*****স্রষ্টার সন্ধান *****
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ১৬ এপ্রিল, ২০১৬, ০১:৪৭:৪৬ রাত
সৃষ্টির সেরা সৃষ্টিরা সব শোন,-
বিশ্ব-জগত এমনই হয়নি, স্রষ্টা রয়েছে কোন৷
মহাবিশ্বের যেদিকে তাকাও, তার আলামত পাবে,
বিনয়ে তোমার মস্তক খানি, অবনত হয়ে যাবে৷
পাহাড় দেখেছ! ভিতরে তার পাথর রয়েছে ঠাসা,
সেই সে পাষাণ বিদীর্ণ করিয়া ঝর্ণা নামিছে খাসা৷
দৃষ্টি ফেরাও বনাণীর দিকে সবুজ শ্যামল মায়া,
লক্ষ জাতের ফল ফুল মাঝে রয়েছে তাহার ছায়া৷
একই মাটি হতে উদিল উদ্ভিদ পাশাপাশি ঠাঁই,
রূপ রং স্বাদে কারোসাথে কারো কোন মিল নাই৷
বুকে হাত রেখে বল দেখি ভাই,
আপনা হতে হয়েছে এ সব, কোন কারিগর নাই!
সাগর দেখেছ, কি বিচিত্র প্রাণী রয়েছে তার জলে,
কি অপরূপ রূপের জগত রয়েছে সাগর তলে৷
মনি মানিক্য হীরা জওহর বল দেখি সৃষ্টি কার!
বুদ্ধি খাটাইয়া চক্ষু বুজিয়া ভাবতো একটি বার!
দৃষ্টি ফেরাও আকাশের পানে, রকেটে চড়িয়া যাও,
সীমানা কোথায় হয়েছে শেষ কভুকি দেখিতে পাও!
চন্দ্র সূর্য, গ্রহ তারা, গ্যালাক্সী, ছায়াপথ কতশত,
কোন সে রশীতে রয়েছে বাঁধা, ঘুরিতেছে অবিরত৷
উত্তর খুঁজে পাবেনাকো তুমি, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ক্লান্ত হবে,
বলত! স্রষ্টা ছাড়া এ সব সৃষ্টি, কেমনে তা সম্ভবে?
বিষয়: বিবিধ
১২৯০ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কেম্নে সম্ভব আবার?
তাগোর প্রকৃতির সৃস্টি
প্রকৃতির কত্ত ক্ষমতা।
চক্ষু বুঝিয়া ই তো ভাবে,
কিন্তু সেই ভাবনায়, বুদ্ধি থাকে না,
থাকে শয়তানের প্ররোচনা।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে দ্বীনের পথে অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
আমীন
কবিতা অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ চাচাজান ।
তারা কোরানের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করবেনা এবং অতীতে তাদের পূর্ববর্তীগণেরও আচরণ এরূপই ছিল। যদি তাদের জন্য আকাশের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেই এবং তারা সারাদিন তাতে আরোহণ করতে তাকে, তবুও তারা বলবে,আমাদের দৃষ্টি সম্মোহিত করা হয়েছে, না, বরং আমরা জাদুগ্রস্হ হয়ে পরেছি। (সুরা হিজর, আয়াত:১৩,১৪,১৫)
রব্বানা মা খলাকতা হা যা বাতিলা, সুবহানাকা ফাকীনা আযাবান্নাআর!
জাযাকাল্লাহ খাইর।
অপূর্ব ভাষায়, ভাবে এবং ছন্দে মহান সৃষ্টি কর্তার অনুপম সৃষ্টি রহস্যের ও সৌন্দর্যের চমৎকার অনবদ্য বর্ণনা এক কথায় অসাধারণ।
সুন্দর লিখনীর জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৷ আল্লাহকে আমরা যেন সঠিক চেনা চিনতে পারি, তিনি যেন তার তৌফিক দেন৷ আমিন৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন