হিন্দু ধর্মের গ্রন্থেও নবী করীম সঃ এর আগমন বার্তা আজও স্পষ্ট রয়েছে, যা সাধারণ হিন্দু জানেনা আর পণ্ডিতরা মানেনা।

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ০১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:১২:২২ সন্ধ্যা

ভারতীয় ভোজ বংশের রাজা এক রাতে আকাশের চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত দেখলেন। তার স্মরণ হল যে তিনি আপন ধর্মগ্রন্থে কল্কী অবতার বা অন্তিম ঋষীর কথা জেনে ছিলেন যে, ঋষী নরাশংস সম্ভল গ্রামের সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ বংশে মাধব মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশ দিনে বিষ্ণু ইয়াস ও সুমতির ঘরে জন্ম গ্রহণ করবেন। তিনি অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করবেন। তিনি অনেক অলৌকীক ঘটণা ঘটাবেন, যার একটি হবে চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করণ। তিনি ভারত হতে মক্কা শহরে গেলেন ও মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানলেন যে, যিনি চাঁদকে দু ভাগ করেছেন তাঁর নাম মোহাম্মদ (সঃ)। তিনি ক্বাবার প্রধান সেবায়েত বংশের লোক। রাজা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে করজোড়ে নত মস্তকে বললেন, ‘হে মহাত্মন, আপনি আমার প্রনাম গ্রহণ করুণ। আমি আপনার কাছে দীক্ষা নিতে চাই, তার আগে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনিই কি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেছেন?’ মোহাম্মদ (সঃ) বললেন, ‘হাঁ আমার আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দু-ভাগ হয়েছে’। রাজা বললেন, ‘আপনার নাম আমি শুনেছি, আপনার পিতা-মাতার নাম বলুন। মোহাম্মদ (সঃ) বললেন, ‘আমার পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ, তিনি আমার জন্মের দুই মাস আগেই ইন্তেকাল করেছেন, মাতার নাম আমিনা। আমার বয়স যখন ছয় বৎসর তখন তিনিও ইন্তেকাল করেছেন’। রাজা বললেন,’আমার ধর্মগ্রন্থে এমনটাই লেখা আছে’। ভোজ রাজা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে দেশে ফীরে এসে ঘোষণা দিলেন যে, অন্তিম ঋষী, নরাশংস সম্ভল গ্রাম মক্কার কাবার প্রধান পুরোহীতের বংশে বিষ্ণুইয়াস ও সুমতির ঘরে জন্মেছেন। তিনি অত্যন্ত সৎ ও মহান চরিত্রের অধিকারী। তিনি অনেক অলৌকীক ঘটনা ঘটাতে পারেন। তিনি অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করবেন। তিনি দেবদত্ত বিদ্যুতগতি সম্পন্ন ঘোড়ায় আকাশ ভ্রমন করবেন। তারা যখন তোমাদের মাঝে আসবে তখন তোমরা তাদের ধর্মে প্রবেশ কোর। তাদের চিহ্ন হচ্ছে, তাদের গীরাবিহীন লম্বা দাড়ি থাকবে, চুল ছাঁটবে কিন্তু টিকি রাখবে না। তারা উপাসনায় ঘণ্টা বাজাবে না বরং উচ্চস্বরে আহবান করবে (আজান)। তারা অত্যন্ত ঈশ্বরভক্ত হবে। সবার চেয়ে বেশী বেশী ঈশ্বরের নাম নেবে। খৎনা করা থাকবে। তারা আমিষ ও নিরামিষ উভয় ভক্ষণ করবে তবে মন্ত্রপাঠ ছাড়া মাংস খাবে না। তাদের ধর্মকে মোসলেনেও (মুসলীম) বলা হবে। স্বর্গে যাবার এ ছাড়া দ্বিতীয় পথ নেই। (মৌলানা জারজিস আনসারী)।মৌলানা জারজিস আনসারী সহেবের আহ্বানের সাথে আমিও স্বর মিলিয়ে বলি, হে আমার সোনাতন ধর্মী, হিন্দু ভাইয়েরা, আপনারা যে কল্কী অবতার, অন্তিম ঋষী, (আরবীতে-খাতামান নাবিইন) নরাশংস (আরবীতে- মোহাম্মদ) এর অপেক্ষায় রয়েছেন, তিনি সম্ভল গ্রামে,- শান্তির শহর(আরবীতে-বালাদুল আমীন, মক্কায়) ব্রাহ্মণ বংশে (৩৬০ দেব-দেবী বিশিষ্ট কাবা ঘরের পূজারী কোরাইশ বংশে) মরুস্থল নিবাসী বিষ্ণু ইয়াস বা বিষ্ণুর দাস ও সুমতি (আরবীতে আব্দুল্লাহ ও আমিনা) র ঘরে জন্ম নিয়ে ছিলেন। সেই নরাশংস, মোহামদান্ধিকারম নাশম, মোহাম্মদ অনিয়মের,অজ্ঞতার অন্ধকার দূরও করেছেন। বহু মায়া পর্বত্যনে- অনেক মোজেজা বা অলৌকিক ঘটনাও ঘটিয়েছেন। আসুয়ামা সুগমারুহা,-বিদ্যুৎগতি সম্পন্ন ঘোড়ায় আকাশ ভ্রমন ও করেছেন, শারাম শশ্রুধারী,-সরল ও লম্বা দাড়ি ওয়ালা, সাধু সাত্তা- টিকি ছাড়া, সাধুদের মত জীবন কাটিয়েছেন। উচ্চালাপী- উচ্চস্থানে, টিলায় উঠে ও মিম্বরে উঠে ভাষণ দিতেন আর আজানও দিতেন, লীঙ্গাচ্ছেদী-খৎনা করানোও ছিলেন, তিনি আমাদের কাছে আছেন। আপনাদের অপেক্ষার দিন ১৪০০ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে, আপনারা বুঝতে পারেননি। আসুন আপনাদের কাঙ্খিত ব্যাক্তিকে আমাদের কাছে বুঝে নিন।

বিষয়: বিবিধ

১৩০২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385884
০২ অক্টোবর ২০১৮ রাত ০৯:২৯
েনেসাঁ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।ভাল হয়েছে। তবে গ্রন্থগুলোর সূত্র উল্ল্যেখ করা থাকলে আরো ভাল হতো।
385885
০৩ অক্টোবর ২০১৮ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
শেখের পোলা লিখেছেন : জবাবের ঘর ওপেন হল না তাই এখানেই জবাব দিলাম। বক্তার নাম উল্লেখ আছে তাই আর কিছু দিইনি। বেদ, ভবিষ্য পুরাণ, ধভাগবাত গীতা এমন প্রধান প্রধান ধর্মগ্রন্থেই রয়েছে।
385889
০৩ অক্টোবর ২০১৮ রাত ০৯:৪৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : এটাই বাস্তব সত্যযে হিন্দুরা তাদের ধর্মগ্রন্থ যদি পড়তো সকলেই মুসলিম হয়ে যেত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ধর্মের নামের ব্যবসায়ীদের কারনে তা প্রকাশ করতে দিবেনা। ভালো লাগলো আপনাকে ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File