{}{} তুমিকি দেখনি? আল্লাহ তায়ালা পবিত্র বাক্যের কেমন উপমা দিয়েছেন, তা একটি বৃক্ষের ন্যায় যার শিকড় দৃঢ় এবং যার শাখা প্রশাখা উর্দ্ধে উত্থিত৷{}{}
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ১০ মার্চ, ২০১৬, ০২:১৮:২৯ রাত
(উর্দু বয়ানুল কোরআনের ধারাবাহিক বাংলা অনুবাদ)
সুরা ইব্রাহীম রুকু;-৪ আয়াত;-২২-২৭
২২/وَقَالَ الشَّيْطَانُ لَمَّا قُضِيَ الأَمْرُ إِنَّ اللّهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ الْحَقِّ وَوَعَدتُّكُمْ فَأَخْلَفْتُكُمْ وَمَا كَانَ لِيَ عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ إِلاَّ أَن دَعَوْتُكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لِي فَلاَ تَلُومُونِي وَلُومُواْ أَنفُسَكُم مَّا أَنَاْ بِمُصْرِخِكُمْ وَمَا أَنتُمْ بِمُصْرِخِيَّ إِنِّي كَفَرْتُ بِمَآ أَشْرَكْتُمُونِ مِن قَبْلُ إِنَّ الظَّالِمِينَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
অর্থ;-আর যখন সবকিছুর ফায়সালা হয়ে যাবে তখন শয়তান বলবে, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে সত্য ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং আমিও তোমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলাম কিন্তু আমি তোমাদের সাথে ওয়াদা ভঙ্গ করেছি৷ তোমাদের উপর আমার তো কোন ক্ষমতা ছিলনা শুধু এতটুকু যে, আমি তোমাদেরকে ডেকেছিলাম, অতঃপর তোমরা আমার কথা মেনে নিয়েছিলে৷ সুতরাং, তোমরা আমার উপর দোষ চাপিও না, বরং নিজেদেরকেই দোষারোপ কর৷ এখন তোমাদের উদ্ধারে না আমি সাহায্যকারী হতে পারি না তোমরা আমার উদ্ধারে সাহায্যকারী হতে পার৷ তোমরা ইতিপূর্বে আমাকে আল্লাহর শরিক সাব্যস্ত করেছিলে, আমি তা অস্বীকার করছি৷ নিশ্চয় জালেমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক আজাব৷
# আগের আয়াতে প্রভাবশালী নেতাদের অনুসারী গনের দুবস্থার কথা আমরা জেনে এসেছি, এ আয়াতে, কেয়ামতের বিচারের পর শয়তান তার নিজ পরিচয় দিয়ে, তারে অনুসরণকারী মানুষের ভূল ভেঙ্গে দেবার কথা বলা হয়েছে৷ যাতে সে নির্দোষ হবে আর তার অনুগামীরা বিপদের মাঝেই থাকবে৷ আগেও বলা হয়েছে, শয়তান কাউকেই তার পথে জোর করে নিতে পারে না, সে শুধু ডাকদিতেই পারে৷ যারা তার ডাকে সাড়া দেয় তারাই ক্ষতি গ্রস্থ হবে৷ তখন আর ফেরার পথ থাকবেনা৷ তারই সাবধান বাণী এ আয়াত৷
২৩/وَأُدْخِلَ الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ تَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلاَمٌ
অর্থ;-যারা ইমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তাদের এমন জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহীত হবে৷ তাদের রবের আদেশে তারা সেথায় অনন্তকাল থাকবে৷ সেখানে তাদের সম্ভাষণ হবে ‘সালাম’৷
২৪/أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللّهُ مَثَلاً كَلِمَةً طَيِّبَةً كَشَجَرةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاء
অর্থ;-তুমিকি দেখনি? আল্লাহ তায়ালা পবিত্র বাক্যের কেমন উপমা দিয়েছেন, তা একটি বৃক্ষের ন্যায় যার শিকড় দৃঢ় এবং যার শাখা প্রশাখা উর্দ্ধে উত্থিত৷
২৫/تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا وَيَضْرِبُ اللّهُ الأَمْثَالَ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
অর্থ;-সে বৃক্ষ স্বীয় রবের আদেশে প্রত্যেক মওসুমে তার ফল দান করে আর আল্লাহ মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহন করে৷
২৬/وَمَثلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِن فَوْقِ الأَرْضِ مَا لَهَا مِن قَرَارٍ
অর্থ;-আর নোংরা বাক্যের উদাহরণ হল, একটি নিকৃষ্ট বৃক্ষ যার শিকড় মীন থেকে বিচ্ছিন্ন৷ যার কোন অস্তিত্ব নেই৷
# যে বৃক্ষের শিকড় মজবুত ভাবে মাটি আঁকড়ে থাকে তার শাখা প্রশাখাও বহুধা বিস্তৃত হয় এবং আল্লাহর আদেশ মোতাবেক মওসুমে ফল দিয়ে যায়৷ তার ছায়া ও ফল মানুষের উপকারে আসে৷ আবার যে গাছের শিকড় মছবুত নয়, ফলও দেয়না তা অবশ্যই নিকৃষ্ট গাছ যা মানুষের উপকারে আসেনা৷ এ দুটি উপমা দ্বারা আল্লাহ তায়ালা ভাল মানুষের ভাল কাজ ও কথা আর খারাপ মানুষের খারাপ কাজ কথার তুলনা করেছেন৷ ভাল আমল ও ভাল কথা যত দূর যাক আর তার দ্বারা যত মানুষের উপকার হোক তার ফল ঐ উপদেশ দাতাও পেতে থাকবে, আবার খারাপ কাজের বেলায়ও ঠিক তেমন তার কূফল ঐ খারাপ উপদেশ দাতার আমলে জমা হবে৷ রসুল সঃ ও এমন কথা বলেছেন৷
২৭/يُثَبِّتُ اللّهُ الَّذِينَ آمَنُواْ بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ وَيُضِلُّ اللّهُ الظَّالِمِينَ وَيَفْعَلُ اللّهُ مَا يَشَاء
অর্থ;-আল্লাহ তায়ালা শাশ্বত বাক্যে বিশ্বাস কারীদের দুনিয়া ও আখেরাতে মজবুত রাখেন৷আর জালেমদেরকে পথভ্রষ্ট করেন৷ আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন৷
বিষয়: বিবিধ
১০৭০ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আমাদের সুন্দর ও উকৃষ্ট বাক্য,কথা, কাজে শামিল রাখুন, মিথ্যা থেকে হিফাজত করুন!
এই আয়াতগুলো অনেক শিক্ষণীয়! আল্লাহ আমাদের আমলের তৌফিক দান করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইর।
জাজাকাল্লাহ খায়ের চাচাজান ।
আলহামদুলিল্লাহ্। খুভ ভালো লেগেছে পড়ে। জাযাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন