ইসলামে সমাজ সংহতির স্বরুপ
লিখেছেন লিখেছেন আবু হাফসাহ ১৯ মার্চ, ২০১৩, ১০:৪৯:৪০ রাত
আবহমানকাল থেকে সব ধর্ম ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন চির শান্তি ও সম্প্রীতির এ দেশের মানুষ দলবদ্ধভাবে সামাজিক সংহতি, পরমতসহিষ্ণুতা ও ধর্মীয় সহনশীলতার মধ্য দিয়ে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান করছে। এর শিক্ষা সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে ইসলামে যতটুকু গুরুত্ব দেয়া হয়েছে অন্য কোথায় তা দেখা যায়না।মুসলিম জাতি এ শিক্ষা নিয়ে যখন সমাজ পরিচালনা শুরু করলো তখন গোটা পৃথিবীর মলিন চেহারায আনন্দের স্নিগ্ধ হাসি ফুটে উঠলো।যার ফলোশ্রুতিতে অল্প সময়ে সারা জাহানে ছাগলের রাখাল হয়ে উঠলো প্রতাপশালি বিশ্বনেতৃত্বের মসনাদের সফল সম্রাট।গোটা পৃথিবী চাতক চোখের মত লোভাতুর আকর্ষনের নজর নিক্ষেপ করতে লাগলো।শতদা বিভক্ত অসংখ্য জাতিবর্গ এক পতাকাতলে আশ্রয় নিয়ে সমাজ সংহতির নিতি গ্রহণ করে সহাবস্থান আরম্ভ করতে লাগলো।শান্তির প্রস্রবণ অপ্রতিরোধ্য গতিতে প্রবাহিত হতে লাগলো;কেননা মানবতার ঐক্য ও সংহতি জাতির অন্তর্নিহিত শক্তি বৃদ্ধি করে, ইমানি চেতনা ও মনোবল সুদৃঢ় করে।তার স্পষ্ট উজ্জল চেহারার পরিচয় দেয়েছে ইসলাম নামক ধর্মে।একটি দেশের আপামর জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, মৈত্রী, সামাজিক সংহতি ও সম্প্রীতি যে অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং মানবজাতির একান্ত কাম্য, এতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মতনির্বিশেষে সবাই ঐকমত্য প্রকাশ করে। ইসলাম তার অনুসারীদের মধ্যে দেশপ্রেম, সামাজিক ঐক্য, সংহতি, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও অনুপম ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করেছে অন্যান্য ধর্মের চেয়ে ইসলামে সবচেয়ে বেশি,যা এধর্মের অনুসারিদের মানবতার অভিন্ন জাতিসত্তায় পরিণত করেছে।মানুষ্যত্বের অনুপম পরাকাষ্টা প্রস্ফুটিত হয়েছে মুসলিম মিল্লাতে।কেনো তা হবে না? ইসলামি বিধানতো আর কাহারো গনতান্ত্রীক বিবেচনায় নির্মিত মতামতের ভিত্তিতে রচিত হয়নি।মানবতার ধর্ম ইসলাম হলো মানুষ যন্ত্রের পরিচালোনার ক্যাটোলগ প্রকৃতির গাইড বুকের মত। পৃথীবির পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষীণ যে কোন প্রান্তের লাল-সাদা ও কালো মানুষগুলি এধর্ম অনুযায়ি সার্বিক জীবণ যখনই পরিচালোনা করে তখনই তাদের নতুন সোনালী ইতিহাস রচনার সূচনা হয়।অনাবিল, নিষ্কন্টক নিরাপত্তাময় জীবণ প্রতিষ্টার একমাত্র সুনিশ্চিত জিম্মাদারি দিয়েছে ইসলাম ধর্ম।তার প্রমান নাদিলেও মানুষের কাছে দিবালোকের মত পরিস্কার।কারন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ই মানুষ সম্পর্কে সম্মক অবহিত। মানুষের চলার জন্যে কেমন বিধান দিলে তারা শান্তিময় জিবণ গড়তে সক্ষম হবে সেটা আল্লাহই মালুম।তাই যদি আমরা সেপথে চলি যে পথে আমাদের প্রয়জন গেছে চলে তাহলেই আমরা বর্তমান প্রক্ষাপটে শান্তি খুজে পাব।আল্লাহ্ একটি বাণী উল্লেখ করে শেষ করছি,তিনি ইরশাদ করেন; অর্থ,“আর তোমরা সকলে আল্লাহ্র রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নিয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ্ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পরে শত্রুছিলে।অতপর আল্লাহ্ তোমাদের মধ্যে সম্প্রীতি দান করেছেন।ফলে, এখন তোমরা তার অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুণ্ডের পাড়ে অবস্থান করিতেছিলে তাত্থেকে আল্লাহ্ তোমাদের উদ্ধার করেছে।” [সুরাহ: আ্ল-ইমরান:১০৩]
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন