দেশপ্রেম, সভেরন্টি লোন, স্বাধীনতা ও কালো বিড়াল
লিখেছেন লিখেছেন ঘাসফড়িং ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:০০:১৪ বিকাল
আমরা দেশ প্রেমিক, আমরাই স্বাধীনতা এনেছি আর সবাই বিদেশীদের দালাল। যেন স্বাধীনতা ও দেশপ্রেমের সোল এজেন্ট। আমেরিকার এক রাষ্ট্র বিজ্ঞানী (নাম ভুলে গেছি) বলেছেন " যার দেশপ্রেম সত্যিকার অর্থে নেই, সেই দেশপ্রেম-দেশপ্রেম বলে বেশী চিৎকার করে।" আমার মনে হয় কথাটা ১০০% সত্য অন্তত আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের একটি সরকার আসলো, অনেক প্রতিশ্রুতি লিখে শেষ করা যাবে না। মনে হলো জনগনের জন্য একটি বেহেস্তখানা তৈরী হবে বাংলাদেশে। সরকারের তিন বছরের শাষনেই দেশের হাড়ি চেটে খাওয়া শেষ। যেন বঙ্গবন্ধুর সেই কথাই মনে পড়ে " সব চাটার দল"। সরকার জনগনের কল্যানেই সব কাজ করে বা করবে এখন সেটা কেমন যেন বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। ধরেন আমার বাড়ী বন্ধক রেখে টাকা নিয়ে কেউ আমার ভালো করবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। সভেরন্টি লোন সমন্ধে আমি বেশী কিছু জানি না তবে আপতঃ যতটুকু মনে হয় সার্বভৌমত্ত্ব বন্ধক রেখে কোন লোন নেয়া হবে হয়ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই লোন চাওয়া হয়েছে বলে আমরা জেনেছি বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে। বাড়ী বন্ধক দিয়ে শোধ করতে না পারলে যেমন বাড়ী নিজের থাকে না তেমনভাবে সার্বভৌমত্ত্ব হারানোর সুযোগ আছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারনও আছে। আমাদের সরকার বিগত বছর গুলিতে যে পরিমান টাকা ঋন নিয়েছেন দেশী ব্যাংকগুলো থেকে তার কতটা শোধ হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। তবে বাজারে প্রচলিত আছে সরকার লোন নিয়ে কখনও শোধ করে না। প্রচুর পরিমান বিদেশী লোন অপরিশোধিত রয়েছে। প্রতিটি শিশু জন্ম নিচ্ছে হাজার ডলার ঋনের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে। এ অবস্থায় সার্বভৌমত্ত্ব বন্ধক দিয়ে ঋন নিয়ে আমাদের কোথায় ঠেলে দিতে চায়। আমার তিনপাশে ভারত একপাশে সমুদ্র। আামাদের যাওয়ার জায়গা কোথায়? অন্যদিকে যারা সার্বভৌমত্ত্ব বন্ধক দিয়ে লোন নিচ্ছে তাদের বিদেশের নাগরিকত্ব আছে, তাদের সন্তানেরা বিদেশে থাকে। আমাদের মতো গরীব চাষা-ভুষারা স্বাধীনতা হরানোর পর কি নিয়ে বাঁচবে? তবে একথাও মনে থাকা দরকার যে বাংলার এই চাষা-ভুষারা কোন দিন পরাধীনতাকে মেনে নেয়নি। লাঙ্গল হাতে যেমন ফসল ফলানোয় সাবলীল তেমনি সাবলীল স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এই সব নেতাদের দয়ার আসেনি বরং আমরা জানতে পারছি আজ যে, তারা সংগ্রামের সময় বিদেশে আরাম আয়েশের সাথে সময় কাটিয়ে এসে এখন স্বাধীনতার সোল এজেন্ট হয়েছে। বরং এই সব চাষা-ভুষারা, ছাত্রসমাজ এবং খেটে খাওয়া শ্রমিক মুজুরেরা যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। তাই এই সব নেতাদের অধিকার নেই এই স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার। রক্ত দিয়ে যারা স্বাধীনতা এনেছে তারা প্রয়োজনে আবার রক্ত দিয়ে স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে। জাতীর পতাকা আর কোন শকুনকে খামচে ধরতে দেয়া হবে না।আর তাই বলতে চাই মাননীয় সরকার মহোদয় আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে আপনাদের এই হোলী খেলা বন্ধ করুন। আপনার থলের ভিতর থাকা কালো বিড়াল বারবার ফিরে এসে আমাদের খাবার চুরি করছে। শুধু খাবার কেন? চুরি হয়েছে আমাদের রেল, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা সহ সকল মৌলিক ব্যবস্থাপনা। হোজ্জার বিড়ালের মতো খেয়ে ফেলছে সব কিন্তু ওজন বাড়ছে না। এদের মুখ থেকে চুরি করা খাবার কেড়ে নিন জনগনের খাবার জনগনকে ফেরৎ দিন। দয়া করে বিড়াল ধরুন জাতী বাঁচান। না হলে জনগন বিড়ালের দৌড়াত্ব্য থামাতে নিজ দায়িত্বে বিড়াল মেরে দিবে। নতুন করে আমরা চেতনাকে শাণিত করেছি। যারা তরুণ প্রজন্মের এই প্রাণ উন্মাদনা দেখেননি তাদের জন্য জাতীয় কবির সতর্কবাণীঃ
তারাবে ওদের দেশ হতে মেরে আল্লাহর অনাগত সেনা
এরাই বৈশ্য ফসল শষ্য লুটে খায়, এরা চির চেনা
ওরা মাকড়শা, ওদের ঘরের ঘেড়াওতে কভু যেও না কেউ
পেড়ো ঘরে থাকে জাল পেতে ওরা দেখেনি প্রাণের সাগর ঢেউ
বিষয়: বিবিধ
১২১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন