@@@ তিনি যাবতীয় গুপ্ত ও প্রকাশ্য বিষয় জ্ঞাত আছেন৷ তিনি সুমহান, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান৷@@@
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ১৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৯:১৮:১৪ রাত
(মরহুম ডাঃ ইসরার আমহমাদ সাহেবের উর্দু বয়ানুল কোরআনের ধারাবাহিক বাংলা অনুবাদ)
সুরা রা’দ রুকু;-২ আয়াত;-৮-১৮
৮/اللّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنثَى وَمَا تَغِيضُ الأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ وَكُلُّ شَيْءٍ عِندَهُ بِمِقْدَارٍ
অর্থ;-আল্লাহ জানেন প্রত্যেক স্ত্রীলোক যা গর্ভে ধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা সঙ্কুচিত ও বর্ধিত হয়৷ আর তার কাছে প্রত্যেক বস্তুই সুনির্ধারিত পরিমানে আছে৷
# গর্ভাশয়ের বর্ধন বা সফীত হওয়া বা তা সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়া এবং সেখানে কি, কয়টি, কেমন ভাবে আছে তা সবই আল্লাহ জানেন৷
৯/عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ الْكَبِيرُ الْمُتَعَالِ
অর্থ;-তিনি যাবতীয় গুপ্ত ও প্রকাশ্য বিষয় জ্ঞাত আছেন৷ তিনি সুমহান, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান৷
১০/سَوَاء مِّنكُم مَّنْ أَسَرَّ الْقَوْلَ وَمَن جَهَرَ بِهِ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍ بِاللَّيْلِ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ
অর্থ;-তোমাদের মধ্যে কেউ গোপনে কথা বলুক বা সশব্দে প্রকাশ করুক, রাতের অন্ধকারে আত্মগোপন করুক বা প্রকাশ্য দিবালোকে বিচরণ করুক, তার নিকট সবই সমান৷
১১/لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللّهِ إِنَّ اللّهَ لاَ يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنْفُسِهِمْ وَإِذَا أَرَادَ اللّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلاَ مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
অর্থ;-তাদের জন্য সামনে ও পিছনে অনুসরণকারী রয়েছে যারা আল্লাহর নির্দেশে ওদের হেফাজত করে৷ নিশ্চয় আল্লাহ কোন জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না যে পর্যন্ত না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে৷ আল্লাহ যখন কোন জাতির বিপদ চান তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতিত তাদের কেউ সাহায্য কারিও নেই
# প্রত্যেক মানুষের সাথে তার রক্ষী হিসেবে ফেরেশ্তা রয়েছে, যারা সামনে পিছনে বিপদ হতে রক্ষা করে থাকেন৷ সুরা ‘আনআম’ এর ৬১ নং আয়াতেও এ বিষয়ে আমরা জেনে এসেছি৷ এ আয়াতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে, তাহল, কেউ যদি নিজে তার বা তাদের অবস্থার পরিবর্তনের চেষ্টা না করে, আল্লাহ তাকে সে বিষয়ে সাহায্য করেননা৷ আবার কোনও জাতির উপর আজাব সাব্যস্ত হয়ে গেলে তা আর কেউ রদ করতে পারেনা, একমাত্র তিনিই পারেন৷
১২/هُوَ الَّذِي يُرِيكُمُ الْبَرْقَ خَوْفًا وَطَمَعًا وَيُنْشِىءُ السَّحَابَ الثِّقَالَ
অর্থ;-তিনিই তোমাদেরকে বিদ্যুৎ দেখান, যা আশংকা ও আশা সঞ্চার করে এবং তিনি ভারী মেঘমালা উত্থিত করেন৷
# বিদ্যুৎ চমকের মধ্যে যেমন ভয় থাকে তেমনি থাকে আশা৷ ভয়টি হল ক্ষয়ক্ষতির আর আশাটি হল বৃষ্টিপাতের বিশেষ করে যদি দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি থাকে৷ পানিতে পরিপূর্ণ ভারী মেঘমালা তিনিই আকাশে ভেসে বেড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন৷
১৩/وَيُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلاَئِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ وَيُرْسِلُ الصَّوَاعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَن يَشَاء وَهُمْ يُجَادِلُونَ فِي اللّهِ وَهُوَ شَدِيدُ الْمِحَالِ
অর্থ;-তার প্রশংসা পাঠকরে বজ্র এবং সকল ফেরেশ্তা সভয়ে৷ তিনিই বজ্রপাত ঘটান এবং যাকে ইচ্ছা তা দিয়ে আঘাত করেন৷ তথাপি তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে৷ অথচ তিনি মহা শক্তিবান৷
১৪/لَهُ دَعْوَةُ الْحَقِّ وَالَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِهِ لاَ يَسْتَجِيبُونَ لَهُم بِشَيْءٍ إِلاَّ كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى الْمَاء لِيَبْلُغَ فَاهُ وَمَا هُوَ بِبَالِغِهِ وَمَا دُعَاء الْكَافِرِينَ إِلاَّ فِي ضَلاَلٍ
অর্থ;-সত্যের আহবান তার জন্যই সঠিক৷ যারা তাকে ছাড়া অন্যকে ডাকে, তারা তাদের কোনই সাড়া দেয়না৷ এর দৃষ্টান্ত এমন যেমন কোন ব্যক্তি তার দুহাত পানির দিকে প্রসারিত করে যেন পানি তার মুখে পৌঁছে যায়, অথচ পানি তার মুখে পৌঁছবে না৷ আর কাফেরদের আহবান মাত্রই নিষ্ফল৷
# আয়াতের প্রথমাংশের অর্থ দুভাবে করাযেতে পারে, মহান আল্লাহ মানুষকে তার বন্দেগী করার ও তারই পথে চলার জন্যই সৃষ্টি করে যাবতীয় উপকরণ দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন, সেই মানুষ বিপথ গামী হলে, তিনি তাদের সৎ পথে ডাকার অধিকার অবশ্যই রাখেন৷ আবার আল্লাহর সেই বান্দা যদি প্রয়োজনে তার একমাত্র মাবুদকে ডাকেন সেটিও সঠিক৷ কেননা তিনি সাড়া দিয়ে থাকেন৷ আর অপদেবতা বা তার সাথে সাব্যস্ত করা শরিকরা কারও ডাকেই সাড়া দিতে পারেনা৷ আল্লাহ নিজেই এর একটা উপমা দিয়েছেন, তাহল যদি কোন ব্যাক্তি পানি পাবার আশায় হাত বাড়ায় আর যদি পানি তার নাগালের বাইরে থাকে তবে সে পানি তার হাতে আসবে না৷ কারণ পানির এগিয়ে আসার ক্ষমতা নেই৷ তাই যার সাড়া দেবার বা এগিয়ে আসার ক্ষমতা নেই তাকে ডাকাও সঠিক নয়৷
১৫/وَلِلّهِ يَسْجُدُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَظِلالُهُم بِالْغُدُوِّ وَالآصَالِ
অর্থ;-আর আল্লাহর প্রতি সিজদায় অবনত আছে, যারা রয়েছে আসমানে ও জমীনে, সেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়৷ এবং তাদের ছায়াও সকালে ও সন্ধায়৷(সেজদাহ)
# মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি প্রকৃতির প্রতিটি সৃষ্টই তাকে সেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় বা ভয়ে তাকে সেজদা করে থাকে৷ পাহাড় পর্বত ও গাছ পালার ছায়াও যেন সকাল সন্ধায় লম্বা হয়ে পড়ে তাকেই সেজদা করে৷ (এটি একটি সেজদার আয়াত, যা পড়লে বা শুনলে সেজদা ওয়াজিব হয়ে যায়)
১৬/قُلْ مَن رَّبُّ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ قُلِ اللّهُ قُلْ أَفَاتَّخَذْتُم مِّن دُونِهِ أَوْلِيَاء لاَ يَمْلِكُونَ لِأَنفُسِهِمْ نَفْعًا وَلاَ ضَرًّا قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الأَعْمَى وَالْبَصِيرُ أَمْ هَلْ تَسْتَوِي الظُّلُمَاتُ وَالنُّورُ أَمْ جَعَلُواْ لِلّهِ شُرَكَاء خَلَقُواْ كَخَلْقِهِ فَتَشَابَهَ الْخَلْقُ عَلَيْهِمْ قُلِ اللّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ
অর্থ;-জিজ্ঞেস করুন, কে আসমান ও জমীনের রব, বলেদিন, আল্লাহ৷ বলুন; তবেকি তোমরা আল্লাহ ছাড়া এমন অভিভাবক নির্ধারণ করে রেখেছ যারা নিজেদেরই কোন উপকার বা ক্ষতি সাধনের কোন ক্ষমতা রাখেনা৷ বলুন; অন্ধ আর চক্ষুস্মান কি সমান হয়? অথবা অন্ধকার আর আলো কি সমান হতে পারে! তবেকি তারা আল্লাহর জন্য এমন শরিক স্থীর করেছে যারা, আল্লাহ যেমন সৃষ্টি করেছেন তেমন কিছু সৃষ্টি করেছে! অতঃপর তাদের সৃষ্টি এমন বিভ্রান্তি ঘটিয়েছে! বলুন; আল্লাহই প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা এবং তিনিই একক পরাক্রমশালী৷
# আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা জানার পরও শির্ক করার কারণ সম্পর্কে মুশরিকদের কাছে একটা বাড়তি প্রশ্ন করা হয়েছে, তাহল, সেই সমস্ত শরিকরা কি এমন কিছু সৃষ্টি করেছে ঠিক যেমন সৃষ্টি আল্লাহ করেন এবং তাতেই কি তারা বিভ্রান্ত হয়ে গেছে! আসলে তাতো নয়, তারা সৃষ্টি তো দূরে থাক নিজেদের কোন উপকার বা ক্ষতিও করার ক্ষমতা রাখেনা৷ তাই তাদেরকে অন্ধ বলে, দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন লোকদের সাথে তুলনা করার মতই বোকামো করে চলেছে৷
১৭/أَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌ بِقَدَرِهَا فَاحْتَمَلَ السَّيْلُ زَبَدًا رَّابِيًا وَمِمَّا يُوقِدُونَ عَلَيْهِ فِي النَّارِ ابْتِغَاء حِلْيَةٍ أَوْ مَتَاعٍ زَبَدٌ مِّثْلُهُ كَذَلِكَ يَضْرِبُ اللّهُ الْحَقَّ وَالْبَاطِلَ فَأَمَّا الزَّبَدُ فَيَذْهَبُ جُفَاء وَأَمَّا مَا يَنفَعُ النَّاسَ فَيَمْكُثُ فِي الأَرْضِ كَذَلِكَ يَضْرِبُ اللّهُ الأَمْثَالَ
অর্থ;-তিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেন ফলে উপত্যকা সমুহ নিজ নিজ পরিমান অনুযায়ী প্লাবিত হয়৷ অতঃপর প্লাবন তার উরস্থিত আবর্জনা বয়ে নিয়ে যায়৷ আর যখন কোন ধাতুকে আগুনে উত্তপ্ত করা হয় অলংকার কিংবা তৈজস পত্র বানাবার জন্য তখন তাতে এরূপই ময়লা গাদ উপরে আসে৷ এভাবেই আল্লাহ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত দিয়ে থাকেন৷ বস্তুতঃ আবর্জনা যা তা ফেলে দেওয়া হয় এবং যা মানুষের কাজে আসে তা জমিতে অবশিষ্ট থকে৷ এ ভাবেই আল্লাহ দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে থাকেন৷
# পবিত্র কোরআন নাজিল হয় হেজাজে যা পাহাড়ি উপত্যকা বিশেষ৷ এখানে সেই উপত্যকা নিয়েই একটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে যে, যখন বৃষ্টিপাত হয় তখন প্রত্যেক উপত্যকা তার বিস্তৃতি অনুযায়ী পাহাড়ের ঢালের পানিতে প্লাবিত হয়ে স্রোতের সৃষ্টি হয়৷ স্রোতের তলদেশে পানি থাকে আর উপরিভাগে থাকে আবর্জনা৷ আবর্জনা ভেসে গেলেও জমীর প্রয়োজনীয় পানি জমীতেই রয়ে যায় যা মানুষের দরকার৷ একে আরও একটি পদ্ধতির সাথে তুলনা করা হয়েছে, তাহল, যখন কোন ধাতুকে গহনা বা তৈজস পত্র বানাবার জন্য উত্তপ্ত করে গলানো হয় তখনও কিছু খাদ বা ময়লা উপরে ভেসে ওঠে৷ যাকে বাদ দিয়েই কাঙ্খীত জিনিষটি বানানো হয়৷ আল্লাহ তায়ালাও তেমনই মিথ্যা বা অপ্রয়োজনীয় তথ্যকে সরিয়ে সত্য বা খাঁটি জিনিষকেই প্রতিষ্ঠা করেন৷
বর্তমানে সমাজ সভ্যতার বিষয়টিও ঠিক তেমনই ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে৷ বলা যেতে পারে সৃষ্ট কোন মতবাদই যেমন সঠিক নয় তেমনই তার সবটুকুই আবার বেঠিকও নয়৷ প্রত্যেক মতবাদের ভাল টুকু সমাজে থাকার চেষ্টা করে আর বেঠিকটুকু স্থান পায়না৷ এখানেই শেষ নয়, আসে আবারও নতুন মতবাদ৷ তারও সঠিকটুকু গ্রহন যোগ্যতা পায় আর বাকীটা হয় পরিত্যাজ্য৷ আবার সৃষ্ট নতুন দুটি মতবাদের মাঝেও হয় সংঘর্ষ৷ এভাবেই হয়ত সুদূর ভবিষ্যতে সঠিকটি আমরা পেয়ে যাব, যা রয়েছে পবিত্র কোরআনে৷ আর সেটি চৌদ্দ শত বছর আগে আমাদের মহানবী হজরত মোহাম্মদ সঃ এক লাফে সব সিঁড়ি পার হয়ে তা প্রতিষ্ঠা করে সমাজকে উপহার দিয়ে গিয়েছেন৷
সুরা আম্বিয়া (২১) আয়াত ১৮ তে বলা হয়েছে; ‘বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তক চূর্ণ বিচূর্ণ করে, অতঃপর তা (মিথ্যা) নিশ্চিহ্ন হয়-৷’
১৮/لِلَّذِينَ اسْتَجَابُواْ لِرَبِّهِمُ الْحُسْنَى وَالَّذِينَ لَمْ يَسْتَجِيبُواْ لَهُ لَوْ أَنَّ لَهُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعًا وَمِثْلَهُ مَعَهُ لاَفْتَدَوْاْ بِهِ أُوْلَـئِكَ لَهُمْ سُوءُ الْحِسَابِ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ
অর্থ;-যারা তাদের রবের আহবানে সাড়া দিয়েছে তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান৷ কিন্তু যারা তার ডাকে সাড়া দেয়না, যদি তার কাছে জগতের সব কিছু থাকে, সম পরিমান আরও থাকে তবে সবই তারা মুক্তিপণ স্বরূপ দিয়ে দেবে৷ তাদের জন্য রয়েছে কঠোর হিসাব৷ তাদের আবাস হবে জাহান্নাম, সেটা কতই না নিকৃষ্ট অবস্থান৷
# যারা আল্লাহর পথে চলে, আল্লাহর যাবতীয় হুকুম আহকাম মেনে চলে,আল্লহতেই আত্ম সমর্পণ করে, তারা আল্লাহ উপর সন্তুষ্ট থাকে৷ আল্লাহও তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে৷ আর যারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়না বা তার পথে চলেনা, কেয়ামতের দিন তাদের হিসাব কঠিন হবে৷ তখন তারা আল্লহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য, দুনিয়ার যাবতীয় সম্পদ, এমনকি ততটা আরও যদি তার হত তবে তা সব মুক্তি পণ হিসেবে দিতে প্রস্তুত থাকবে৷ কিন্তু সেদিন কোন কিছুই কাজে আসবে না৷ হিসাবের পাওনা স্বরূপ তাদের আবাস হবে জাহান্নাম, আর তা বড়ই নিকৃষ্ট আবাস৷ দুনিয়ার কোন সম্পদ আখেরাতে কাজে আসবে না, যা কাজে আসবে তা হল নেক আমল৷
বিষয়: বিবিধ
১০২১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহ খাইরান চাচাজান ।
জাজাকাল্লাহ খাইরান চাচাজান ।
আমিন মুস্মাআমিন
মন্তব্য করতে লগইন করুন