%%% শ্রেষ্ঠ পেশা কোরআন শেখা ও শেখানো৷ %%%
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ০৩ মার্চ, ২০১৬, ০৪:২৬:৩৪ রাত
মহাগ্রন্থ আল কোরআন, যা আসমানী কিতাব সমুহের অন্যতম৷ যেখানে নাই কোন অসংগতি, নাই কোন ভুল-ভ্রান্তির অবকাশ৷ যা অন্যান্ন আসমানী গ্রন্থগুরির মত কোন অবস্থাতেই বিকৃত হবেনা, যার নিশ্চয়তা স্বয়ং আল্লাহ সর্বশক্তিমান নিজেই দিয়েছেন৷ যা বিশ্বমানবতার দিশারী৷ যা আখেরী নবীর শ্রেষ্ঠ ও সর্বকালের জীবন্ত মোজেজা৷ যার মাধ্যমে বিশ্বমনবতার পথপ্রদর্শক হজরত মোহাম্মদ সঃ অন্ধকারাচ্ছন্ন মরুর বুকে সত্যও ন্যায়ের পতাকা উড়িয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে গেছেন৷ সেই কোরআনের মাধ্যমেই তিনি শত্রু-মিত্র, গোলাম-মনিব, ফকীর- বাদশাহ, কালো-সাদাকে এক কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড় করিয়েছেন৷ সেই সোনার কাঠি-রূপোর কাঠি তেনই সমুজ্জ্বল আজও যা তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন৷
দুঃখের বিষয় আমরা তাকে উপর উপর চিনলেও তার অন্তর্নিহীত প্রকৃত হীরা-জহরতের সন্ধান জনিনা, আমরা অনেকে তা পড়লেও তার আবেদনে সাড়া দেইনা, কারণ তা বুঝিনা৷ আবার অনেক তা পড়ার প্রয়োজনও অনুভব করিনা৷ কারণ আমরা দুনিয়ার মাঝে নিজেদের সঁপে দিয়েছি, যাতে দুনিয়ায় মান-মর্যাদা, অর্থ-প্রতিপত্তি আয়ত্ব করতে পারি তার উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণে মনোনিবেশ করি৷
আমাদের নবী আদেশ করেছেন যে, ‘যদি তোমরা আমার পক্ষের, অর্থাৎ মানুষের হেদায়েতের বা পরকালে নাজাতের বিষয়ে একটি কথাও জেনে থাকো তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও৷’ আল্লাহ বলেন দুনিয়ায় এমন কিছুই নেই যার বিষয়ে কোরআনে বলা হয়নি৷ হজরত আলী রাঃ বর্ণীত এক হাদীশের শেষাংশে বলা হয়েছে যে, কোরআনে রয়েছে তোমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল সমস্যার সমাধান৷
কোরান সম্পর্কে এক হাদিশের বর্ণনায় হজরত ওসমান রাঃ বলেছেন, ‘খাইরুকুম মান তায়াল্লামাল কুরআনা অ আল্লামাহু”- তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম তিনিই যিনি কোরান শিক্ষা করেন ও অপরকে শিক্ষা দেন। অপর একটি হাদিশের বরাত দিয়ে হজরত আলী রাঃ বলেছেন, ‘রসুল সঃ বলেছেন,’ মান ক্বালা বিহী সাদাক্বা’, অর্থাৎ যিনি কোরানের ভিত্তিতে কথা বললেন, তিনি সত্য বললেন। ‘মান হ্বাক্বামা বিহী আদালা’ ‘, অর্থাৎ যিনি কোরান অনুযায়ী বিচার করলেন, তিনি ন্যায় বিচার করলেন। ‘মান আমেলা বিহী ওজেরা’, অর্থাৎ যিনি কোরান অনুযায়ী জীবন গড়লেন, তার প্রতিদান নিশ্চিত। ‘অ মান দায়া বিহী হুদেয়া ইলা সীরাতিমমুসতাকীম,’ অর্থাৎ যিনি কোরানের প্রতি আহবান করলেন (তবলীগ), সীরাতে মুস্তাকীম তার জন্য নিশ্চিত (guarunteed)। (আরবী ব্যকরণ অনুযায়ী-যখন কোন ব্যাপার নিশ্চিত করা হয়, তখন মাজি মজহুলের সীগা ব্যবহার করা হয়, ওজেরা, হুদেয়া)৷ উত্তম ক্যারিয়ার, উত্তম পেশা কে না চায়! কে না চায় পরকালে নিশ্চিত নাজাত৷ আসুন আমরা নিজেরা কোরআন শিখি ও অন্যকে শেখাই আর পরকালের মুক্তির তালিকায় নাম রেজিষ্টার্ড করি৷
বর্তমানে মনুষের মস্তৃষ্ক যেমন শার্প হয়েছে তেমনই শিক্ষার উপকরণ ও পদ্ধতিও সহজলভ্য হয়েছে৷ অনেকে অনেক কৌশলে অতি অল্প সময়ে পবিত্র কোরআন শিখিয়ে থাকেন৷ জনাব শায়খ সাইফুদ্দীন সাহেব মাত্র এক ঘ্টায় শিক্ষিত লোকদের কোরআন শিক্ষার সুন্দর একটি পদ্ধতি ইউ টিউবে দিয়েছেন৷ অনেকে হয়ত দেখে থাকবেন৷ আর আগ্রহী যারা দেখেননি তাদের জন্য সূত্র দেবার চেষ্টা করলাম৷ আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে৷ সবাই উনার জন্য দোওয়া করবেন৷
https://www.youtube.com/watch?v=AshoaHFvGcU
বিষয়: বিবিধ
১৭৬৮ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যখন দেখি কোরআনের শিক্ষকদের অপমান করা হয়, অপমানিত হই বারবার!!!
আমি উনার ভিডিওটা দেখেছি ,আমার কাছে মনে হয়েছে যারা তাজবীদ জানে তাদের জন্য কিছুটা উপকার হবে ।
ধন্যবাদ চাচাজান ।
চমৎকার এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে লিখার জন্য শুকরিয়া!
আমাদের এখানে মহিলাদের কোরআন প্রশিক্ষন এর ক্লাস হয় আলহামদুলিল্লাহ! অনেকের মান ভালো আবার অনেকের খুবই শোচনীয় ! সবার সচেষ্ট হওয়া এবং উদ্যোগ নেয়া উচিত এ ব্যাপারে!
শুকরিয়া!
মন্তব্য করতে লগইন করুন