যে কারণে কোরআনের চ্যালেঞ্জ ১৪০০ বছর ঝুলে আছে, তার আংশিক নমুনা। সুবহানাল্লাহ!

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:৫৪:২৩ সন্ধ্যা



চোদ্দশো বছর আগে, কোরআনের আগমন লগ্নে কোরআন যদি আল্লাহর তরফ থেকে না এসে থাকে তবে তা প্রমান করতে এমন একটা কোরআন লিখে আনার চ্যালেঞ্জ দেয়। কোন সাড়া না পেয়ে চ্যালেঞ্জকে একটু সহজ করে ১১৪টি নয় মাত্র দশটি সুরা লিখে আনতে বলা হয়। তাতেও কোন আগ্রহী পাওয়া যায়না, তখন আরও সহজ করে মাত্র একটি সুরা, যা মাত্র তিন আয়াত বা বাক্যেরও হতে পারে তা লিখে আনতে বলা হয়। তা আজ অবধি চ্যালেঞ্জই রয়ে গেছে। কারণ, এ কোরআন শুধুই একটি গ্রন্থ নয়। এর রচনা, বিন্যাস, অক্ষর চয়ণ ও শব্দ চয়নে রয়েছে বিরাট রহস্য। যার ব্যবহার মানুষের অসধ্য। তার সামান্য নমুনা দেখুন।–

সুরা ‘নমল’ কোরআনের ২৭ তম সুরা, আয়াত সংখ্যা ৯৩। দুইটি হরফে মুকাত্তায়াত ‘ত্বোয়া’ আর ‘সীন’ দিয়ে শুরু হয়েছে। প্রথম অক্ষর ‘ত্বোয়া বা ‘তোই’ অক্ষরটি এ সুরায় ২৭ বার ব্যবহার হয়েছে, যা সুরার অবস্থান ২৭ নম্বরের সমান। আবার দ্বিতীয় অক্ষর ‘সীন’ অক্ষর টি ৯৩ বার ব্যবহার হয়েছে, যা এ সুরার আয়াত সংখ্যার সমান।

কোরআন নাজিলের আগে হতেই আরবে আরবী বর্ণমালার প্রতিটি হরফ বা অক্ষরের আলাদা আলাদা একটি মান ব্যবহার হত, যে হিসেবে ৭৮৬ বলতে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম’ বোঝা যায়। সেই মান অনুযায়ী ‘নমল’ (=নূন+মিম+ লাম) শব্দটির মান হয় ১২০। আবার সুরার অবস্থান নং ২৭ আর সুরার আয়াত সংখ্যা ৯৩ এর যোগফলও ১২০। আল্লাহ শব্দটি এ সুরায় ব্যবহার হয়েছে ২৭ বার। আ।বার যে আয়াতটি আল্লাহ শব্দ দিয়ে শুরু হয়েছে তার অক্ষর সংখ্যাও ২৭। এগুলো নিশ্চয় কাকতলিও নয়।

এ সুরায় ‘ওয়াও’ অক্ষরটির ব্যবহারও বিষ্ময়কর। সুরার ১৫টি আয়াতে একবার করে, ১৫টি আয়াতে ২বার করে, ১৫টি আয়াতে ৩ বার করে, ১৫টি আয়াতে ৪ বার করে, ১৫টি আয়াতে ৫ বার করে ব্যবহার হয়েছে। ‘ওয়াও’ অক্ষরটি বিভিন্ন ভাবে সর্বমোট ৩৩৩ বার ব্যবহার হয়েছে, যার অবস্থান মান=৩x৩x৩=২৭ সুরার অবস্থান ২৭ এর সমান।

আমরা জানি কোরআন একদিনে নাজিল হয়নি বরং বেশির ভাগ সুরাই খণ্ড খণ্ড ও কখনও এ সুরার আয়াত, কখনও ও সুরার আয়াত এ ভাবে নাজিল হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ হবার আগে কেউই জানতনা কোন সুরায় কতটি আয়াত হবে। তা পরে আল্লাহর হুকুমে জিবরাঈল আঃ দ্বারা নবী সঃ জানতে পারেন ও নবী সঃ ওহী লেখদের সে নির্দেশ দিলে তা সাজানো হয়। সুরা বাকারার মধ্যখানের আয়াত কি হবে তাও কারও জানা না থাকাই স্বাভাবিক। ২৮৬ আয়াতের মধ্যখানের ১৪৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যপন্থি কওম করেছি, যাতে তোমরা পরবর্তীদের জন্য সাক্ষ্যদাতা হও ও নবী হন তোমাদের সাক্ষ্য দাতা। এটাকি বিষ্ময় নয়?

সুরা ‘আল কদর’ সুরার অবস্থান নং ৯৭। এ সুরায় কোরআন নাজিলের কথা বলা হয়েছে আর তা রমজান মাসের লাইলাতুল কদরের মহিমান্বিত রাতে। নির্দিষ্ট করে সেটি কোন রাত তা বলা হয়নি। রসুল সঃ বলেছেন যে শেষ দশকের বেজোড় রাতের মাঝে তা আছে, তবে ২৭শে রাতের পরে বেশী জোর দিয়েছেন। কোরআনের বর্ণনায় সেই ২৭এর প্রতি ইশারা দেখুন। প্রথম তিন আয়াতে ‘লাইলাতুল কদর’ (মহিমান্বিত রাত) শব্দটি তিন বার এসেছে। যার হরফ বা অক্ষর সংখ্যা ৯x৩=২৭। সাধারনতঃ রোজার মাস হয় ৩০ দিনে। এ সুরার শব্দ সংখ্যা ৩০। শেষের থেকে গুনে এলে ২৭ নং এ পড়ে প্রথমের ‘লাইলাতুল’ শব্দটি,যার অর্থ রাত। আর যদি প্রথম থেকে শব্দ গণনা করা হয় তবে ২৭ নংএ পড়ে ‘হীয়া’ শব্দটি, যার অর্থ ইহা বা তাহা। সুরার প্রথম শব্দ ‘ইন্না’ যা তিন অক্ষরের সমাহার, যাদের মিলিত মান ২৭। কোরআনের দ্বিতীয় যে সুরায় এ রাতের কথা বলা হয়েছে তা ৪৪ নং সুরা ‘দুখান’। প্রথম ছয় আয়াতে এ রাতের কথা বলা হয়েছে, যার অক্ষর সংখ্যা ১১৫ আবার সুরা ‘কদর’ এর অক্ষর সংখ্যাও ১১৫। সুরা ‘কদর’এর শব্দ সংখা ৩০ যা তিরিশ রোজার কথা বলে, তেমনই সুরা ‘দুখান’এর ঐ ৬ আয়াতের শব্দ সংখ্যা ২৯ যা রমজান ২৯ হবারও সম্ভাবনা বলে দেয়। এ ছাড়াও সুরা মায়ীদার ৯৭ নং আয়াতে সম্মানিত মাসের কথা বলা হয়েছে, যার শব্দ সংখ্যা ২৭।

সুরা ‘নাহল’ (মৌমাছি/মধু) সুরার অবস্থান নং ১৬, আয়াত সংখ্যা ১২৮ যা ১৬ দ্বারা বিভাজ্য। DNA প্রমান করেছে যে পুরুষ মৌমাছির ক্রমোজম ১৬। রাণী মৌমাছির ৩২। ডিম হতে পূর্ণাঙ্গ রাণী হতে সময় লাগে ১৬ দিন। এ সুরার ৬৮ নং আয়াতের প্রথম চার শব্দে মৌমাছিদের প্রতি ওহীর কথা বলা হয়েছে, তাদের অক্ষর সংখ্যা ১৬। আবার এ আয়াতে আরবী বর্ণমালার ১৬ টি অক্ষর ব্যবহার হয়েছে। সব চাইতে ছোট আয়াতটি ১৬ যার অক্ষর সংখ্যাও ১৬। পুরুষ মৌমাছির ক্রমোজম ১৬। আবার শেষ আয়াতের অক্ষর সংখ্যা ৩২ যা রাণীর ক্রমোজমের সমান। সব চাইতে বড় আয়াত ৯২ যার শব্দ সংখ্যা ৩২, যা রাণীর ক্রমোজমের সমান। বিভিন্ন ভাবে ১৬ কে হাই লাইট করা হয়েছে, যা সুরার নং ১৬ এর সমান।

‘সোয়াদ’ হরফ টি কোরআনে প্রথম ব্যবহার হয়েছে সুরা ‘ফাতিহা’য়। সেখানে তার অবস্থান ৮৮ তম হরফ হিসেবে। কোরআনে ‘সোয়াদ’ নামে একটি সুরা আছে, যার আয়াত সংখ্যা ৮৮। আবার সুরা ‘ক্বাসাস’ এর নামেই রয়েছে দুইটি ‘সোয়াদ’ মজার বিসয় এ সুরার আয়াত সংখ্যাও ৮৮।

ঈশা আঃ কে কোরআনে আদম আঃ এর সাথে সাদৃশ্যের কথা বলা হয়েছে। কোরআনে আদম আঃ এর নাম ২৫ বার এসেছে আর ঠিক ২৫ বারই ঈশা আঃ এর নাম এসেছে।

আমরা জানি রং ধনুতে সাতটি রং আছে। কোরআনে রং এর কথা সাত বারই বলা হয়েছে। বিষ্ময়কর হল, প্রথম যে আয়াতে রং এর কথা এসেছে,(১৬/১৩) وَمَا ذَرَأَ لَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُخْتَلِفًا أَلْوَانُهُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِقَوْمٍ يَذَّكَّرُونَ এ আয়াতে তেরটি শব্দ আছে যার সাত নম্বটাই রং (আলওয়ানুহু)। আয়াত নং ১৩ আবার শব্দ সংখ্যাও ১৩। উভয় পাশে আছে ৬টি করে শব্দ, যার যোগফল ১২, আর আমরা জানি সব রং কটির মিলিত রূপই সাদা রং যা কোরআনে ১২ বার এসেছে। নিশ্চয়ই এটা কাকতলিয় নয়!

এর পর আসা যাক আরও কিছু বিষ্ময় নিয়ে। পবিত্র কোরআন শুরু হয়েছে ‘বিস মিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ দিয়ে। যাতে অক্ষর রয়েছে ১৯ টি। কোরআনে এই ১৯ সংখ্যাটির বিরাট গোপন ভুমিকা রয়েছে। যার ইশারা সুরা মুদ্দাস্সীর এ রয়েছে। সারা কোরআনে ১১৪ টি সুরা রয়েছে, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। আবার সুরা তওবা/৯ বাদে ১১৩টি সুরা শুরু হয়েছে এই ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম দিয়ে, যা ১৯ দ্বার বিভাজ্য নয়। সুরা নমল/১৬ এর টেক্সটে একটি অতিরিক্ত বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম দিয়ে আল্লাহ তায়ালা তা ১১৪ পুরা করেছেন, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। আবার ‘বিসমিল্লাহ’এর ‘ইসম’ শব্দটা কোরআনে ১৯ বার এসেছে। ‘আল্লাহ’ শব্দটা কোরআনে ২৬৯৮ বার, ‘রহমান’ শব্দটা ৫৭ বার ও ‘রাহীম’ শব্দটা ১১৪, যা ‘রহমানে’র দ্বিগুন। মজার বিষয় সব কয়টা সংখ্যাই ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। বিষ্ময়কর নয়কি?

সুরা ‘কলম’/৬৮ শুরু হয়েছে ‘নূন’ হরফে মুকাত্তায়াত দিয়ে। ঐ সুরায় নূন হরফটি ১৩৩ বার ব্যবহার হয়েছে, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। সুরা ‘ক্বাফ’/৫০ শুরু হয়েছে ‘ক্বাফ’ ‘হরফে মুকাত্তায়াত’ দিয়ে। ‘ক্বাফ’ হরফটি ঐ সুরায় ৫৭ বার ব্যবহার হয়েছে, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। মজার কথা হল,সুরায় ‘কওমে লূত’ এর বদলে ‘ইখওয়ানে লূত’ শব্দ ব্যবহার করে ক্বাফের ব্যবহার ৫৮ না করে ৫৭তেই রাখা হয়েছে। অথচ এ শব্দ আর কোথাও ব্যবহার হয়নি। কারণ, কওমে লূত লিখতে ক্বাফ হরফ প্রয়োজন ছিল।

সুরা ‘সোয়াদ’/৩৮ যা ‘সোয়াদ’ ‘হরফে মুকাত্তায়াত’ দিয়ে শুরু হয়েছে। ঐ সুরা সহ অন্য যে যে সুরায় এ হরফটি যতবার ব্যবহার হয়েছে তার যোগফলও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। ‘বাসতাতান’ শব্দটি কোরআনে দুই জায়গায় এসেছে। সুরা ‘আ’রাফে’র ‘মুকাত্তায়াতে’ ‘সোয়াদ’ হরফটি আছে। তার৬৯ নং আয়াতে ‘বাসতাতান’ শব্দটিতে ‘সীন’ হরফের বদলে ‘সোয়াদ’ হরফ ব্যবহার করা হয়েছে, যা এই বিভাজনকে সঠিক রাখার জন্য, অবশ্য তা বোঝার জন্য ‘সোয়াদের উপর ছোটকরে ‘সীনও লিখে দেওয়া হয়েছে। অথচ একই শব্দ সুরা ‘বাক্বারায়’২৪৭ আয়াতে ‘সীন’ ব্যবহার করা হয়েছে। অতি বড় গ্রন্থকারও কি এ গুলি করতে সক্ষম হবেন?

মহাশূন্যে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ প্রভৃতি নিজ নিজ অক্ষে ও কক্ষে অবিরত ঘূর্ণন করে চলেছে, তা বিজ্ঞান যেদিনই জানুক বা মানুক কোরআন এ ঘোষণা ১৪০০ বৎসর আগেই দিয়ে রেখেছে। সুরা ‘ইয়াসীন’/৩৬ এর চল্লিশ নং আয়াতে এ ঘোষণা রয়েছ। তাদের অবস্থা ও অবস্থানের কথা বলতে যে শব্দ ব্যবহার হয়েছে তা বিষ্ময়কর। كُلٌّ فِي فَلَكٍ= ‘কাফ’+’লাম’+’ফা’-‘ইয়া’-‘ফা’+’লাম’+’কাফ’। উভয় পাশের ‘কাফে’র উপর দিয়ে একটি বৃত্ত আঁকুন, উভয় পাশের ‘লামে’র উপর দিয়ে একটি বৃত্ত আঁকন,উভয় পাশের ফা’এর উপর দিয়ে আর একটি বৃত্ত আঁকুন। দেখুন তাদের ঘূর্ণনের দৃশ্য ফুটে উঠল। আর শব্দটি উভয় পাশ থেকেই পড়া যাচ্ছে।

সুরা ইউসুফ/১২ তম সুরা। এ সুরায় উল্লেখ যোগ্য ১২টি ঘটনার সমস্যা ও সমাধান দেখুন।

১/ ইউসুফ আঃ আজব স্বপ্ন দেখলেন, পিতা ইয়াকুব আঃ ব্যাখ্যা না দিয়ে ভাইদের কাছে তা না বলতে পরামর্শ দিলেন।

২/ ভাইয়েরা ষড়যন্ত্র করে ইউসুফ আঃ কে কূঁয়ায় ফেলে চলে গেল।

৩/ মিশরের মন্ত্রীর স্ত্রী জুলেখা তাকে বাগে আনতে না পেরে মিথ্যা অপবাদ দিল।

৪/ শহরের সম্ভ্রান্ত মহীলারা আপন আপন আঙ্গুল কেটে ফেলল।

৫/ ইউসুফ আঃ জেলে গেলেন।

৬/ রাজার স্বপ্ন, যার ব্যাখ্যা পণ্ডিতরা দিতে পারলনা।

৭/রাজার স্বপ্নের ব্যাখ্যা ইউসুফ আঃ দিয়ে মুক্তির পথ করলেন।

৮/ জেল থেকে মুক্তি পেলেন।

৯/ মহীলারা স্বীকারোক্তি পেশ করলেন।

১০/ জুলেখা অন্যায় স্বীকার করল।

১১/ ভাইদের চুরির অপবাদ ও অন্যায় স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা।

১২/ ইউসুফ আঃ এর স্বপ্নের ব্যাখ্যা পেলেন।

সমাধান দেখুন, ১ এর সমাধান ১২ তে হয়েছে। ২ এর সমাধান ১১ তে রয়েছে,৩ এর সমাধান ১০ এ রয়েছে, ৪ এর সম্পর্ক ৯ এর সাথে, ৫ এর সমাধান ৮ এ রয়েছে আর ৬এর সমাধান ৭ এ হল। সুবহানাল্লাহ!

প্রায় এমনই বিষ্ময় সব সুরাতেই রয়েছে। দিনে দিনে তা প্রকাশ পাচ্ছে। আর এ কারণেই হয়ত এর চ্যালেঞ্জটি চোদ্দশো বছর ঝুলে রয়েছে। “ফা’ তু বি সুরাতিম মিম মিশলিহী” ক্বোরআনের সুরার মত মাত্র একটি সুরা রচনা করে আনো। (সংগৃহীত)

বিষয়: বিবিধ

১৮৮৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385890
০৩ অক্টোবর ২০১৮ রাত ০৯:৫৬
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি দুদিন আগেই পড়েছিলাম খুবই ভালো লাগলো মন্তব্য লেখার সময় তখন হয়নি। আল্ কোরান আল্লাহর পক্ষ থেকে নবীজির জন্য এক জিবন্ত মোজেযা। কি হতবাগা জাতি আমরা এমন কিতাব আমাদের কাছে থাকার পরেও আমরা লান্চিত। আজ আমরা ইচ্ছায় হউক আর অনিচ্ছায় হউক আমরা কিন্তু কুরান বিরুধী হয়েগেছি। আপনাকে ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File