বর্তমান প্রক্ষাপটের কিছু ভাবনা ও করনিয়
লিখেছেন লিখেছেন আবু হাফসাহ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৪৭:০৭ দুপুর
প্রিয় তরুণ বন্ধু গণ! আমাদের প্রিয় সোনার বাংলাদেশ এখন চরম দুঃখী;ঈমান,মানবিক,নৈতিক অবক্ষয় ও নৈরাজ্যের শিকার।দ্বীন ও ঈমানের ক্ষেত্রে সৃষ্ট ভয়াবহ নৈরাজ্যের কথা কি আলোচনা করার অবকাশ আছে বলে আমার মনে বিশ্বাস নেই।মূল্যবোধ সৃষ্টিকারি শিক্ষার চরম অভাবের দরুণ দারুণ ভাবে ক্ষুন্য হচ্ছে আমাদের যুব সমাজের নৈতিকতা।এপ্রসংঙ্গে আলোচনার স্বতন্ত্র সময় ও সুযোগের প্রয়োজন।তবে নৈতিক নৈরাজ্য বিষয়ে কিছুটা ইঙ্গিত করে আলোকপাত করছি।নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এখন আমাদের অবস্থা সংক্ষেপে বলা যায় যে, প্রাণ বায়ু বেরিয়ে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে মৃত্যু বিভীষিকায় পতিত মুমূর্ষ ব্যক্তির অবস্থা।দেশ এখন দাঁড়িয়ে আছে ধবংগহবরের প্রান্তে কিংবা আগ্নেয়গিরির লাভা মুখে।যুবসমাজের চরিত্র দেখে রিতিমত শয়তানও বিস্ময় বোধ করছে,লজ্জাপাচ্ছে।দায়িত্ববোধ,কর্তব্যপরায়ণতা ও কর্তব্য পালনে শ্রম দানের আগ্রহ এবং স্বদেশ প্রেম ও স্বদেশবাসীর প্রতি সমবেদনা – এসব এখন কল্পনার সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে।আজ প্রশাসনের যে কোন চেয়ারের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়,প্রত্যেক চেয়ারধারী যেন ওঁত্ পেতে বসে রয়েছে পকেট ভর্তি করার কুমতলব নিয়ে।পেট ও পকেট নাপুরে ফাইলের ভাজ খুলতে একদম নারাজ।তাই ইসলামী আইনের আশু বাস্তবায়ন চাই।তরুনদের প্রতি আহবান; ইসলামী আইন প্রণয়ন ও শরীয়ত ব্যবস্থা প্রবর্তনের যে মোবারক উদ্যেগ- আয়োজন বর্তমানে আমাদের দেশে চলছে, সে ব্যাপারে উত্সাহিত হতে হওয়ার আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।কেননা এ মহান প্রচেষ্টার পথে মুহুর্তের বাধা সৃষ্টিকেও আমি মনে করি জঘন্যতম অপরাধ।তরুণ বন্ধুগণ যদি এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়, ইসলামী আ্ন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীবৃন্দু,লেখক,সাহিত্যিক,সাংবাদিক, রেডিও-টেলিভিশন,মোটকথা সকল প্রচার মাধ্যমে যদি আমরা একযোগে প্রচেষ্ট চালাই এবং পছন্দ-অপছন্দ, রুচি-অভিরুচি ও অনূভুতি- উপলব্ধির পরিবর্তন ঘটিয়ে যদি আমরা সমাজ জীবনের সর্বত্র সততা,আল্লাহ্ভীতি,ভাবতন্ময়তা,ধৈর্য ও সহনশীলতা সৃষ্টি করতে পারি, পারি যাবতীয় প্রলোভন ও নৈতিকতার অগ্নি-পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা সৃষ্টি করতে, তথন এ সমাজের ওপর যে কোন কঠিন বোঝা চাপানো যেতে পারে। ইসলামী খিলাফতের গুরুভারও তখন সে বহন করতে পারবে স্বাচ্ছন্দে। এব্যাপারে বৃন্দুমাত্র সন্দেহ করতে পারব না।সমাজ সংশোধনের কাজে সমাজের বুকে পএভাব সৃষ্টিকারী সা কটি শক্তি যদি একযোগে সহযোগিতার ভিত্তিতে কিছু সময় নেয়োজিত থাকে, তবে ইসলামী খিলাফতের দীর্ঘ লালিত স্বপ্নও বাস্তবে রুপ লাভ করতে পারে, অথচ বর্তমা অবস্থা হলো, দেশের সব ক’টি প্রচার মাধ্যম তাদেরই হাতের মুঠোয় এবং সমাজ জীবন তাদেরই নিয়ন্ত্রণে যাদের সম্পর্কে আল-কোরাআনে ইরশাদ করেছে:"যারা ঈমানদারদের মাঝে অশ্লীলতার বিস্তার ঘটাতে চায়,পরকালে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন,তোমরা জানোনা" আধুনিক যুগের পত্র-পত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশন, গল্প-উপন্যাস তথা নগ্ন সাহিত্য, ছায়াছবি ও ব্লু ফিল্মের ছড়াছড়ি। এসব যে আলোচ্য আয়াতের শুধ তাফসীরই নয়, বরং বাস্তব চিত্রও তুলে ধরেছে একবিংশ শতকের মানুষের কাছে যা কল্পনা করাও অতীতের অন্য কোন সময় ছিল অসম্ভব।এ আয়াতটি বর্তমান পৃথিবীর বৃহত্তম পরিসরে একটি জিবন্ত মু’জিযা।ইহা যে পরিবেশে অবতীর্ণ হয়েছিল সে সমাজের লোকেরা হয়ত ঈমান বিল-গায়বের আশ্রয় নিয়ে ছিল কিংবা বিশেষ কোন ঘটনার সাথে আয়াতের সামঞ্জস্য খুজে নিয়েছিল। কিন্তু দুনিয়ার সকল শয়তানী শক্তি আজ যেভাবে অশ্লীলতার প্রচার-প্রসারে আদাজল খেয়ে লেগেছে তা কি পূর্বে কেউ কল্পনাও করতে পেরেছিল।এহেন পরিস্থিতিতে আমরা নিষ্টার সাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলি।হিংসা বিদ্ধেষ পরিহার করে সম্প্রিতিময় সমাজ গঠনে ভুমিকার রাখি।দেশপ্রেম বুকে ধারণ করি।এমন ভাবে জিবণ গড়ি যেমন আমাদের প্রিয় হাবিব বলেছিলেন, "তোমার সাথে বিচ্ছিন্নকারীকে জুড়ে রাখ, তোমার প্রতি অবিচারীকে ক্ষমা কর এবং তোমার সাথে যে অসদাচরণ করে, তার সাথে সদাচরণ কর" আল-হাদীস।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন