@@ আল্লাহ বলেন, তোমরা দুই উপাস্য গ্রহন করোনা৷ উপাস্য তো মাত্র এক জনই৷ অতএব আমাকেই ভয় কর৷ @@

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২২ জুন, ২০১৬, ০৮:৩৮:২০ রাত



(বয়ানুল কোরআনের বাংলা অনুবাদ)দ

সুরা আন নাহল রুকু;-৭ আয়াত;-৫১-৬০

৫১/وَقَالَ اللّهُ لاَ تَتَّخِذُواْ إِلـهَيْنِ اثْنَيْنِ إِنَّمَا هُوَ إِلهٌ وَاحِدٌ فَإيَّايَ فَارْهَبُونِ

[i]অর্থ;-আর আল্লাহ বলেন, তোমরা দুই উপাস্য গ্রহন করোনা৷ উপাস্য তো মাত্র এক জনই৷ অতএব আমাকেই ভয় কর৷

৫২/وَلَهُ مَا فِي الْسَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَهُ الدِّينُ وَاصِبًا أَفَغَيْرَ اللّهِ تَتَّقُونَ

অর্থ;-যা কিছু আসমান ও জমীনে আছে তা তারই এবং অবশ্য পালনীয় রূপে আনুগত্য তারই প্রাপ্য৷ এতদসত্বেও তোমরাকি আল্লাহ ছাড়া অন্যকে ভয় করবে?

৫৩/وَمَا بِكُم مِّن نِّعْمَةٍ فَمِنَ اللّهِ ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فَإِلَيْهِ تَجْأَرُونَ

অর্থ;-তোমাদের কাছে যে সব নেয়ামত রয়েছে তাতো আল্লাহর তরফ থেকেই৷ আবার যখন দুঃখ দৈন্যে তোমাদেরকে স্পর্শ করে তখন তোমরা তারই কাছে ফরিয়াদ কর৷

৫৪/ثُمَّ إِذَا كَشَفَ الضُّرَّ عَنكُمْ إِذَا فَرِيقٌ مِّنكُم بِرَبِّهِمْ يُشْرِكُونَ

অর্থ;-তারপর তিনি যখন তোমাদের দুঃখ দূরিভূত করেন তখনই তোমাদের একদল স্বীয় পালন কর্তার সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে৷

৫৫/لِيَكْفُرُواْ بِمَا آتَيْنَاهُمْ فَتَمَتَّعُواْ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ

অর্থ;-যা আমি তাদেরকে দিয়েছি তা অস্বীকার করার জন্য৷ অতএব কিছু সময়ের জন্য মজা ভোগ কর৷ অচিরেই জানতে পারবে৷

# অকৃতজ্ঞ হওয়া শয়তানী শিঙ্ক্ষা৷ মানু বিপদে পড়লে অবশ্যই আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে কিন্তু বিপদ মুক্ত হবার পর আর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা অনেকেই জানাতে ভুলে যায়৷ উদাহরণ স্বরূপ; নিঃসন্তান দম্পতি আল্লাহর কাছেই মূলত ফরিয়াদ জানায়, বিভিন্ন ডাক্তার কবিরাজ দরগা মাজার পীরের স্মরণাপন্ন হয়৷ যখন সন্তান লাভ করে তখন বলে অমুক পীরের দোওয়ায় আমরা সন্তান পেয়েছি, সেখানে ভেট দেয়, অথচ তাদের এ ব্যাপারে কোনই করনীয় নেই৷ তাদেরই জন্য বলা হয়েছে, ক’দিন ভোগকরে নাও পরে মজা টের পাবে৷

৫৬/وَيَجْعَلُونَ لِمَا لاَ يَعْلَمُونَ نَصِيبًا مِّمَّا رَزَقْنَاهُمْ تَاللّهِ لَتُسْأَلُنَّ عَمَّا كُنتُمْ تَفْتَرُونَ

অর্থ;-আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তা থেকে একটি অংশ তারা নির্ধারিত করে তাদের জন্য যাদের সন্মন্ধে তারা কিছুই জানেনা৷ আল্লাহর কসম! তোমরা মিথ্যা উদ্ভাবন কর, সে সন্মন্ধে তোমরা অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে৷

# সুরা আনআমেও আমরা এমন কথা জেনে এসেছি৷ মুশরিক গন তাদের ফষলের একটি নির্দিষ্ট অংশ আল্লাহর নামে ও আর একটি অংশ দেব দেবীর নামে আলাদা করে রাখত৷ সঙ্কটে পড়ে আল্লাহর ভাগ হতে নিজেরা খরচ করলেও দেবদেবীর অংশে হাত দিতনা৷

৫৭/وَيَجْعَلُونَ لِلّهِ الْبَنَاتِ سُبْحَانَهُ وَلَهُم مَّا يَشْتَهُونَ

অর্থ;-তারা আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান নির্ধারণ করে, তিনি পবিত্র মহিমান্বিত৷ আর তারা নিজেদের জন্য পুত্র সন্তান কামনা করে৷

# আল্লাহর সহকারী বা স্থানীয় প্রতিনিধী হিসেবে যে উপাস্য নির্ধারণ করে তা প্রায়ই কন্যা, কিন্তু তারা নিজেদের জন্য কন্যা নয় বরং পুত্র সন্তানই পছন্দ করে৷ আল্লাহ এ সবের বাইরে৷ হিন্দু ধর্মের উপাস্য গুলিও অধিকাংশ নারী৷

৫৮/وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُمْ بِالأُنثَى ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ

অর্থ;-যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয় তখন তার চেহারা মলীন হয়ে যায় এবং সে মনের মধ্যে ক্রোধ চেপে রাখে৷

৫৯/يَتَوَارَى مِنَ الْقَوْمِ مِن سُوءِ مَا بُشِّرَ بِهِ أَيُمْسِكُهُ عَلَى هُونٍ أَمْ يَدُسُّهُ فِي التُّرَابِ أَلاَ سَاء مَا يَحْكُمُونَ

অর্থ;-তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছথেকে মুখ লুকিয়ে থাকে৷ সে ভাবে; অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে না তাকে মাটির নীচে পুঁতে ফেলবে৷ শুনে রাখ তাদের সিদ্ধান্ত খুবই নিকৃষ্ট৷

# অবস্থাটি আরবের তৎকালীন হলেও আজ তথা কথিত সভ্য জগতেও এ দৃশ্য দেখা যায়৷ শুধু কন্যা সন্তান জন্ম দেবার অপরাধে অনেক সংসারও ভেঙ্গে যায়৷

৬০/لِلَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِالآخِرَةِ مَثَلُ السَّوْءِ وَلِلّهِ الْمَثَلُ الأَعْلَىَ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

অর্থ;-যারা আখেরাতে ইমান রাখে না তারা নিকৃষ্ট প্রকৃতির অধিকারী৷ আর আল্লাহর জন্য রয়েছে মহোত্তম গুনাবলী৷ তিনি পরাক্রমশালী ও হেকমত ওয়ালা৷

[/i]

বিষয়: বিবিধ

১১৩০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372874
২২ জুন ২০১৬ রাত ১০:১৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমিন। ধন্যবাদ।
২৩ জুন ২০১৬ রাত ০১:০২
309600
শেখের পোলা লিখেছেন : সুম্মা আমিন। ধন্যবাদ।
372875
২২ জুন ২০১৬ রাত ১০:২০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বর্তমানে যদিও ছেলে মেয়ে সমানই বলা হয় কিন্তু মনে মনে ছেলে সন্তানই বেশীরভাগ মানুষ কামনা করে। তবে অবজ্ঞার হার কমে এসেছে। মানুষ যত বেশী কুরআন সুন্নাহ জানবে ও চর্চা করবে,তাদের ভেতর থেকে কলুষতা তত দূর হবে। এবং সর্বদা আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে
২৩ জুন ২০১৬ রাত ০১:০৩
309601
শেখের পোলা লিখেছেন : ঠিক কথা চাচা মিয়া। ধন্যবাদ।
372879
২২ জুন ২০১৬ রাত ১০:৫২
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. Mashallah beautifully presented and explained. Jajakallahu khair.
২৩ জুন ২০১৬ রাত ০১:০৪
309602
শেখের পোলা লিখেছেন : অআলায়কুমুস সালাম অরহমাতুল্লাহ। ধন্যবাদ আপনাকে।
372883
২২ জুন ২০১৬ রাত ১১:১৯
নাবিক লিখেছেন : ধন্যবাদ Rose
২৩ জুন ২০১৬ রাত ০১:০৫
309603
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
372898
২৩ জুন ২০১৬ রাত ০১:২১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : বিপদে পড়লে অবশ্যই আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে কিন্তু বিপদ মুক্ত হবার পর আর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলে যায় অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ جزاك الله خيرا وشكرا لك يا شيخ
২৪ জুন ২০১৬ রাত ০৪:৩০
309677
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।
২০ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:২৫
312135
কুয়েত থেকে লিখেছেন : جزاك الله خيرا وشكرا لك يا شيخ আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদGood Luck Good Luck
372981
২৪ জুন ২০১৬ রাত ০৩:০২
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লাগলো।
২৪ জুন ২০১৬ রাত ০৪:৩০
309678
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File