-হে আমার রব, আপনিতো জানেন, যাকিছু আমরা গোপন করি আর যাকিছু আমরা প্রকাশ করি৷
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ১৬ মার্চ, ২০১৬, ০৮:১২:০৮ রাত
(উর্দু বয়ানুল কোরআনের ধারাবাহিক বাংলা অনুবাদ)
সুরা ইব্রাহীম রুকু;-৬ আয়াত;-৩৫-৪১
৩৫/وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَـذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعْبُدَ الأَصْنَامَ
অর্থ;-আর যখন ইব্রাহীম বললেন, হে পালনকর্তা, এ শহর কে নিরাপত্তাময় করেদিন, এবং আমাকে ও আমার সন্তান সন্ততি কে মূর্তীপূঁজা থেকে দূরে রাখুন৷
৩৬/رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِّنَ النَّاسِ فَمَن تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ;-হে পালনকর্তা, এরা অনেক মানুষকে বিপথগামী করেছে, অতএব যে আমার অনুসরণ করে সে আমার এবং যে আমাকে অমান্য করবে নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু৷
# সুরা বাক্বারার ১৫ রুকুতে ইব্রাহীম আঃ এর এমন প্রার্থনার কথা আমরা পড়ে এসেছি৷ হজরত ইব্রাহীম আঃ নরম অন্তরের মানুষ ছিলেন৷ নিজে শির্কমুক্ত হয়ে একনিষ্ঠ মুসলীম হয়েছিলেন৷ অন্যকেও তাঁরমত মুসলীম হওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন, যারা তাঁর অনুসরণ করেছিলেন তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোওয়া চাইলেন আর যারা তাঁর অনুসরণ না করে মুশরিকই রয়ে গিয়েছিল তাদের মাগফেরাতের জন্য আল্লাহর মর্জীর উপর ছেড়ে দিলেন বরং মাগফেরাতের দিকেই জোর দিলেন৷ কেয়ামতের দিন হজরত ইশা আঃও ঠিক এমনই করবেন৷ কেউ শাস্তি পাক এটা তাঁদের কামনার বাইরে৷
৩৭/رَّبَّنَا إِنِّي أَسْكَنتُ مِن ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِندَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُواْ الصَّلاَةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُم مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
অর্থ;-হে আমাদের রব, আমি আমার নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে, চাষ আবাদ হীন উপত্যাকায় আবাদ করেছি৷ হে আমার রব, যেন তারা নামাজ কায়েম করে৷ অতঃপর আপনি কিছু লোকের অন্তরকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করুন এবং ফলফলাদী দ্বারা তাদেরকে রুজি দান করুন, যাতে তারা শোকর করে৷
# এতক্ষন তিনি একাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলেন৷ এ আয়াতে ‘রব্বানা’ বলা হয়েছে, তাই এ প্রার্থনায় হজরত ইসমাঈলের অন্তরভূর্ভূক্তী ধারণা করা যেতে পারে৷ হজরত ইসমাঈলকেই তিনি পবিত্র ক্বাবার কাছেই যেখানে কোন চাষাবাদ হত না এমন উপত্যকায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ এ সময় ক্বাবার বুনিয়াদ ছাড়া আর কিছুই ছিলনা যা হজরত আদম আঃ এর নির্মিত ক্বাবার অবশিষ্টাংশ৷
৩৮/رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللّهِ مِن شَيْءٍ فَي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاء
অর্থ;-হে আমার রব, আপনিতো জানেন, যাকিছু আমরা গোপন করি আর যাকিছু আমরা প্রকাশ করি৷ আল্লাহর কাছে পৃথিবীর ও আকাশের কিছুই গোপন থাকেনা৷
৩৯/الْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاء
অর্থ;-সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমার বার্দ্ধক্য সত্বেও ইসমাঈল ও ইসহাক কে দান করেছেন৷ নিশ্চয় আমার রব প্রার্থনা শুনে থাকেন৷
# হজরত ইব্রাহীম আঃ এর বয়স যখন সাতাশী বৎসর, সেই বৃদ্ধ বয়সে আল্লাহ তাঁর মনের আশা পূরণ করে হজরত ইসমাঈল আঃ কে পুত্ররূপে দান করেন, তারও কয়েক বৎসর পর দ্বতীয় পুত্র হজরত ইসহাক আঃ এর জন্ম হয়৷
৪০/رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاَةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء
অর্থ;-হে পরওয়ার দিগার, আমাকে নামাজ কায়েমকারী করুন, আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও৷ হে আমাদের রব, আমাদের দোওয়া কবুল করুন৷
৪১/رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
অর্থ;-হে আমাদের রব, আমাকে, আমার পিতামাতা এবং সকল মুমিনদিগকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে৷
বিষয়: বিবিধ
১১৪৬ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহ খায়ের চাচাজান ।
গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আমিন।
জাজাকাল্লাহু খাইরন।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন