%% তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়ার জীবনে শাস্তি৷ আখেরাতের আজাব কঠোরতর৷%%
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৫:০১:৪৫ সকাল
(উর্দু বয়ানুল কোরআনের বাংলা অনুবাদ)
সুরা রা’দ রুকু;-৫ আয়াত;-৩২-৩৭
৩২/وَلَقَدِ اسْتُهْزِىءَ بِرُسُلٍ مِّن قَبْلِكَ فَأَمْلَيْتُ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ ثُمَّ أَخَذْتُهُمْ فَكَيْفَ كَانَ عِقَابِ
অর্থ;-আপনার পূর্বেও অনেক রসুলের সাথে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা হয়েছে এবং যারা কুফরী করেছে আমি তাদেরকে কিছু অবকাশ দিয়েছি, তারপর তাদেরকে পাকড়াও করেছি৷
# সকল নবী রসুলকেই শুধু নয় অনেক ভাল মানুষকেই পৃথিবীতে অন্যের কাছে ঠাট্টা বিদ্রুপের পাত্র হতে হয়েছে৷ এবং আজও হচ্ছে৷ এবং বিনা বাধায় তারা ঠিকই পার পেয়ে যাচ্ছে৷ আমরা ভাবি, আল্লাহ এ অন্যায় সহ্য করেন কেন? আল্লাহর নিয়ম হল, মানুষ স্বাধীন ভাবে যে যে পথে চলতে চায় তাকে সেপথে সহজে চলতে দেওয়া৷ এর একটা নির্দিষ্ট সীমা আছে৷ সেই সীমায় পৌঁছে গেলেই তার আর রেহাই নেই৷ তখনই হয় আল্লাহর পাকড়াও৷ যারা আল্লাহর রসুলদের বিদ্রুপ করে ছিল, তাদের যন্ত্রনা দিয়েছিল, তারা ঠিকই শাস্তি ভোগ করেছে৷
৩৩/أَفَمَنْ هُوَ قَآئِمٌ عَلَى كُلِّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ وَجَعَلُواْ لِلّهِ شُرَكَاء قُلْ سَمُّوهُمْ أَمْ تُنَبِّئُونَهُ بِمَا لاَ يَعْلَمُ فِي الأَرْضِ أَم بِظَاهِرٍ مِّنَ الْقَوْلِ بَلْ زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ مَكْرُهُمْ وَصُدُّواْ عَنِ السَّبِيلِ وَمَن يُضْلِلِ اللّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ
অর্থ;-তিনি প্রত্যেক ব্যাক্তির কার্যকলাপ সম্পর্কে পূর্ণ অবহীত হওয়া সত্বেও তারা তার জন্য শরিক সাব্যস্ত করেছে৷ বলুন; ‘তোমরা ওদের নাম বল৷’ তোমরাকি তাকে পৃথিবীর এমন কিছু সংবাদ দিতে চাও যা তিনি জানেন না! অথবা শুধু বাহ্যিক কথাই বলছ! বরং যারা কুফরী করেছে তাদের জন্য তাদের ভ্রান্তিমূলক কার্যাবলীকে সুশোভিত করা হয়েছে এবং তাদের সৎ পথ থেকে ফিরিয়ে রাখা হয়েছে৷ আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ঠ করেন তার কোন পথ প্রদর্শক নেই৷
# জগতের প্রতিটি প্রাণীর গতি বীধি, কার্যকলাপ আল্লাহ তায়ালা সর্বক্ষন অবলোকন করেন৷ যা ঐ শরিকরা বা দেবদেবীরা পারেনা বরং মানুষই তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাদের নামও সাব্যস্ত করেছে৷ আর এটা যারা করে তারা এটাকে খেল তামাশা হিসেবেই করেনা, বরং তাকে আল্লাহর শরিক মেনেই করে৷ তাদের এ সকল কার্যকলাপকে আল্লাহ সুশোভিত করে দিয়েছেন৷ কিন্তু যখন আল্লাহর পাকড়াও আসবে তখন ঐ শরিকরা বা অন্য কেউই তা বন্ধ করতে পারবেনা৷
৩৪/لَّهُمْ عَذَابٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَعَذَابُ الآخِرَةِ أَشَقُّ وَمَا لَهُم مِّنَ اللّهِ مِن وَاقٍ
অর্থ;-তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়ার জীবনে শাস্তি৷ অবশ্যই আখেরাতের আজাব কঠোরতম৷ আর আল্লাহর আজাব থেকে তাদের জন্য কোন রক্ষাকারী নেই৷
৩৫/مَّثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ أُكُلُهَا دَآئِمٌ وِظِلُّهَا تِلْكَ عُقْبَى الَّذِينَ اتَّقَواْ وَّعُقْبَى الْكَافِرِينَ النَّارُ
অর্থ;-মুত্তাকীদের যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে তার অবস্থা এই যে, তার পাদদেশে নহর প্রবাহিত হয় এবং তার ফল ও ছায়া চিরস্থায়ী৷ যারা মুত্তাকী এটা তাদের কর্মের প্রতিদান৷ আর কাফেরদের পরিনাম দোজখ৷
৩৬/وَالَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَفْرَحُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمِنَ الأَحْزَابِ مَن يُنكِرُ بَعْضَهُ قُلْ إِنَّمَا أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ اللّهَ وَلا أُشْرِكَ بِهِ إِلَيْهِ أَدْعُو وَإِلَيْهِ مَآبِ
অর্থ;-আর আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা আপনার প্রতি যা নাজিল করা হয়েছে তাতে আনন্দিত হয়৷ তবে, কোন কোন দল এর কোন কোন অংশ অস্বীকার করে৷ আপনি বলুন, ‘আমাকে এরূপই আদেশ দেওয়া হয়েছে৷ আমি আল্লাহর ইবাদত করি আর তার সাথে অংশিদার না করি৷ আমি তার দিকেই দাওয়াত দিই এবং তার কাছেই আমার পত্যাবর্তন’৷
# আহলে কিতাবদের মাঝে অনেকেই কোরআন নাজিল হওয়াতে প্রথমে বেশ খুশী হত৷ তাদের অনেক কিছুর সংবাদ কোরআনে রয়েছে৷ আবার অনেকেই তার মধ্যে কাটছাঁট করে নিজেদের সুবিধা মত করার পক্ষে ছিল৷ তাই রসুল সঃ কে দিয়ে আল্লাহ, তার কোন সম্ভাবনা নেই এমন কথা জানিয়ে দিলেন৷
৩৭/وَكَذَلِكَ أَنزَلْنَاهُ حُكْمًا عَرَبِيًّا وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءهُم بَعْدَ مَا جَاءكَ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ اللّهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ وَاقٍ
অর্থ;-আর এরূপেই আমি কোরআনকে নাজিল করেছি এক বিধান রূপে আরবী ভাষায়৷ আপনি যদি তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করেন আপনার কাছে জ্ঞান আসার পর, তবে আল্লাহর মোকাবেলায় আপনার জন্য কোন সাহায্যকারী থাকবেনা এবং কোন রক্ষাকারীও থাকবেনা৷
# আল্লাহর বিধান এই কোরআন৷ সুরা ‘আতত্বারিক’ এ কোরআন কে সত্য মিথ্যার ফায়সালা কারী বলা হয়েছে৷ এতে কাটছাঁট করার অধিকার কারও নেই৷ অন্য মানুষ দূরে থাক যদি নবীও অন্যের কথামত তেমন কিছু করে বসেন তবে তাঁর জন্যও এটা হুমকী হয়ে থাকবে৷ কেয়ামতের দিনে দায়ীত্বে অবহেলা আর আল্লাহ ছাড়া অন্যের খেয়াল খুশীর অনুসণর করার জন্য নবীর কোন সাহায্যকারী থাকবেনা৷ শাস্তি হতে রেহাইও পাবেন না৷
বিষয়: বিবিধ
১০২৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পানাহ দিন
আমিন
আল্লাহ আমাদের দুনিয়ার শাস্তি ও আখিরাতের আজাব থেকে মাফ করুন । আমীন
জাজাকাল্লাহ খায়ের চাচাজান ।
জাজাকাল্লাহ চাচাভাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন