অথবা এর কাছাকাছি নিয়ে গেছে। যার ফলে এসকল পথভ্রষ্টরা রাসূলের কাছে গোনাহ্ মাফ চায়, বিপদ থেকে উদ্ধার চায়, চায় তার কাছে রোগ থেকে আরোগ্য। এরকম আরো অনেক কিছু চায়। অথচ এসব একমাত্র লাশারিক আল্লাহ্র নিকটেই চেঁতে হয়। এগুলি দ্বীনের মধ্যে সিমালঙ্ঘনের শামিল।
আল্লাহ্ আমাদের হিফাজত করুন
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন