তোমরা সিমান্ত ঘাটির পাহারায়
লিখেছেন লিখেছেন আবু হাফসাহ ০৩ মার্চ, ২০১৩, ০৮:৪৫:১৪ রাত
হযরত আমর ইবুনল আস রাঃ যকন মিসর জয় করেন তখন পৃথিবীর সভ্যতা ও সংস্কৃতি ছিল উন্নতি ও বিকাশের উত্তুঙ্গে।সবুজ ও শ্যামলিমার দিক দিয়ে মিসরের তুলনায় বাংরাল রুপ কোম মিল না। হযরত 'আমর ইবনুল আস যে ভূখণ্ড জয় করেন তা সৌন্দর্য, খনিজ, পশু ও মানবীয় সম্পদে ছিল ভরপুর। একজন বিজয়ী সেনানায়কের পক্ষে যে আনন্দ ও পরিতৃপ্তি পাবার কথা তিনি তা পাননি।তিনি তো রাসূল (সাঃ)-এর সুহবত ও সাহচর্য পেয়ে ধন্য হয়েছিলেন। কুরআন মজীদের চিন্তা, দূরদর্শিতা ও নবী কারীম (সাঃ)- এর সাহচর্যের বরকতই তার চোখেকেই নয়, তার মন ও মগজকেও করেছিল আলোকিত।আল্লাহ্পাক তাকে মুমিনের অন্তর্দৃষ্টি দান করেছিলেন এবং ঈমানী অন্তর্দৃষ্টি থেকে একদম বেশী সাহাবিয়াতের অন্তর্দৃষ্টি দান করেছিলেন।তিনি আরব মুসলমান দের লক্ষকরে - যারা এদেশের বিজেতা ও শাষক- এমন একটি মূল্যবান কথা বলেছিলেন যা, সোনালী অক্ষরে লিখে রাখার মত। তিনি বলেছিলেনঃ "দেখ এবং মনে রেখ, এখান কার উর্বর সম্পদ ও সংস্কৃতি তোমাদেরক যেন তার ভেতর ডুবিয়ে না ফেলে এবং তোমরা যেন এ ভূখণ্ডে হারিয়ে না যাও। তোমরা যেন নিজেকে খুজে পাও,বাস্তব ও প্রকৃত সত্য খুজে পাও। আর তা কি? তা হচ্ছে:(তোমরা সদা-সর্বদা একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ঘাঁটির পাহারায় নিয়োজিত) বাংলার মুসলমানগন জয় পাওয়ার পর পূর্বসূরিদের রেখা যাওয়া শিক্ষা থেকে বিচ্চুতি হওয়ায় তাদের আজকের চলমান এ করুণ পরিণতি।ফুসে উঠছে নাস্তিক মুরতাদরা।মহড়া চলছে কুফরি মতবাদের।তার ফলে ক্ষয় হচ্ছে মুসলমানদের জান মাল।তাওহীদ জনগোষ্টি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজ যদি রুখে না দাড়ায় তাহলে আরও ভয়াবহ বেদনাদায়ক চিত্র অপেক্ষা করছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন