মরহুম ডঃ ইসরার আহমদ সাহেবের 'বয়ানুল কোরআন', উর্দূ ডিভিডি হতে বাংলায় সংক্ষীপ্ত অনুবাদ৷
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০৯:২৭:০৫ রাত
সুরা আত তাওবাহ (মাদানী)
রুকু ১৬টি ও আয়াত ১২৯ টি।
পবিত্র কোরআনে এ সুরাটি বড়ই জটিল, আয়ত্বে আনা বড়ই কঠিন। বেশ কয়েকটি বক্তব্যের সমাহার। কিন্তু বক্তব্যগুলি কখন কোথায় কেন নাজিল হয়েছিল তার সঠিক তথ্য সংরক্ষন না থাকায় অনেক তাফসীর কারক বিভ্রান্ত হয়েছেন ও অন্যকেও বিভ্রান্ত করেছেন।
প্রথমত সুরাটি বড় বড় দুটি অংশে বিভক্ত। সুরাটিতে ১৬টি রুকু আছে। যার প্রথমাংশে পাঁচটি রুকু ও দ্বিতীয়াংশে এগারটি রুকু রয়েছে। মক্কি মাদানী মিলিত গ্রুপের দ্বিতীয় জোড়ার দ্বিতীয় বা শেষ সুরা এটি।
হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লোল্লাহু আলাইহে অ সালাম এর নবুয়ত বা রেসালেতের ক্ষেত্রটি ছিল দ্বিমুখী বা দুটি ধারায় বিভক্ত। যার প্রথমটি হল, মক্কার মুশরীক তথা বণী ইসমাইল তথা সমগ্র আরব ভূ খণ্ডব্যাপী। রেসালাত প্রাপ্তির পর হতে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত, প্রতিকূল অবস্থা, অসহ্য নির্যাতন, জীবনের হুমকীর মধ্যদিয়েও তিনি একান্ত তাকওয়া ও নিষ্ঠার সাথে প্রথমটিকেই প্রথমে বাস্তবায়ন করার আপ্রান চেষ্টা করে গেছেন। হীজরতের ষষ্টম বৎসর হোদায়বিয়ার সন্ধীর মধ্যদিয়েই যেন মক্কার মুশরীক কোরাইশরা বশ্যতা স্বীকার করার মাধ্যমে আর আল্লাহর ঘোষণা; ‘ইন্না ফাতহনা লাকা ফাৎহাম মুবিনা’।এর মাধ্যমে প্রথম ধারার সফলতা আসে।
আল্ললাহর বিধি বিধান অনুযায়ী কাফের মুশরীকরা অবাধ্যই রয়ে গেল, অতএব, নুহ আঃ, হুদ আঃ, সালেহ আঃ, শোয়াইব আঃ লুত আঃ এর অবাধ্য কওমের মত, সদুম ও আমুরা বাসীদের ন্যায় মুশরীকদেরও আজাব পাওনা হয়ে যায়। অবশ্য যার প্রথম কিস্তি বদরের প্রান্তরে ইতিমধ্যে কার্যকরি হয়ে গেছে। বাকী বা চুড়ান্ত আজাব বর্ষণের কথাই আছে এ সুরার প্রথম ভাগের শেষের তিনটি রুকুতে। যা নবম হিজরীর জীলকদ মাসে নাজিল হয়। বাকী দুটি রুকু নাজিল হয় হোদায়বিয়ার সন্ধীর পর অষ্টম হিজরীতে। যাতে মক্কা বিজয় অভিযানে মুমিনদের প্রস্তুতীতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। বিজয় অভিযানের সূচনালগ্নে কিছু মুমিন মক্কায় অবস্থানরত নিজ পরিবার পরিজনের জীবন নাশের আশংকা করতে থাকেন। তাদেরই উৎসাহ দান করা হয়েছে।
প্রথমাংশের পাঁচ রুকুর বিন্নাস নুজুল অনুযায়ী প্রথমে দুইটি ও পরে তিনটি রুকু হলেও আল্লাহ তায়ালা, সুরা আনফালের মত সুরার মূল বিষয় বস্তুটিকে সুরার প্রথমে দিয়েছেন। যাতে করে, শেষের তিন রুকুর প্রথমটি সুরার শুরুতেই এসেছে, ছয় আয়াতের এ রুকুটির সম্পর্ক পাওয়া যাবে চতুর্থ ও পঞ্চম রুকুর সাথে।অতএব, প্রথমাংশের পাঁচ রুকু তিন ভাগে ভাগ হয়েছে ও বলা যায়।
হোদায়বিয়ার সন্ধীর সাথে রসুল সঃ এর রেসালাতের প্রথম ধারার সাফল্যের পরই তিনি দ্বিতীয় ধারা যা বহীরারব বিশ্বের জন্য ছিল, তার প্রতি মনোনিবেশ করেন। (পবিত্র কোরআনে পাঁচ জায়গায় বলা হয়েছে, তিনি সমগ্র বিশ্বের জন্য প্রেরীত হয়েছেন)। করনীয় হিসাবে, কায়সার, কিসরা, নাজ্জাসী, সহ বিভিন্ন দেশের শাসকদের কাছে পত্র বা দূতের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত পাঠাতে থাকেন। যে নাজ্জাসী ইমান এনে ছিলেন, তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন। রসুল সঃ তার গায়েবানা জানাজা পড়ে ছিলেন। এখনের নাজ্জাসী মুমিন ছিলনা।এই পত্র আদান প্রদানের মাধ্যমেই রোম সাম্রাজ্যের সাথে মুসলীমদের বিরোধ শুরু হয়। ফলে ছোটখাটো অভিযান ছাড়াও তাবুকের মত বড় অভিযানের প্রয়োজন দেখাদেয়।
এ সুরার দ্বিতীয় অংশের এগারো রুকুর প্রথম চার রুকু এ অভিযানের আগে, কিছু আয়াত তাবুক যাওয়ার পথে ও কিছু আয়াত ফেরার পথে নাজিল হয়। বাকী সাত রুকু সবটুকুই তাবুক অভিযানের পর নাজিল হয়।
আত তাওবা; রুকু;-১ আয়াত;-১-৬
নবী করীম সঃ এর অবাধ্য কওম, আরব ভূ খণ্ডের মুশরীক, কাফেরদের চুড়ান্ত আজাবের আদেশ নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সুরা তওবা। আল্লাহর রসুল গনের রেসালত সত্য প্রমানিত হওয়ার পর অবাধ্য কওমকে যে রীতিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, এটি তা নয়। সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গীকে একটি অপশন সহ আল্টিমেটামের চ্যালেঞ্জ রয়েছে রুকুর ছয়টি আয়াতে।
অষ্টম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের পর নবম হিজরীর জীলকদ মাসে যখন নবী সঃ আগের বছরের মত নিজে হজ্জ্ব কাফেলার সঙ্গী না হয়ে হজরত আবু বকর রাঃ কে আমির মনোনীত করে হজ্জ্বের কাফেলা রওয়ানা করিয়ে দিলেন, তখনই এ আয়াতগুলি নাজিল হয়। হজ্জ্বের শেষে আরাফাতের ময়দানে এটি ঘোষনা দিতে আদেশ হয়। নবী সঃ হজরত আলী রাঃ কে এ দায়ীত্ব দিয়ে কাফেলার সাথে শরিক হতে পাঠিয়েদেন।
হজরত আলি রাঃ কাফেলায় পৌঁছিলে সালাম ও কুশল বিনিময়ের পর হজরত আবুবকর রাঃ হজরত আলি রাঃ এর কাছে জানতে চান তাঁকে আমির মনোনীত করা হয়েছে কিনা। যদি তাহয় তবে প্রথমেই দায়ীত্ব বদল হওয়া চাই পরে অন্য আলোচনা। হজরত আলি রাঃ জানালেন, না, শুধু মাত্র ঘোষনা দেবার দায়ীত্বটিই তাকে দেওয়া হয়েছে ও তাকে মামুর করেই পাঠানো হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে এটিই এক মাত্র সুরা যার শুরুতে আয়াতে বিসমিল্লাহ নেই। এর সঠিক কারণ এক মাত্র আল্লাহই জানেন। ইমাম রাজী রঃ বলেছেন, যেহেতু রসুল সঃ লিখে যাননি তাই নেই। হজরত আলি রাঃ বলেছেন, এ সুরাটি শুরু হয়েছে খোলা তলোয়ার হাতে নিয়ে, আল্লাহর রহমান ও রহীম নামের সাথে মেলেনা তাই, আয়াতে বিসমিল্লাহ নেই। তার পরও বলব, আল্লাহই ভাল জানেন।
১/بَرَاءةٌ مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى الَّذِينَ عَاهَدتُّم مِّنَ الْمُشْرِكِينَ
অর্থাৎ;-সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তার রসুলের পক্ষ থেকে সে সব মুশরীকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তি বদ্ধ হয়ে ছিলে৷
২/فَسِيحُواْ فِي الأَرْضِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللّهِ وَأَنَّ اللّهَ مُخْزِي الْكَافِرِينَ
অর্থাৎ;-অতঃপর তোমরা এ দেশে পরিভ্রমন কর চার মাস, আর জেনে রেখো তোমরা আল্লাহকে পরাভূত করতে পারবে না৷ আর নিশচয় আল্লাহ কাফেরদের পরাস্ত করে থাকেন৷
৩/وَأَذَانٌ مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الأَكْبَرِ أَنَّ اللّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُواْ أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللّهِ وَبَشِّرِ الَّذِينَ كَفَرُواْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
অর্থাৎ;-আর আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পক্ষ থেকে বড়(মহান) হজ্জ্বের দিনে মানুষের প্রতি ঘোষনা করা হ্ছে যে, আল্লাহ মুশরীকদের থেকে দায় মুক্ত এবং তার রসুলও দায় মুক্ত৷৷ তবে তোমরা যদি তওবাহ কর তাহবে তোমাদের জন্য কল্যানকর৷ আর যদি তোমরা মুখ ফেরাও তবে জনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না৷ আর সুসংবাদ দিন কাফেরদের মর্মান্তিক শাস্তির৷
হজ্জ্ব দুই প্রকার৷ একটি ওমরা হজ্জ্ব আর অপরটি সাধারণ হজ্জ্ব৷ ওমরা হজ্জ্বকে ছোট হ্জ্জ্ব আর আসল হজ্জ্বকে বড় হজ্জ্ব বা আকবরী হজ্জ্ব বলে৷ কোথাও বা সাধারণ হজ্জ্ব যদি শুক্রবারে পড়ে তবে তাকেই আকবরি হজ্জ্ব বা বড় হজ্জ্ব বলে৷ এটি প্রমান ছাড়া কথা৷
নবম হিজরী পর্যন্ত হজ্জ্ব ছিল সর্ব সাধারণের অংশ গ্রহনে৷ উক্ত হজ্জ্বের আরাফাতের ময়দানে দূর দূরান্ত হতে আসা হজ্জযাত্রীদের উপস্থিতীতে ঘোষণা দেবার জন্য ছয়টি আয়াত নাজিল হল। রসুল সঃ আদেশ মোতাবেক হজরত আলি রাঃ ঘোষণা করলেন, যা ছিল উপস্থিত মুশরীকদের জন্য বজ্রপাতের ন্যায়, কিন্ত ক্রমশঃ তারা এতই দূর্বল হয়ে পড়েছিল যে, তারা কোন প্রতিবাদ করারও সাহস পেলনা। ঘোষণা হল; আজ থেকে আল্লাহ ও তার রসুলের সাথে মুশরীকদের সব চুক্তি বাতিল করা হল৷ আরব ভূমীতে চার মাস যথেচ্ছা বসবাস করার সুযোগ দেওয়া হল, ইতি মধ্যে তারা যদি তওবা করে তবে তাতে তাদের কল্যান আছে৷ আর যদি তারা তওবা হতে মুখ ফিরিয়ে আগের অবস্থানেই বহাল থাকে, তবে তারা জেনে রাখুক, আল্লাহকে তারা কোনদিন পরাস্ত করতে পারবে না বরং আল্লাহই তাদের পরাভূত করতেই থাকবেন৷
এটি ছিল সাধারণ চুক্তি বা সন্ধী যাতে কোন মেয়াদ উল্লেখ ছিলনা৷ এটিই ছিল মুশরীক কোরাইশ দের সাথে৷ ইতি মধ্যে তাদের অধীন গোত্র সন্ধীর শর্ত ভঙ্গ করেছিল৷ এমনিতেই তা ভেঙ্গে গিয়ে ছিল৷ তাকেই পাকা পোক্ত করা হল। এ কথা পরে পাওয়া যাবে৷
৪/إِلاَّ الَّذِينَ عَاهَدتُّم مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ثُمَّ لَمْ يَنقُصُوكُمْ شَيْئًا وَلَمْ يُظَاهِرُواْ عَلَيْكُمْ أَحَدًا فَأَتِمُّواْ إِلَيْهِمْ عَهْدَهُمْ إِلَى مُدَّتِهِمْ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ
অর্থাৎ;-শুধুই তারা, যে মুশরীকদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ, অতঃপর যারা তোমাদের ব্যাপারে কোন ত্রুটি করেনি এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সাথে কৃত চুক্তি, তাদের দেয়া মেয়াদ পর্যন্ত পূরণ কর৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের পছন্দ করেন৷
কোরাইশ ছাড়া আর যাদের সাথে মেয়াদী চুক্তি ছিল, যারা কোন রকম ত্রুটি বা চুক্তি ভঙ্গের কোন কারণ ঘটায়নি বা অন্য কোন গোত্রকে মুমিনদের বিরুদ্ধে সাহায্যও করেনি, তাদের আল্টিমেটাম চার মাস নয়, চুক্তির মেয়া শেষ পর্যন্ত৷
৫/فَإِذَا انسَلَخَ الأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ الصَّلاَةَ وَآتَوُاْ الزَّكَاةَ فَخَلُّواْ سَبِيلَهُمْ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থাৎ;- অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলি অতিবাহিত হয়ে যাবে তখন মুশরীকদের যেখানে পাবে হত্যা করবে, তাদের বন্দী করবে, প্রত্যেক ঘাঁটিতে অবরোধ করবে৷ কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু৷
নিষিদ্ধ মাস বা অবকাশের মাস যা চুক্তিভঙ্গকারী মুশরীক কোরাইশদের জন্য চারমাস৷ অন্যদের জন্য চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী৷ যা ছয় মাস, এক বছর বা দু বছরও হতে পারে। তবে সবার জন্য তওবা করে ইমান আনার পথ খুলে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একটি সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷ তা হল আরব ভূমী ছেড়ে বাইরে চলে যেতে পারে৷ মনে রাখতে হবে, অন্যান্ন রসুল গনের অবাধ্য কওমেরই সমতুল্য এ শাস্তি৷ যদিও এ হত্যার প্রয়োজন কোনদিন হয়নি, কিন্তু এটি আল্লাহর বিধান৷
৬/وَإِنْ أَحَدٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ اسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّى يَسْمَعَ كَلاَمَ اللّهِ ثُمَّ أَبْلِغْهُ مَأْمَنَهُ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لاَّ يَعْلَمُونَ
অর্থাৎ;-আর মুশরীকদের মধ্যহতে কেউ যদি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবেন, যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়৷ তার পর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেবেন৷ এ আদেশ এ জন্য যে, এরা নিতান্ত অজ্ঞ৷
ঘোষনা দেওয়া হয়েছিল আম জনতার মাঝে৷ যেখানে এমন লোকও ছিল যারা রসুল সঃ এর রেসালাত বা দাওয়াত সম্পর্কে কিছুই জানত না৷ কারণ এখনের মত তখন অল্প সময়েই কোন খবর দূর দূরান্তে পৌঁছে যাবার ব্যবস্থা ছিলনা। অতএব, তারা ছিল নিরাপরাধ অজ্ঞ। ব্যাপার কি, কেন তাদের এ হুমকি তারা জানতে চাইতেই পারে৷ তাই তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা প্রথমে ইসলাম জানার সুযোগ করে দিলেন৷ তারা ইচ্ছা করলে নবীর কাছে এসে আল্লাহর বণী শুনবে৷ শোনার শেষে তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিতে হবে৷ এমন নয় যে, সবই তো শুনলে, এখন তোমার সিদ্ধান্ত জানাও নয়তো গর্দান যাবে৷ তার নিরাপদ স্থানে গিয়েই স্বাধীন ভাবে তাকে সিদ্ধান্ত নেবার সুযোগ দিতে হবে
বিষয়: বিবিধ
১৪৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন