{}{}{} আল্লাহ নির্দেশ দেন, তার আদেশ অমান্য করার কেউ নেই৷ তিনি দ্রুত হিসাব গ্রহন কারী৷{}{}{}
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৫:১১:০৮ সকাল
(বয়ানুল কোরআনের ধারাবাহিক বংলা অনুবাদ)
সুরা রা’দ রুকু;-৭ আয়াত;-৩৮-৪৩
৩৮/وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلاً مِّن قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَاجًا وَذُرِّيَّةً وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَن يَأْتِيَ بِآيَةٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللّهِ لِكُلِّ أَجَلٍ كِتَابٌ
অর্থ;-আর আমি তো আপনার পূর্বে রসুল প্রেরণ করেছি এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান সন্ততি দিয়েছি৷ কোনও রসুলই আল্লাহর অনুমতি ছাড়া একটি নিদর্শনও উপস্থিত করার ক্ষমতা রাখেন না৷ প্রত্যেক কালের জন্য লিপীবদ্ধ বিধান রয়েছে৷
# হজরত মোহাম্মদ সঃ এর আগে আল্লাহ তায়ালা এ দুনিয়ায় আরও অনেক রসুল পাঠিয়েছেন, যাদের অনেকের বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আমরা জেনেছি৷ এঁদের জন্ম ও মৃত্যু সাধারণ মানুষেরই মত হয়েছে এবং সকলেই বিবাহ করেছেন৷ তাদের সন্তান সন্ততিও ছিল৷ ব্যাতিকম শুধু হজরত ইশা আঃ৷ তিনি বিনা পিতায় মাতৃ জঠরে জন্মে ছিলেন আর তিনি বিবাহও করেন নি, তাই তার স্ত্রী ও সন্তানাদী ছিল না৷
৩৯/يَمْحُو اللّهُ مَا يَشَاء وَيُثْبِتُ وَعِندَهُ أُمُّ الْكِتَابِ
অর্থ;-আল্লাহ যা ইচ্ছা তা মিটিয়ে দেন এবং বহাল রাখেন৷ আর মূল গ্রন্থ তার কাছেই রয়েছে৷
# আল্লাহ তার ইচ্ছামত কোন বিষয় বা বস্তু দুনিয়ার প্রতিষ্ঠিত করেন বা তা বিলুপ্ত করেন৷ কেননা এ বিশ্ব চলে তারই পরিকল্পনা মোতাবেক৷ আমরা জানি প্রাণীকূলে অতীতে কোন কোন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে৷ এটা তারই মর্জি মোতাবেক৷ আর তার কাছেই রয়েছে মূল গ্রন্থ, যার সত্যায়ীত অনুলীপি হল আমাদের কোরআন৷
৪০/وَإِن مَّا نُرِيَنَّكَ بَعْضَ الَّذِي نَعِدُهُمْ أَوْ نَتَوَفَّيَنَّكَ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ الْبَلاَغُ وَعَلَيْنَا الْحِسَابُ
অর্থ;-আর আমি তাদের সাথে যে ওয়াদা করেছি তার কিছু যদি দেখিয়ে দেই কিংবা আপনাকে উঠিয়ে নেই, তাতে কি, আপনার দায়িত্ব তো পৌঁছে দেওয়া আর হিসাব নওয়ার দায়িত্ব আমার৷
# কাফেরদের প্রতিশ্রুত আজাবের কিয়দংশ যদি তাদের দেখিয়েও দেওয়া হয় বা তার আগে যদি রসুল সঃ কে ওফাতও দেওয়া হয়, তাতে কোনই পরিবর্তন হবেনা৷ রসুলের কাজ হল আল্লাহর বানী উম্মতের কাছে পৌঁছে দেওয়া৷ উম্মত মানুক আর নাই মানুক তাতে রসুল দায়ী নয়৷ বলা হয়েছে, ‘লা ইয়ুস আলো আন আসহাবিল জাহীম’, দোজখবাসীদের ব্যাপারে আপনাকে প্রশ্ন করা হবে না৷ রসুলের সঠিক পৌঁছানোর পর উম্মতের হিসাব নিকাশ করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আল্লাহর৷
৪১/أَوَلَمْ يَرَوْاْ أَنَّا نَأْتِي الأَرْضَ نَنقُصُهَا مِنْ أَطْرَافِهَا وَاللّهُ يَحْكُمُ لاَ مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِ وَهُوَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
অর্থ;-তারাকি লক্ষ্য করেনা যে আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে সংকুচিত করে আনছি? আল্লাহ নির্দেশ দেন৷ তার আদেশ অমান্য করার কেউ নেই৷ তিনি দ্রুত হিসাব গ্রহনকারী৷
# মক্কার মুশরিক কোরাইশগন রসুলের প্রতি ইমান না আনলেও ইসলামের দাওয়াত মক্কার চতুর্দিকের আশ পাশ অঞ্চলে নিরবে সম্প্রসারিত হচ্ছিল৷ তাতে ক্রমে মুশরিকদের সমর্থন ও গণ্ডী ছোট হয়ে আসছিল৷ রসুলের মদীনা হিজরতের পর তা আরও প্রকট আকার ধারণ করে৷ যার ফলে মক্কা বিজয়ের সময় মুশরিকরা বড়ই অসহায়ত্ব অনুভব করেছিল৷
৪২/وَقَدْ مَكَرَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَلِلّهِ الْمَكْرُ جَمِيعًا يَعْلَمُ مَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ وَسَيَعْلَمُ الْكُفَّارُ لِمَنْ عُقْبَى الدَّارِ
অর্থ;-তাদের পূর্বে যারা ছিল তারা চক্রান্ত করেছে, বস্তুতঃ যাবতীয় কৌশল আল্লাহরই ইখতিয়ারে৷ প্রত্যেক ব্যক্তি যা করে তিনি জানেন৷ কাফেররা অচিরেই জেনে যাবে যে, শুভ পরিনাম কাদের জন্য রয়েছে৷
৪৩/وَيَقُولُ الَّذِينَ كَفَرُواْ لَسْتَ مُرْسَلاً قُلْ كَفَى بِاللّهِ شَهِيدًا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ وَمَنْ عِندَهُ عِلْمُ الْكِتَابِ
অর্থ;-কাফেররা বলে, “আপনি রসুল নন”৷বলেদিন, আমার ও তোমাদের মধ্যে প্রকৃষ্ট সাক্ষী হচ্ছেন আল্লাহ আর ঐ ব্যক্তি যার কাছে কিতাবের জ্ঞান আছে৷
# রসুলকেই তারা রসুল বলে মানতে পারত না, কেননা তিনিও তাদেরই মত মানুষ, আহার নিদ্রা সবই করেন, বাজারেও যেয়ে থাকেন৷ আল্লাহ বলেন যে, ওদের বলেদিন, আপনার রসুল হওয়ার প্রথম সাক্ষী আল্লাহ নিজেই আরও যারা কিতাবের জ্ঞান অর্জন করেছে৷ কেননা তওরাত ও ইঞ্জীলে রসুলে আগমনের বার্তা ও পরিচিতি আগেই তারা জেনেছে৷ বর্ণবাসের বাইবেলে আজও তা পাওয়া যায়, যদিও তা জন সমক্ষে নাই৷
বিষয়: বিবিধ
১৬২২ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আললাহ তাদের সঠিক বুঝ দান করুন
আমিন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
আল্লাহ আমাদের হিসাব সহজ করে গ্রহন করুন এবং যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট আমাদের সেই কাতারভুক্ত করুন। আমিন।
আমার মত দুর্বল ও ভোতা ঈমানের মানুষের ক্বলবকে শাণিতকরণের লক্ষ্যে আপনার ক্ষুরধার অনবদ্য লিখনীগুলো অসাধারণ।
মহান রব আমাদের ত্রুটি বিচ্যুতিকে মুছে দিয়ে ভালো আমলগুলোকে কবুল করুণ। আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন